এই শহরের কোণায় কোণায় মূর্খ নাস্তিক'রা আছে লুকিয়ে
মানবতার দোহাই'য়ে এরা পবিত্র কোর'আনের অপব্যাখ্যা দেয়
নিজেদের খুব জ্ঞানী ভাবে,
জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব ধরে এরা ইসলামের কুৎসা রটনায় লিপ্ত থাকে,
অথচ ওদের নাম ইসলাম থেকেই নেয়া।
বস্তাপঁচা যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে কোরআনের বাণীকে
ভুল প্রমাণিত করে বিজ্ঞান'কে প্রাধান্য দিয়ে যায়
অথচ সেই বিজ্ঞান-ই এসে কোর'আনের পথ ধরে
ওদের জ্ঞানের সীমা এখানেই সীমাবদ্ধ...
ওরা কখনো কোরআন পড়ে না,
বা পড়লেও পাপের বিধি-নিষেধে হতচকিত হয়ে
নিজেদের মত যুক্তি সাজিয়ে অকথ্য ভাষায়
ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
এবং মুসলিমদের ব্রেইন ওয়াশে সুক্ষভাবে ঢুকে পড়ে
আর সহজ সরল মানুষদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়।
ওদের ইসলাম পালনে অনীহা তখনই
যখন বলা হয় ইসলামে হুলিখেলা নিষিদ্ধ কিংবা
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ পাপের কাজ শিরক কিংবা
আনন্দ উল্লাসের মেলায় মানুষের ঠাস বুনোটের ভিড়ে
ছেলেমেয়ে গা ঘেঁষাঘেঁষি পাপের কাজ অথবা
এইসব অনুষ্ঠানে মেয়েদের শালীনতার প্রশ্ন থেকে যায়।
কিংবা যদি বলি ইসলামে নারীদের অনেক সম্মান দিয়েছে
আর সেই সম্মান ধূলায় মিশিয়ে নারীরা অশালীন পোষাক পরে
ওরা তখন যুক্তির পর যুক্তি দাঁড় করায়......যার কোন ভিত্তি নেই
ওরা পশ্চিমাদের সাথে তাল মিলিয়ে উদ্ভট ফ্যাশনে মত্ত
ওরা ইসলাম বুঝে না, না আছে ওদের ভিতর ইসলামের ছিটে ফোঁটা।
ইসলাম নিয়ে কিছু বললেই ওরা ঝাঁপিয়ে পরে কথার অস্ত্র নিয়ে
মৌলবাদী বলে অপবাদ দিয়ে মনে করে শান্তি আহরণ ।
কখনো ওড়না গলায় পেঁচিয়ে যখন মেয়েরা পথ চলে তখন ওরা বলে
এসব বিষয় না,এটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার
কিংবা এরা পশ্চিমা দেশের উদাহরণ দেখায়
অথচ ওদের চোখ তখন অশালীন মেয়ের বুকের দিকে তাক
বকাটে ছেলেরা তখন দু'এক কথার খুঁনসুঁটিও ছুঁড়ে মারে
অনেকে বাঁকা চোখে তাকিয়ে বিড়বিড় কিছু বলে যায়
রঙ্গ তামাশা হতে বঞ্চিত হবে বলে ওদের ইসলাম সহ্য হয় না।
ওরা শাহবাগে মেয়েদের গা ঘেঁষে বসে চিল্লাফাল্লা করাকে দোষের মনে করে না,
এদের কাছে ইসলামে অবশ্য পালনীয় জিনিসগুলো চুলকানি মনে হয়
নামায রোযায় ওদের অনীহা,
তাই এরা এসবের ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে পাপকে জায়েজ করতে চায়।
অথচ ওদের অসুখ বিসুখে এরা ঠিকই মনে মনে হে আল্লাহ সুস্থ করে দাও বলে ফেলে
অথবা ব্যথা পেলে সামান্য,অস্ফুট স্বরে আল্লাহকে ডাকে
মুলত: ওরা মহান আল্লাহকে ভয় পায় আর
মৃত্যুর সময়ও মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহর নামই নিতে থাকে।
ওরা বুঝে না কোরআন অন্য ধর্ম গ্রন্থের মতো নয়-
যাতে নিজেদের মত মনগড়া শব্দ দিয়ে ঠাসা
তাছাড়া কোর'আন রক্ষার দায়িত্ব মানুষের হাতে নেই
এর রক্ষার দায়িত্ব স্বয়ং মহান আল্লাহ তা আলার
চৌদ্দশত বছর ধরে এর একটি অক্ষরও কেউ পরিবর্তন করতে পারেনি
না পারবে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতে,
সুতরাং কোন লাভ নেই,নাস্তিকরা...
কোরআন যেমন আছে তেমনি চির অক্ষয় থাকবে
বিন্দু পরিমাণ ক্ষতি হবে না ইনশা আল্লাহ।
তোরা সাবধান হ বরং,কারণ ধ্বংস তোদের অনিবার্য।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১৬