somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তাদের খোলা হাওয়া

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমারো পরানো যাহা চাই, তুমি তাই, তুমি তাই গো... আমারো পরানো যাহা চাই".. ছাদের রেলিং থেকে চায়ের কাপটা পড়ে ভেঙে গেল। সিয়ামের গান গাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। সন্ধা নামছে। দূর দিগন্তে লাল আভা। অচেনা জায়গা ছাদের উপর এসে, গীটার নিয়ে টুংটাং করে একটু গান গাইছিল, সাথে চা দিয়েছিল ওর মা। সেটা রেলিং এর উপর রেখে রেলিং এ পিঠ ঠেকিয়ে গাইছিল সিয়াম।
ভূতের ভয় পায়নমি সিয়াম, শহরের বাক্সবন্দি ছেলে-মেয়েরা বিকাল কাটায় ছাদেই, আর এই শহরে, এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়ার লোকও নাই!! লাগোয়া বাড়ি.... পাশের ছাদ থেকেই কাজ টা কেউ করেছে।
ঘাড় ঘোরাতেই দেখাগেল তাদের। হাফ প্যান্ট পড়া এক ছেলে দৌড়ে চলে যাচ্ছে ভেতরে.... কম বয়েসি এক মেয়েও আছে!! সে এত ব্যস্ত নয়,,,, ঘাড় থেকে চুল গুল নেমে এসেছে কোমড়েরও নিচ পর্যন্ত,, সালোয়ার কামিজ পরা, রং কি তা বোঝা যায় না, সাঝের আলোয়। দু'পা এগিয়ে মেয়েটা,, ফেরত এল।
-সরি, সরি,,,, রেজু টা যে এত্ত ফাযিল হয়ছে!!!
-জ্বি,
-জ্বি, মানে আপনি কিছু মনে করবেন না! ও অনেক দুষ্টু,, আপনার গায়ে লাগেনি তো।
-না, কিছু হয় না।
-ও যে , এমন করবে বুঝি নি। কিছু মনে করবেন না

এতটুকু বলে সে আবার চলে গেল, কিছুটা পথ আস্তে,,, তারপর কৈশর সুলভ দৌড়।
সিয়াম রিনরিনে গলায়, কিছু কথা শুনতে পেল, বিব্রতভাব কমাতে হয়ত আঙুলে ওড়না পেচাচ্ছিল সে। কি বলবে, বুঝল না!!!
চায়ের ভাঙা অংশ গুলো, পা দিয়ে ঠেলে দেয় এক কোণে...
গীটার নিয়ে নিচে নেমে আসে সে,,,
অদ্ভুত একটা বিকেল গেল।



.....


-কাপটা কইরে?
-ভাঙছে
-কেমনে?
-জানি না
-কাপ নিয়ে গেলি ভাল, আনলি ভাঙা বলছিস জানি না, আমারে কি কোনদিন শান্তি দিবি না তুই?
-একটা চায়ের কাপ ভাঙায় শান্তি নষ্ট হইল।
-হ,আমিতো পাথর। পাড়া ছাড়া কইরাও তোর শান্তি হয় নাই।

সিয়াম আরো কি কি বলতে যাচ্ছিল, বলল না। দড়াম করে দরজা লাগিয়ে দিল।
চেয়ার ধরে বসে পড়ল নীলুফার বানু। ছেলেটার সাথে এরকম করা ঠিক হল না। ফার্স্ট ইয়ারের ৪সিজি তোলা ছেলেটা পড়াশোনা করে না ৬মাস! নিলু মেয়েটা শেষ করে দিয়ে গেছে। চোখের সামনে বদলে গেছে ছেলেটা।

মায়ের কথায়, মন মেজাজ দুটোয় খারাপ হয়ে গেল সিয়ামের। আসলেই সে মাকে শান্তিতে রাখে নাই। পড়াশোনা করে না ছয় মাস। কিন্তু কি করার আছে ওর! পারে না ও.... ডাক্তারের নির্দেশে নিলুর সব কিছু সরিয়ে ফেলা হয়েছে বাসা থেকে। এমনকি বাসাও চেঞ্জ করা হয়ছে সেদিন। মানিব্যাগ টা খুলে এক পলক দেখে নেয় নিলুকে!!!! স্কুল ড্রেস পরা!! কালো চশমা, বেণি করা চুল ঘুরিয়ে সামনে রাখা। চোখ ভিজে আসতে চাই। একটা বিন্দু কে ঘিরে স্বপ্ন,আশা ভাল থাকতে চাওয়া র সঞ্চারপথ থেমে গেছে। খসে যাওয়া তারার মত ঝরে গেছে নিলু। আগে পেছনে রেখে গেছে কিছু ক্ষতগ্রস্ত মানুষ। সবচে বড় ক্ষতটা সিয়ামের শার্টের নিচেই চাপা পড়ে থাকে। সেই অবাধ্য রকমের ক্ষত তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। মা,র আর কি দোষ!! বাবা পড়ে থাকে দেশের বাইরে। সিয়ামকে আকড়ে বেচে আছে মা!! এভাবে চলা উচিত না!




