১) রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর উম্মতের মধ্য মধ্য
থেকে ৭০ হাজার
ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে।
(আহমদ, তিরমিজী,
ইবনে মাজাহ-আবু ওমামা (রাঃ)।
২)
যারা রাতে আরামে বিছানা থেকে নিজেদের
পার্শ্বদেশকে দূরে রেখেছিল, এমন অল্প
সংখ্যক লোক
বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
অবশিষ্ট সকল মানুষ হতে হিসেব নেয়ার
নির্দেশ করা হবে। (বায়হাকি-
আসমা (রাঃ)।
৩)
জান্নাতে জান্নাতবাসীরা প্রতি জুমাবারে বাজারে মিলিত
হবে এবং জান্নাতে জান্নাতবাসীদের
রূপ-সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। (মুসলিম-আনাস
(রাঃ)।
৪) জান্নাতের স্তর
হবে ১০০টি এবং জান্নাতের সর্ব্বোচ্চ স্তর
জান্নাতুল ফেরদাউস।
যখন তোমরা আল্লাহর কাছে জান্নাত
চাইবে তখন জান্নাতুল ফেরদাউসচাইবে।
(তিরমিজী ওবাই ইবনে সামেত (রাঃ)।
৫) জান্নাত সমসত পৃথিবী থেকে উত্তম।
(মুয়াত্তা-আবু হুরাইরা (রাঃ)।
৬) জান্নাতবাসীনী কোন নারী (হুর
যদি পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয়,
তবে গোটা জগত আলোকিত
হয়ে যাবে এবং আসমান জমীনের
মধ্যবর্তী স্থান সুগন্ধিতে মোহিত
হয়ে যাবে। তাদের মাথার উরনাও
গোটা দুনিয়া ও তার
সম্পদরাশি থেকে উত্তম।
(বুখারী-আনাস (রাঃ)।
৭) জান্নাতে একটি চাবুক রাখার পিরমাণ
জায়গা গোটা দুনিয়া ও তার
মধ্যে যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম।
(মুয়াত্তা-আবু হুরাইরা (রাঃ)।
৮) জান্নাতের একটি গাছের নিচের
ছায়ায় কোন সাওয়ারী যদি ১০০ বছরও
সাওয়ার করে তবুও তার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত
পৌঁছতে পারবে না।
(বুখারী, মুসলিম আবু হুরাইরা (রাঃ)।
৯) জান্নাতের মুক্তা দিয়ে তৈরী ৬০
মাইল লম্বা একটি তাঁবু থাকবে।
জান্নাতের পাত্র ও সামগ্রী হবে সোনা ও
রুপার। (বুখারী, মুসলিম আবু মুসা (রাঃ)।
১০) পূর্ণিমা চাঁদের মতো রূপ ধারণ
করে তারা
জান্নাতে প্রবেশ করবে।
(ক) তাদের অন্তরে কোন্দল ও
হিংসা বিদ্বেষ থাকবে
না।
(খ) তারা কখনো রোগাক্রান্ত হবে না।
(গ) তাদের পেশাব পায়খানা হবে না।
(ঘ) তারা থুথু ফেলবে না।
(ঙ) তাগের নাক দিয়ে ময়লা ঝরবে না।
(চ) তাদের চিরুনী হবে সোনার চিরুনী।
(ছ) তাদের ধুনীর জ্বালানী হবে আগরের।
(জ) তাদের গায়ের গন্ধ হবে কস্তুরির
মতো সুগন্ধি।
(ঝ) তাদের স্বভাব হবে এক ব্যক্তির ন্যায়।
(ঞ) তাদের শাররীক গঠন হবে (আদী পিতা)
আদম (আঃ) এর ন্যায়।
(বুখারী, মুসলিম আবু হুরায়রা (রাঃ)।