এই মাস দুয়েক আগে থেকে ফুটপাতের কাজ চলছিলো। রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলতে খুব অসুবিধা হচ্ছিলো, বাসগুলো মাঝরাস্তা পর্যন্ত দাড় করিয়ে রাখে যার কারণে রিস্ক নিয়ে পথ চলতে হতো। যদিও আগে থেকেই ফুটপাতখানা প্রস্রাবখানায় পরিণত হইছিলো যার কারণে কিছু পথ রাজপথ দিয়ে আর কিছু পথ ফুটপাত দিয়ে হেটে অফিসে আসা যাওয়া করতাম । বড় বিতৃষ্ণায় চলতে হতো পথ। বর্তমানে আমাদের মতিঝিলের ফুটপাত মেরামত কাজ শেষ পর্যায়ে। ফুটপাতের বেশ কিছুটা অংশ দোকানপাটের দখলে। গাড়ির ঠিক করার কারখানা-যেখানে ফুটপাতে বসে কর্মচারীদের আড্ডা চলে অথবা মটর সাইকেল, কারগাড়ি ফুটপাতের উপরে রাখা হয়। কোনোভাবেই ফুটপাত ধরে হাঁটার ব্যবস্থা নাই। যাই হোক-যারা পথচারী তাদের উদ্দেশ্যে বলছি কথাগুলো।
যেহেতু ফুটপাত ঠিক হয়েছে তবে কেনো আপনারা রিস্ক নিয়ে মাঝ রাজপথে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। আপনারা কী চাচ্ছেন ফুটপাত আবারো প্রস্রাবখানা হোক অথবা মদ গাজাখোরদের আড্ডাখানা? আপনাদের জীবনের মূল্য আপনার কখন বুঝবেন যখন গাড়ি উঠিয়ে দিবে আপনাদের উপর তখন। ড্রাইভারের দোষ পুলিশের দোষ ইত্যাদি বলে গাড়ি ভাংচোর মিটিং মিছিল করবেন তাই?
আপনাদের কাইচ্ছত কোনোদিন কী পরিবর্তন হবে না। আপনারা যদি ফুটপাতে না চলেন তাহলে কেনো সরকার এগুলো মেরামত করে হাঁটার উপযোগী করে তোলে? ফুটপাত ধরে হাঁটলে লোকজন প্রস্রাব করতে ভয় পাবে। খারা হয়ে লজ্জাস্থান বের করতে লজ্জা পাবে। এভাবেই ধীরে ধীরে ফুটপাত পথচারীদের দখলে চলে আসবে। এখানে আর বসবে না গাজাখোরদের আড্ডা। কেউ সাহস পাবে না ফুটপাতের মাঝখানে চেয়ার পেতে বসতে।
একদিন দুইদিন তিনদিন প্রতিবাদ করেই দেখুন না। আপনারা কিছুই বলেন না প্রতিবাদ করেন না। এই কয়দিন হলো আমি ফুটপাতে হেটে যাই। যত বাঁধাই হোক না কেনো। আমাকে দেখলে এখন ওরা পথ হতে সরে দাঁড়ায় এবং বলে দেয় সবাইকে, এই রাস্তা দে রাস্তা দে। একদিন বলেছিলাম এটা ফুটপাত পথচারীদের হাটার পথ। আপনারা মাঝখানে বসলে যাবো কিভাবে। তখন ছোট একটা্ ছেলে কর্মচারী আমাকে রাজপথ দেখিয়ে বলে ঐযে রাস্তা অইখান দিয়া হাইটা যান, দেখেন না আরো মানুষ হাইটা যাইতাছে। আমি চোখ রাঙিয়ে ধমক দিয়া বলি -এটা পথচারীদের পথ। এখানে অন্যরা না হাটুক আমি হেঁটে যাবোই আর তোমাদের পথ থেকে সরতেই হবে। আমাকে চিনে রাখো....... রাজপথ হাটার রাস্তা না। রিস্ক নিয়ে কেনো আমি হাঁটবো অই পথে। ছেলে আর কিছু বলে নাই যারা পাশে ছিলো তারাও শুনেছে। এবং ওরা এখন পথ ছেড়ে দেয়। আমি চাই আপনারাও প্রতিবাদ করুন।
সেদিন ফুটপাতে খালি প্রস্রাব করতে বসবে একটা লোক-আমি জুড়ে চিতকার দিয়া বলছিলাম এই থাম এখানে প্রস্রাব করবি না-মুখ দিয়ে অটো তুই চলে আসছে ঘেন্নায়। বেটা তড়িঘড়ি করে উঠেছে এবং তার বন্ধু বলতেছে আমি তোকে না করতেছি তারপরও তুই বসে গেলি।
প্রতিবাদ করতে শিখুন।ধীরে ধীরে অবশ্যই পরিবর্তন হবে সমাজ। আপনারা তাদের সুযোগ দিলে তারা সুযোগ নিতে কার্পণ্য করবে না। প্লিজ নাগরিক অধিকার নিয়ে নিন প্রতিবাদের মাধ্যমে। নিজেকে পরিবর্তন করুন তাতে দেশ সুন্দর হবে পরিবেশ সুন্দর হবে।
(লেখা অগুছালো কিন্তু ইচ্ছেটা বড়, লেখার ভাষা নিজেদের মত করে বুঝে নিবেন)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১২