সকাল বেলা বাসা থেকে বের হয়েছে সিয়াম। চোখে সানগ্লাস, ফুল হাতা শার্ট গুটিয়ে রাখা কনুই পর্যন্ত। কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বের হয়েছে ভার্সিটির উদ্দ্যেশে। মা, এর অসহায় মুখটা, ক্ষতটার চে বেশি পোড়ায়। নতুন করে চলতে হবে আবার। হারতে সিয়াম নারাজ। যাকে পরাজিত করা যায় না, তার কাছে হেরে যাওয়া অথবা মুখোমুখি হওয়া টা নিয়তি।

হাত উঠিয়ে রিক্সা ডাকার জন্য থেমে গেল সিয়াম। স্কুল ড্রেস পরা একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে কিছুটা দুরে, তার পাশে আরেকটা মেয়ে, সেও ইউনিফর্ম পরা।
সাথে মেয়ে আছে দেখেই, আসতে থাকা রিক্সাটাকে ডাকল না, সিয়াম।
দাড়িয়ে থাকল, সিয়াম।
-এই রিক্সা যাবা?
-হ, যামুতো!
তো যাও খাড়াই আছ ক্যা?
স্কুল ড্রেস পরা ছেলেটার, একরকম কৌতুক।

একটু জোরেই হেসে ফেলে সিয়াম। সেই মেয়েটা এবারে ছেলেটার মাথার পেছনে আলতো করে চড় দেয়। ছেলেটাও বেণী ধরে টেনে দেয়। সম্ভবত ওরা ভাইবোন।
মেয়েটার বেণীতেই আটকে গেল সিয়াম। শান্ত পুকুরের মাঝে একটা ঢিল, হালকা করে আন্দোলন করে যায় স্মৃতি গুলো!!

সিয়াম জানে না, রিনরিনে গলার সেই মেয়েটিই তার থেকে একটু দুরেই দাড়িয়ে।
বেণী করা মেয়েটি চিনে ফেলে সিয়ামকে। অনেক দিন পর হাসছে বলেই হয়ত সিয়াম কে সুন্দর লাগছে, ফর্সা গালে হাল্কা এক-একটা করে যত্ন করে দাড়ি গুলো বসানো হয়েছে।



অন্য একদিনের বিকেল। আলুথালু হয়ে ওঠা জীবন টা গুছিয়ে নিচ্ছে সিয়াম। পড়াশুনো , গান ভালই চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ছাদে পায়চারি করে সিয়াম।
-ভাইয়া, আজ তোমার হাতে চায়ের কাপ নাই,
সেই ইঁচড়েপাকা ছেলেটা।
-ও! তুমিই বুঝি সেই!!
-হু!!
-কাপ ভাঙা কি তোমার হবি, নাকি এইম
-না, মানে এইম করছিলাম। গুলতি দিয়ে!
-আর রিক্সাওয়ালার সাথেও কি এরকম কর?
-আরেএএহ, তোমার গীটার কই?
-আজ নাই,
আজকে ঐ মেয়েটাকে আবার দেখা গেল, কোমড়েরও নিচ পর্যন্ত চুল ঝুলিয়ে এসেছে সে।
-শিহাব তোর, স্যার আসছে।
-আপু, আজ পড়ব নারে,
-ক্যান যাহ, বাবা বকবে
-উফফ,,,, ভাইয়া আমি আসি। আমি তোমার কাছে গীটার শিখব।
-আচ্ছা!!
শিহাব চলে যায়!!
-শিহাব! আপনার ভাই?
-হু, আমার ছোট ভাই!!
- দুষ্টু!
-হু, ফাজিলের হাড়!
-হা হা, আমি সিয়াম।
-ও!! আমি শিমকি!!
- সুন্দর নাম।
-ধন্যবাদ!!!! আচ্ছা এখন যায়!! পরে দেখা হবে!
অদ্ভুত মায়াবি মেয়েটার চোখ!!
শিমকির গমন পথে তাকিয়ে থাকে, সিয়াম। কোথায় যেন একটা সুর বেজে যায় সিয়ামের মনের মাঝে, খুজে পাই না সে।




