somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» একেকটি ছবিই আমার কবিতার শিরোনাম......(ছবি ব্লগ+কবিতা)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
একটি ধৈর্য্যের পোস্ট পরিবেশনা করেছেন একজন অকবি কাজী ফাতেমা ছবি............... দু:খিত -কষ্ট করে পড়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।

১।



©কাজী ফাতেমা ছবি
আচ্ছা তুমি কি সবুজ ভালবাসো? প্রকৃতি? পাহাড়-নদী?
যেথায় উছলায় সুন্দর-ছলাৎ ছলাৎ জল বয়ে যায় নিরবধি!
তুমি কি প্রজাপতি ভালবাসো-ফড়িং কিংবা উড়ন্ত পাখি
আহা রংধনু রং ছড়িয়ে ডানায়-ইচ্ছে সেথায় দিবানিশি দৃষ্টি রাখি।
আচ্ছা তুমি কি ফুল ভালবাসো? অর্কিড শিউলী বেলী কিংবা বকুল
ঝরে যেথায় মাতাল ঘ্রাণ, ছড়ানো আহা ভালবাসার মুকুল।
ঝরা পাতার কাব্য চিনো-বাজে যেথায় রুনুঝুনু নুপূর
আচ্ছা তুমি কি কখনো দেখেছিলে রোদ্দুর ভরা কোনো এক উদাস দুপুর?
তালপুকুরের জলের আয়নায় দেখেছিলে আকাশ ছবি?
আচ্ছা তুমি কখনো মুগ্ধতা ছুয়েঁ, ছন্দ সুরে হয়েছো কি কবি?
হেঁটেছিলে মেঠোপথে সবুজ ধারে আলে আলে
হেমন্তের শিশিরমাখা পথ হেঁটে
আঙ্গুলের ডগায় শিশির বিন্দু-মেখেছিলে গালে?
ফুল দেখেছো? রং দেখেছো-পেঁজাতুলো মেঘ দেখেছো
কখনো কি মনের মাঝে মুগ্ধতার স্বপ্ন একেঁছো?
বুকের বামে কখনো কি সুর উঠেছে-পাখির সুরে ফুলের সুরে ভ্রমর সুরে
কখনো কি স্রষ্টার সুন্দর গায়ে মেঘে-থেকেছিলো সুখের ঘোরে?
এসব কিছু তোমার ধাতে নেই কি? তুমি কি-গো পাথর মানুষ
কেবল তুমি উড়াও বুঝি, মন আকাশে কড়ির ফানুস।
একদিন এসো দিবো তোমায় মুগ্ধতা সব-বুক পকেটে-নিয়ে যেয়ো
ইচ্ছে হলে সেদিন তুমি এই আবেগীর মনটা চেয়ো (ক্যানন ৬০০ডি)
#একবার_মুগ্ধ-হও
===============================================
২।



©কাজী ফাতেমা ছবি
হৃদয়ের রাজপ্রাসাদের রাজা তুমি-সাজিয়েছি প্রেম ফুলে মহল
এখানে সুখ সুরের অনুরণন-ভ্রমর প্রজাপতিরা দিচ্ছে টহল
তুমি এসো- প্রধান ফটকে পাহারায় আছে, ময়না তোতা টিয়ে পাখি
সাদর সম্ভাষনের প্রস্তুতি নিয়েছে গোলাপেরা- মুগ্ধ হবেই তোমার আঁখি।
এক চিলতে হাসি মেখে নিয়ো ঠোঁটে
হাসির চমকে দেখবে-বেলী বকুল আছে ফোটে।
রানীর মুকুটে সেজে বসে আছি অপেক্ষায়-সিঁড়ি যেনো সিংহাসন
উন্মাদ বেশে দেখে আমায় তুমি করো না একটু্ও শাসন,
আবেগের মূল্য যে পারে দিতে-সে বুঝে অনুভূতির মূল্য
বাহিরের রূপে মুগ্ধ হয় যে-সে কাপুরুষের সমতূল্য।
তুমি এসো-আছি দেখো তোমার দিকে হাত বাড়িয়ে
এবার না হয় যেয়ো আমায় নিয়ে দূরে কোথাও হারিয়ে।
কি আছে জীবনে বলো-এই রাজপ্রাসাদ সিংহাসন-সুখ কোথায়?
হুররাম হয়ে বাঁধতে চাই-না ক্ষমতা লোভের সূতায়.....
হত্যাযজ্ঞ পেরিয়ে চলো ফিরে যাই-যেখানে আছে মমতায় ভরা স্বার্থহীন মানুষ
সেথায় গিয়ে উড়াই মোদের ভালবাসার রঙ ফানুস।
অনুভবের দেউড়ি খুলে তুলে নাও আমায় হৃদবাড়িতে
তোমার জন্য রাজপ্রাসাদ বিত্ত বৈভব সব পারি ছাড়িতে।
#চলো_হারাই
=====================================================
৩।



