@কাজী ফাতেমা ছবি
১।
থাকুক যত রাগ অনুরাগ-ভাইয়ে ভাইয়ের সাথে
রাগ অভিমান যায় মিশে যায়-ঈদের আলোর প্রাতে।
বুকের সাথে বুক মিলিয়ে-ঠোঁটে সুখের হাসি
ঈদ আনন্দে সুখ কুঁড়াতে-আমরা ভালবাসি।
কেউ থাকি না বেজার মুখে-খুশি প্রাণে প্রাণে
যায় ভেসে যায় মানুষগুলো-ঈদ আনন্দের বানে।
নামায শেষে কোলাকোলি- একে অন্যের সনে
কষ্টগুলো দূরে পালায়-সুখ যে সবার মনে।
দ্বীন দুঃখিরা মাংস কুঁড়ায়- লোকের দ্বারে দ্বারে
বেলাশেষে নুয়ে পড়ে-মাথা মাংসের ভারে।
কষ্ট হোক না তবু খুশি-উচ্ছ্বাস ভরা মনে
ব্যস্ত সবাই দিনটি ধরে-খুশি আহরণে।
কেউ-বা ঘুরে-সেলফি তুলে-কেউ বা ঘরে রাঁধে
কেউ বা থালায় মাংসের ঘ্রাণে-নাকটি ডুবায় স্বাদে।
২।
রাতের আঁধার কেটে গেলে ঈদের আলো হাসে
চারিদিকে সুখ আনন্দ - হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসে।
ঈদের খুশি ঈদের হাসি, সকাল বেলার মাঠে
ঈদ নামাযে শরীক হতে দলে দলে হাঁটে।
সেমাই পায়েস মুখে নিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে
হিংসা বিদ্বেষ রাগারাগি -যায় যে সবে ভুলে।
আয়োজনের নেই বাকি নেই-কেনাকাটা হাঁটে
ছেলে মেয়ের পড়া বন্ধ- মন বসায় না পাঠে।
যা ইচ্ছে তাই সুখ কুঁড়াতে-ব্যস্ত থাকি সবাই
কোরবানীতে করে মানুষ-মনের পশু জবাই।
৩।
সুখের সীমা নাইকো তবু-মন যে কাঁদে আমার
মায়ানমারে গড়ে উঠলো-যেনো লাশের খামার।
নাই বাড়ি ঘর নাইতো আবাস গুঁজবে কোথায় মাথা
নিজের দেশে পায়ে পায়ে-মৃত্যুর কূপ’টা পাতা।
করুণ তাদের জীবন যাপন-কান্না জীবন সাথী
জীবন তাদের আঁধার কালো-কেউ জ্বালায় না বাতি।
নদীর উপর ভাসছে জীবন-ঈদের খুশি মাটি
নিজের দেশে ঠাঁই হলো’না -নদীর বুকে ঘাঁটি।
নাফ নদীতে ডুবল নৌকা-মরল শিশু নারী
ঈদ আনন্দ জলে ভাসে-জলেই ওদের বাড়ি।
রক্তে ভাসে বার্মা দেশটি-হিংসেয় জ্বলে বৌদ্ধ
মুসলিম নিধন করতে চলছে-দিবানিশি যুদ্ধ।
ছোট শিশু কাঁদছে ক্ষিধায়- মায়ের বুকে পড়ে
তাই-না দেখে মায়ের চোখে-কষ্টের অশ্রু ঝরে।
মুসলিম মরলে কেউ কাঁদে-না-বিশ্ববাসি চুপ যে
রোহিঙ্গারা জ্বালায় মনে-বুকে কষ্টের ধূপ যে!
বুকে গুলি মেরে ওরা-খিলখিলিয়ে হাসে
মাতল ওরা রক্ত খেলায়-নারী পুরুষ নাশে।
অত্যাচারের দৃশ্য দেখে- মন'টা কাঁপে ভয়ে
বিশ্ব হতে মানবতা - যাচ্ছে ধীরে ক্ষয়ে।
০২-০৯-২০১৭
ছবিটি এঁকেছেন আমার টুক্কুস (তা-মীম)
এডিট করেছেন টুক্কুসের মা পিক্স আর্টে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৮