অসময়ে বেল বেজে চলেছে, রান্নাঘর থেকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে দরজা খোলেন নীলুফার বানু!
-স্লামালিকুম খালাম্মা!
-অলাইকুম সালাম, কে মা? চিনলাম না তোমায়!!
-খালাম্মা আমি, শিমকি! পাশের বিল্ডিং এর
-ভেতরে এস, কিছু দরকার মা?
-না, খালাম্মা, মানে আমার ভাই! দুষ্টামি করে, সেদিন ছাদে আপনাদের একটা কাপ ভেঙে ফেলেছে!!!
-ও,তাই বুঝি!
-এইটা রাখুন!!
-না না!! দরকার নেই!!
-না, খালাম্মা রাখুন!! না হয় আম্মু রাগ করবে।
-ও!! তাহলে তো রাখতেই হয়!! তোমার আম্মুকে নিয়ে আসলে না কেন? কে কে আছে তোমার বাসায়?
-আম্মু তো আসতে পারবেননা। আমি, শিহাব আমার আম্মু আর আব্বু থাকি বাসায়!!
-তো ভাবি আসতে পারবেন, না কেন?
-আম্মু অসুস্থ! প্যারালাইজড, বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেন না!!!
- ওহ হো,,, ইশশ
আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলেন নিলুফার বানু, শিমকি বলল খালাম্মা রান্না ঘরে কিছু পুড়ছে মনে হচ্ছে!!
দৌড়ে যাম নীলুফার বানু, পেছনে শিমকিও!!
-এই দেখ, একদম ভুলে গেছি! তোমার সাথে গল্প করতে গিয়ে!!
-অসময়ে এসে গেছি খালাম্মা, এখন তাহলে যাই, আমারো রান্না করতে হবে!

-রান্না কর বুঝি?
-হু, খালাম্মা বাবা, অন্য কারো রান্না খেতেই পারেন না!
-বাহ, ভারি লক্ষ্ণী মেয়েতো তুমি, কিসে পড় মা?
-এইত, টুয়েলভে!! খালাম্মা আজ যায় দেরী হয়ে যাবে!
-আচ্ছা খালি মুখে চলে যাবে!
-অন্যদিন খাব খালাম্মা!!
মাথায় হাত বুলিয়ে, চিবুকে হাত ছুয়ে চুমু খান নিলুফার বানু!
নেমে যায় শিমকি।




দ্রুত গতিতে বাধা পড়ে শিমকির। সিয়াম উপরে উঠছে! মুখের সামনে এসে পড়া চুল গুলো সরিয়ে, আবার নেমে যেতে থাকে। সিয়ামের গতিও শ্লথ হয়ে আসে!! মায়াময় ফর্সামত মুখটা দেখে, একটু থেমেও যায় সে!!
মাঝে মাঝে এরকম থেমে যাওয়াই শীতলতা আছে! এবং আরামদায়ক।






"মাঝির লাগি আছি জাগি, সকল রাতি বেলা, ঢেউগুলো যে আমায় নিয়ে করে কেবল খেলা,,,,
নিজে গাইতে গাইতে থেমে যায় সিয়াম। কেউ জনে গাইছে তার সাথেই।
হ্যাঁ, তাইতো!!
"ঝড় কে আমি করব মিতে, ডরব না তার ভ্রুকুটিতে,
দাও ছেড়ে দাও ওগো আমি তুফান পেলে বাচি!!
তোমার খোলা হাওয়া!! ,
এবারে, অচেনা গায়িকার ভাবোদয় হল!! রেলিং এ পিঠ লাগিয়ে সেও বসেছিল, সিয়ামের মতই!! বুঝতে পেরেই দৌড়ে চলে যায় , ছাদ থেকে।
শিমকি ছিল! সিয়াম দেখল!! মুখে হাসির বক্র রেখা!! কারো খোলা হাওয়াই!!!





বিশাল লজ্জায় পড়ে শিমকি!! কিন্তু কি করত ও!!
এত সুন্দর গানের গলা হয় কারো? তার উপরে তার প্রিয় গান গায়ছিল ছেলেটা!! অদ্ভুত মুগ্ধতা! চোখ বুঝে গাইছিল শিমকি। খোলা হাওয়াও সেও ভেসে যাচ্ছিল!

