সকাল থেকেই গম্ভীর ছিল আকাশটা। কিছুটা ঝড় উঠেই রিমঝিম শব্দ তুলেই বৃষ্টির খেলা শুরু হল। ভার্চুয়াল জগতে ডুবে ছিল মেঘা আর ভাবছিল বৃষ্টিতে ভিজে স্নিগ্ধ হওয়ার কথা। ঠিক তখনই মোবাইল স্ক্রীনে তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির মেসেজ ভেসে উঠল...। মেসেজটা দেখেই মেঘার সকালটাই যেন অন্যরকম হয়ে উঠল।বৃষ্টির সকাল আরো মুগ্ধময় হয়ে উঠল। সাথে সাথে মোবাইল হাতে নিয়ে উত্তর দিল কিন্তু মেসেজটা যাচ্ছিলই নাহ্। তাই আবার মেসেজ করল। মেঘার এবার প্রচুর রাগ হল নিজের উপর। মেয়েটি খুব অল্পতেই মাথা গরম করে ফেলে। মা হারা মেয়ে হলে যা হয়। তবে একটা সময় সে খুব লক্ষী থাকে যখন সে তার প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলে। ছেলেটাকে সে অসম্ভব পছন্দ করে। অনেক বছর হল ছেলেটার সাথে আলাপ কিন্তু এখনও দুজন বেশ একটা ভাল দূরত্ব বজায় রাখে। বন্ধুত্বের চেয়ে বেশী কিছুই নেই। তবে ইদানীং মেঘা একরকম ভাললাগা অনুভব করছে।
মেঘা ছেলেটিকে সহজে কল করেনা তবে আজ অনিচ্ছা সত্বেও কল দিল আর মনে মনে ফোনের অপারেটরগুলোকে বকা দিচ্ছে। কিছুক্ষন রিং হওয়ার পরই ওপাশ থেকে ভালোলাগা কন্ঠ মেঘার কানে আসল। অনেকদিন পর ও এই কন্ঠ শুনতে পেল তাই চুপ করে কিছুক্ষন শুনেই গেল।
ওপাশ থেকে অনবরত হ্যালো বলে যাচ্ছিলো ছেলেটি। অবশেষে ধ্যান ভাঙলো মেঘার। সে ছেলেটিকে শুভ্র সকালের শুভেচ্ছা জানালো। ছেলেটির সম্পর্কে আজ অনেক অজানা কথাই জানলো আজ। অদ্ভুত এক মায়া আছে ছেলেটির মাঝে!! অসম্ভব সুন্দর করে কথা বলতে পারে আর তার হাসিটা পুরো বাচ্চাদের মত। মেঘা যতই কথা বলছে ওর সাথে ততই যেন ডুবে যাচ্ছে তার কথার সাগরে। সারাদিন কথা বললেও যেন বিরক্ত হবেনা। কিন্তু মেয়েটি যে খুব আত্মসম্মানী। তাই জোর করেই কথা শেষ করে রেখে দিল। ছেলেটির কথা ভাবতে ভাবতেই মেঘার বেশীরভাগ সময়ই কেটে যায়। মেঘা ভাবে হয়ত কখনোই বলা হবে না তার ভাললাগার কথা।ওর ভয় হয় হয়ত কখনো আর এভাবে কথা হবেনা।
(সম্পূর্ণ কল্পনা)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২০