©কাজী ফাতেমা ছবি
একটি ছাতা দুটি মাথা-আরে কি-যে বলি যা-তা
যেয়ো-না, রোদ্দুর খুব জ্বলে যাবে পুড়ে যাবে
চেয়ে দেখো-চুপসে গেছে তরু লতা পাতা।
এই ভাদ্রের ঝাঁঝাঁ রোদ্দুর দুপুর-তুমি হাঁটছো পথে একা
আমি ঠিক তোমার পিছন-পাচ্ছো না কেনো আমার দেখা?
তাকাও ফিরে তাকাও-এক আবেগী রঙবাহারী রঙ ছাতা হাতে
তোমার ছায়া হয়ে হাঁটছে অবিরত-এই যে তোমার সাথে।
এইশুনো না, না হয় ফেলে দিলাম ছাতা-চলো হাঁটি
পাশটি ঘেঁষে হাঁটবে? নগ্ন পায়ে, হোক না ইট সুড়কির মাটি।
তুমি হিমু হয়ে যাও-আমি রূপা-হলুদ গাঁদা রঙ ফতোয়া শাড়ি
চলো এই শরতের দুপুর রোদ্দুর-ঝাঁঝাঁ জ্বলা পথ দেই পাড়ি।
অহহো-সেই আনমনাই থেকে গেলে-তাকালে না ফিরে পিছু
যাও হেঁটে যাও- একাকিত্ব ছাড়া তুমি তো চাওনি আর কিছু।
আমি না হয় রইলেম পড়ে- দূর্বাঘাসের রোদ্দুর দুপুর পথের বাঁকে
বুঝলে না-গো বুঝলে না-মনোহারী ক্ষণ যায় চয়ে যায় আঙ্গুলের ফাঁকে।
#রঙবাহারীপ্রেম
==============================================
৪।



©কাজী ফাতেমা ছবি
একটি ঝাঁঝাঁ রোদ্দুর দুপুর-বেলা, দিবে কি আমায় দিবে কি?
রোদ্দুরঝরা একটি দিনে-তোমার সাথে নিবে কি আমায় নিবে কি?
এই শুনো না তুমি হবে হিমু আমার রূপা আমি সাজতে পারি
হিমু অলকানন্দা রঙ পাঞ্জাবী - আর রূপা হলুদ শাড়ী রঙবাহারী,
ছাতা ছাড়া হাঁটব পথে-হিমু রূপা পাশাপাশি-হও না রাজী!
চেয়ে দেখো ঐ হলুদ রোদ্দুর-ও হিমু বদ চলো না আজই!
সবুজ পাড়ের হলুদ শাড়ি-পরে সাজবে তোমার রূপা
তুমি হিমু থাকলে পাশে-জীবন রূপার হবে তোফা।
হিমু রূপা পাশাপাশি-আনন্দেতে ভাসাভাসি
বলবে হেসে কানে কানে-ও রূপাগো ভালবাসি।
আর করো-না তেড়িবেড়ি-টেনেহিঁচড়ে যাবো নিয়ে
মনটা তোমার নিবো আমি-জোরে বলে আজ ছিনিয়ে।
#এই_হিমু_হবে?
=======================================================
৫।



