somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফুল ও প্রকৃতির ছবি........

১৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
১।



কত কিছুই পাওনা রয়ে গেলো তোমার কাছে
এই শুনো না
একটা দুইটা বেলী পেতে আবেগী এই মন যাচে
এই দিবে কি?
বেলীর মালা সূতোয় বূনে এনে আমার দিতে গলে
বাঁধব তোমায় বাহুডোরে-আহা কত প্রেমের ছলে।
এই জানো না
সাদা বেলীর ফুলে ফুলে মৌপোকারা ঘ্রাণে মাতাল
তোমার প্রেমে মাতাল হতে-তৃষ্ণায় কাঁপে মনের চাতাল।
==================
আরো কিছু ছবি আমাদের গ্রামের, রাস্তাঘাটের। সবুজ চিরদিনই ভাললাগার রঙ। সবুজ গাছপালা বন বনানীতে পা ফেললে অন্য রকম ভাল লাগার অনুভূতি মনে জাগে। আমার মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই এমন হয়। গ্রামে গেলে অনেক ছবি তোলা হয়ে যায়, কারণ অনেক উপকরণ থাকে সেখানে ছবি তোলার মতন। আর সেখানে লজ্জা টজ্জাও নাই ইচ্ছামত ক্লিক ক্লিক । শহরে ছবি তুলতে আমার ঝামেলা হয়। ক্যামেরা সাথে নিতে পারি না। তাছাড়া লজ্জা লাগে অনেকটা। তাই অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখলেও ক্লিক হয়ে উঠে না। আশাকরি ছবিগুলো ভাল লাগবে।

ক্যামেরা - ক্যানন 600ডি, স্থান -চুনারুঘাট

২। দিগন্ত জুড়ে সবুজ আর মাথার উপর এক নয় হাজার নয় কোটি টুকরো আকাশ-আকাশ না নীল, না না নীল নয় শুভ্র অভ্র...... আহা যেদিকে তাকাই শুধু স্নিগ্ধতা। এমন দেশটি কোথায় খুঁজে পাবে তুমি-যেখানে সারি সারি বৃক্ষ তরু-সেজে আছে মাতৃভূমি। এমন মুগ্ধতার আবেশে কাটিয়ে দেয়া যায় নিশ্চিন্ত প্রহর। যে প্রহরে নেই কোন যন্ত্র দানবের বজ্র নিনাদ কিংবা নেই কালো ধূয়ার উড়াউড়ি-চারিদিকে যেমন খাঁখাঁ রোদ্দুর -তেমনি সাঁই সাঁই হাওয়ার রব-এক ঝাটকায় শীতল করে দেয় দেহ মন। দূর্বাঘাসের গালিচায় বসে বৈশাখের কাঁচা আম প্রহর-সে ফেলে এসেছি মেয়েবেলায়। আর যাওয়া হয় না এই মৌসুমে-দূরে থেকেই স্মৃতি করা হয় রোমন্থিত। খুব যেতে ইচ্ছে হয় সেই গ্রীষ্মের কাঁচা আম প্রহরে-কাঁচা কিংবা শুকনা লংকায় মাখানো ঝাঁঝা ঝালের কাঁচা আম ভর্তা-জিবে পানি এসে যায় যে



৩। লাকড়ির চুলায় আলু পুড়ে রেখেছি-গাছের লংকার স্বাদ মিশিয়ে সাদা ভাতে আলুর ভর্তায় তোমার নিমন্তন্ন রইল। আসবে কি? এখানটাতে-যেখানে মিশে আছে খাবারে শুধু শুদ্ধতায়, চাপকলের পানিতে মিটাবে তৃষ্ণা। তোমার তৃপ্তিযুক্ত মুখটা দেখার বড্ড ইচ্ছে এবেলা ...... শহুরে ছেলে তুমি, সে তুমি কি বুঝবে শুদ্ধতার খেলা, সারাজীবন খেয়ে গেলে ফরমালিন, অবশেষে তোমার মনও যে ফরমালিন হয়ে গেলো। নি:শ্বাসে টানো কালো ধূয়া। এখানে এসো তোমায় দিবো বিশুদ্ধ এক ফোটা অক্সিজেন-তুমি ভালবাসবে মুগ্ধও হবে সাথে এই বলে দিলুম। নিমন্তন্ন রইল তবে..........এসো সময় করে।



৪। এমন প্রশান্তি এখানে খুঁজে আর কই পাই-কর্মব্যস্ত দিবস শেষে শান্তির ছায়া খুঁজি। খুব করে চাই এমন তালপুকুরের পাড়ে সবুজের গালিচায় লেপ্টে বসে থাকি। সবুজগুলো আমাকে ছেড়ে সেই রয়ে গেলো আমার মায়াময় গ্রামেই। আর আমি এখানে ইট পাথরের বুক চিরে টেনে আনি দুনিয়ার ক্লান্তি আর বিষাদ। তবুও ভাল লাগে এমন দিনের স্মৃতিমাখা দিনগুলো ভেবে ভেবে। ইচ্ছে হলেই ডুবে যেতে থাকি সবুজের অতলে। ভাল লাগায় ভালাবাসায় ভরে যায় বুক-প্রশান্তির হাসি ঠোঁটে নিয়ে দেশকে ভালবাসি।



৫। এমন একটি আয়েসী প্রহর আমাকে দিবে তুমি-আড়মোড়া দিয়ে ঘুম ভেঙ্গে যেনো দেহমনে লেগে থাকে মুগ্ধতা-আরামে চোখ বোজে ফের চোখ মেলে তোমার আলতো হাসিতে যেনো পাই নির্ভরতা এবং আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া। ওদের মতই ঘুম ভেঙ্গে ভাসতে চাই ভালবাসার স্রোতে-আর দিনভর চোখে লেগে থাকবে মুগ্ধতা। জেগে উঠো কোমা হতে আর কতকাল কাটাবে ঘুমোঘোরে-তুমি যে কেনো মুগ্ধ প্রহরগুলো করতে থাকলে হাতছাড়া। আমার প্রহরগুলো ঐ হাঁসেদের মতন-দিনভর ভেসে বেড়া মুগ্ধতার জলে-ইচ্ছে হলে ধরতে পারো হাত-আমি তোমায় মুগ্ধতা শিখাবো-শিখবে?