-ঐ আপু, ঘুড়ি ওড়াতে যাবি?
-ঘুড়ি?
-হ্যাঁ!! সিয়াম ভাইয়া আর আমি ওড়াচ্ছি!!
-সিয়াম!!
-হ্যাঁ, ঐ যে আমাকে গীটার শেখাবে বলল!!
-এহহ, তুই শিখবি গিটার হাতের লেখার মাপ থাকে না, আর তুই শিখবি গীটার!!
-তুই খালি, আমার পিছে লাগিস। হাতের লেখার মাপ না থাকলে কিই বা হয়?
-হয়, হয়!!! লামিয়া কে চিঠি লিখছিস কি হয়ছে?
ক্ষেপে যায়, শিহাব!! খুনশুটি চলে কিছুক্ষণ। তারপর ছাদে চলে যায় সে। শিমকিরও যেতে ইচ্ছা করে। একটা অজানা কিছু গলায় আটকে যায়। যেতে পারে না সে। অন্তত একটা অযুহাত তো চাই!!
আয়ডিয়া!! তুড়ি বাজিয়ে স্বগতোক্তি করে শিমকি। দু কাপ চা নিয়ে ছাদে যায় শিমকি!!



-কিরে, ঘুড়ি উড়ল তোদের?
-হু, ঐ দেখ, কত্ত উচাতে!!!
-তাইতো দেখছি,
-হু, সিয়াম ভাইয়া তুলে দিছে!!
সিয়াম হাসে
চায়ের কাপ এগিয়ে দেয় শিমকি,
গা ঘেষে গজিয়ে ওঠা বাড়িগুলো কে আজ প্রথম স্বস্তিকর ভাবে উপস্থাপিত হল।
চায়ের কাপ হাতে নেয়, সিয়াম।
-ভালই তো গাচ্ছিলেন, চলে গেলেন হঠাৎ,
-কি যে বলেন! আপনার গান শুনে গাইতে , ইচ্ছা হল। দারুন গান আপনি
-ধন্যবাদ, তবে বাড়িয়ে বলবেন না।
- না, একটুও বাড়িয়ে বলিনি তো। গানটা আমার অনেক পছন্দের
-বাহ, তাই নাকি।
চা-য়ের কাপটা বেশি বড় নয়। তাতে বেশি আলাপ ধরেও না। তাই চায়ের কাপ উপচে আলাপ চলল কিছুক্ষণ। পরিচিতির ফিতে কাটা, প্রগাড় আন্তরিকতায় "আপনির" বিভেদ ভুলতে ভুলতে সন্ধা ঘনিয়ে আসে, শিমকির ঘোমটা হয়ে। আকাশ থেকে ঘুড়ি, নেমে যায়। ভাল লাগার ঘুড়ি উড়তেই থাকে।




ছ'মাস হয়ে চলল নিলুফার বানু দের, নতুন ফ্ল্যাটে ওঠা। বিশাল ঝাপটা কাটিয়ে উঠে সিয়াম এখন পড়াশোনা শুরু করেছে। ছেলেটার ভাল থাকতে দেখাটায় তার কাছে সুখের। শিমকির সাথে হয়ত সম্পর্কও তৈরি হয়েছে, নিলুফার বানু প্রশ্রয় না দিলেও বাধা দেন না।
ভাল থাকুক ছেলেটা। শিমকি মেয়েটাও ভাল, দেখতে শুনতে পাল্লা দিয়ে ভাল। সেবার জ্ব্রর পড়ে নীলুফার বানু দু'সপ্তাহ বিছানায় ছিল।শিমকি এসেই তার রাজ্য সামলিয়েছে। পড়াশোনাতেও ভাল, মেয়েটা এবারে চান্সও পেয়ে গেছে ডাক্তারি পড়তে। কেমন জানি সুখ সুখ একটা আমেজ ছড়িয়ে পড়ছে।


গত ছয় মাসে, অনেকটা চেনা হয়েছে শিমকিকে সিয়ামের। নিলু মারা যাবার পর যে সুর মুছে যাচ্ছিল, শিমকির কন্ঠেই সেই সুর ফিরে এসেছে। অতিত এর বিস্মৃতি থেকে বের করে এনেছে সিয়াম কে। আজকাল শিমকি কে দেখলে সিয়ামের হাটু দুর্বল হয়ে আসে।
এমনটা শিমকিরও হয়। আয়নার খাজে খাজে নিজেকে বারবার দেখা, প্রতিবার নতুন স্বপ্নের ঝিলিক।



কোন এক সন্ধায়, মোমের রহস্যময় আলোয় ঠোট গলিয়ে বেরিয়ে আসে, মাহেন্দ্র বার্তা। চুক্তি করা, একসাথে চলা। একজনের আঙুলে প্রতি আরেক জনের অধিকার প্রতিষ্ঠা। ভেসে চলা, খোলা হাওয়াই। ঝড়ের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করেই, ভেসে চলা সেই খোলা হাওয়াই।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×