©কাজী ফাতেমা ছবি
মেঠোপথ ধরে হাঁটতে চেয়ে এই যে মিনতি ছিলো তোমার প্রতি
একটি দিন উড়তে চেয়েছিলাম মুক্ত হাওয়ায় হয়ে প্রজাপতি
অথচ তুমি বার বার ফিরিয়ে দাও
কর্মের বুকে থাকতে কি যে মজা পাও?
মনের দেউড়িটা রাখো বন্ধ
উঠে না মনে আর সুখ ছন্দ।
ব্যস্ততার ওজুহাতে দূরে থেকে বহুদূর ভেসে যাও-আসো না হায়!
একবার উঁকি দিয়ে দেখো-কি সুখ ছড়িয়ে আছে
মেঠোপথ আর গাছের ছায়ায়!
এসো এখান'টাতে-দেখে যাও সুখের সুপানে স্বস্তি অপেক্ষায় তোমার
তুমি আমি পিঠে পিঠ রেখে বসি-
দেখবে সুখে ঘটে যাবে এক কান্ড ধুন্ধুমার।
যেখানে আছে লাল বসনে দাঁড়িয়ে সভ্যতার নির্দশন
যেথায় বর্ষে চারিদিকে মোহনীয় সবুজের বর্ষন।
ভিজবে এসো-সবুজ বৃষ্টিতে-আলোর পথ ছুঁবে এসো
মোহাবেশে আটকে যাবে বলে দিলাম-কেবল হও ঘরের বাহির
এখানে ফুল-পাখিরা দিনভর করে যায় মুগ্ধতার জাহির!
সভ্যতার বুকে কিছুটা ক্ষণ তুমি আমি-এসো দেই কাটিয়ে
ভালবাসি বলি জোরে-কোকিল সুরে-নীল আকাশটা ফাটিয়ে।
কি আসবে? যাবে আমার সাথে?
একদিন হলুদ আলো ফোটা প্রাতে!
সবুজের গালিচায় নগ্ন পায়ে হেঁটে-মুগ্ধতা শিখাবো তোমায়-যদি চাও
নিমন্ত্রণপত্র ছেড়ে দিলাম পাখির ঠোটেঁ-প্লিজ লাগে হাতে তুলো নাও।
#চলো_হেঁটে_আসি_সবুজের_বুকে
=======================================================
৬।



©কাজী ফাতেমা ছবি
ঝুমকো জবার কানের দোল-তুমি আমায় দাও এনে দাও
তোমার জন্য ভালবাসা-মনে উথলায় নাও জেনে নাও!
সবুজ শাড়ি দিবে আমায়-লাল পেড়ে সে চুমকির সজ্জা
সামনে তুমি এলে শুনো-ঘুমটা টানবো পেলে লজ্জা!
ফুলের মূল্যে প্রেম দিবো গো-মনটা আমার নাও বুঝে নাও
অনুভূবে আছো তুমি-ভালবাসা নাও খুজেঁ নাও ।
হলুদ গাঁদার শাড়ি পড়ে-এই দেখো-না আজি সেজে
দাঁড়িয়েছি পথের বাঁকে-দুপুর রোদ্দুর জ্বলছে তেজে!
ঝুমকো জবা মন যে আমার-যায় চুপসে যায় রোদের তাপে
যদি তুমি না আসো গো-মন যে আমার ভয়ে কাঁপে।
চিরসবুজ অবুঝ এই মন-দিয়ো না গো ভেঙ্গেচুঁড়ে
আমায় ছেড়ে আচম্বিতে-যেয়ো নাগো চলে দূরে।
ভালবাসি শুনো বাপু-ঝুমকো জবা রঙের মতন
নামটি মনের সবুজ পাতায়-রাখছি লিখে করে যতন।
দাও যদি দাও খোঁপায় গুঁজে-ঝুমকো জবা ফুলটি এনে
দেখবে তোমায় ভালবেসে-খুব করে নেই কাছে টেনে।
#দেবে_আমায়_ঝুমকো_জবা?
====================================================
৭।



©কাজী ফাতেমা ছবি
একটি উদাসী দুপুর হতে বিকেল অবধি চলো কাটিয়ে দেই দূর্বাঘাস গালিচায় গল্পের আসন পেতে। সারি সারি গাছের নিবিড় ছায়ার আলিঙ্গনে নিজেদের সঁপে দিই চলো-নরম হাওয়ার বুকে। চারিদিকে নিথর সময়-কেবল তুমি আমি গেয়ে যাবো কালের গান। সময় থেমে যাক এখানেই খানিকটা। আলো-ছায়ার চাদরে বসে চলো নিরিবিলি বুনি স্বপ্ন, আজ না হয় পাথর তুমি- শ্রাবণের নরোম হাওয়ায় গলে যাও।
আচ্ছা এত ব্যস্ত থেকে কিইবা পেলে শুনি
তুমি কেবল হলে আমার মুগ্ধতার খুনী।
আমি বৃষ্টি হই কখনোা হয়ে যাই তুমি শোকে কাতর
আর তুমি বাস্তবতার গা ঘেঁষে হও লোহা কিংবা পাথর।
গলে যাক না হয় আজ পাথর শ্রাবণের ধারায়-
সুর উঠেছে সুখের গো-কান পেতে শুনো মনের পাড়ায়
গলে যাও মাটি হও-নয় হয়ে যাও দূর্বাঘাস গালিচা-
স্বস্তি মনে না হয় আজ-আড্ডায় মাতি হাতে নিয়ে চা।
#একটি_দুপুর_দেবে_আমায়?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫
৩৫টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×