৬। পার্পল কালার সেই কয়েক যুগ আগে থেকেই আমার পছন্দ। আচ্ছা তুমি কি জারুল ফুল দেখেছো? ঘ্রাণ নেই রঙ আছে আহা কত দৃষ্টি জুড়ানো সে রঙ। এখন তো আর জারুল গাছে মন ডুবাতে পারি না -যেমন তোমার মাঝে মন ডুবাতে পারি না-তোমার মতই যেনো জারুলগাছগুলো উঁচু থেকে আরো উঁচু হয়ে গেছে-চোখ তুলে আর তাকাই না। আমি আর ধাঁধাতে পড়ব না। তুমি উঁচু হতেই থাকো হাহাহাহা। আমি এমনিতেই মুগ্ধ-আমার দিকে নত হয়ে আছে দেখো হাজারো জারুল রঙা ফুল-আমি ভালবেসে মরে যাই।



৭। আবেগী ফুল রাণী......ফুটে আছে নরম লতায়-ছুঁয়ে দিলেই নুয়ে পড়বে-খসে পড়বে মাটিতে। ইচ্ছে হয় ছুঁয়ে দেই-পরে ভাবি ফুলরাণী থাক্ না নিজের মতো করে ফুটে। আমরা শুধু ওর কাছ থেকে মুগ্ধতা কুঁড়াবো । কখনো কখনো শাটারের ক্লিকে বন্দি করে রাখবো ওর বিয়ের সাজের মুহুর্তটি। ফুলরাণী অল্প আয়ূ -ঝরে যাবে অচিরেই। হয়তো সে আর বেঁচে নেই তবুও ওর মুগ্ধতা আর রঙ দিয়ে মনকে এখনো প্রফুল্ল করে রাখে। ফুলরাণীর স্বার্থকতা এখানেই-সে বিলায়-বিলিয়ে দেয় তার সৌন্দর্য আর আমরা চোখে সেঁটে রাখি সৌন্দর্য আর মুগ্ধতা। ভাল লাগার প্রহরগুলো এমইন-সৃষ্টির প্রতিটি জিনিসই ভালবাসি আর শোকরিয়া জানাই আমার প্রভুর তরে।



৮। সবুজের মধ্যিখানে বসে তোরা দিব্যি প্রেম করে যাচ্ছিস। বেগুনী রঙ জামায় সেজে তোরা কি কথা কয়ে যাচ্ছিস-কয়ে যা আমার কানে কানে। আমি শিখে নেবো প্রেম। আহা তোদের দেখে ভাবছি মুগ্ধতা যদি এভাবে আমাকেও ছুঁয়ে যেতো। কোনো চিরসবুজ মনের কাছাকাছি ছুঁয়ে থাকতাম। তোমার মতই সজীবতায় ভরে দিতাম ক্ষয়ে যাওয়া ক্ষণগুলোকে।



৯। শীতের ঋতু ফুলের ঋতু-ফুলে ফুলে ভরা
রঙ বেরঙের ফুলে সাজে-আমার বসুন্ধরা।
হলুদ গাঁধা লাল ডালিয়া-হরেক ফুলের বাসর
ফুলের বাগে বসেছে ঐ-ফুল পাখিদের আসর।
আলোর ভূবন আলো করে-ফুল ফুটেছে বাগে
ফুলের উপর শিশির ঝরে-কুয়াশার এই মাঘে।



১০। এমন সোনার আলোয় রাঙানো আমার গাও- সে আর কোথা যেয়ে পাবো শুনি
মিশে যাবো সেথা-সবুজে মেলবা পাখা- ফিরে যাওয়ার দিন শুধু গুনি।
নাক টেনে পাই এখান থেকে সোঁধা মাটির ঘ্রাণ-আহা নি:শ্বাসে সুভাস ছড়ায়
এত স্নেহ মায়া মমতায় ঘেরা জন্মভূমি-আলিঙ্গনে আমায় সদা জড়ায়।



১১। আমরা এভাবেই ফুটে থাকি। তোমাদের মুগ্ধ করার জন্য। তোমরা মুগ্ধ হও- দুচোখ ভরে দেখো-আবার ক্যামেরার শাটারে ক্লিক করতে থাকো অবিরত। আমাদের আয়ূ ক্ষণস্থায় তবুও আমরা সুখি নিজেদের বিলাতে পেরে। এতেই আমাদের সার্থকতা। বিলিয়ে দেয়ার আনন্দ আমরা উপভোগ করি। আর তোমরা শুধু নিজেদের নিয়ে ভাবো-অপরের জন্য তোমরা তোমাদের সময় অপচয় করো না। তোমরা মুগ্ধতা দাও না কাউকে-শুধু স্বার্থ নিয়েই এত বড় জীবন কাটিয়ে দাও অনায়াসে।

শীতের ফুল ডালিয়া



সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪
২৮টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×