সিজি একজন কবি। সে একজন তরুনী কবি। ফেসবুক এবং উন্মুক্তব্লগের কল্যানে যে সকল মানুষ তােদর কবিতাকে ডায়রীর পাতায় আবদ্ধ না রেখে পরিচিত মানুষদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, নতুন নতুন পাঠকের মনের খোরাক যোগাচ্ছেন সিজি তােদরই একজন। ব্যক্তিগতভাবে এই মানুষটিকে আমি চিনি না, কখনো দেখিনি, ব্লগিং এর কল্যােণই ভার্চুয়াল সম্পর্ক, গাঢ় বন্ধুত্ব।
বেশ কিছুদিন আগে সে তার কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছিল। অন্য কোন এক কবির সাথে তার দ্বন্দ্ব। কবিতা এবং ফেসবুক পেজ নিয়ে দ্বন্দ্বের শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের আক্রমন ব্যক্তিগত পর্যায়েও পৌছে গেছে। আজ ফেসবুকে অনলাইন হওয়া মাত্র সে দুিট ছবির লিংক দিল। ছবিগুলোতে টিশার্ট পড়া কোন এক তরুনীর ছবির সাথে প্রেমের আহবানমূলক একটি কবিতা এবং সেই সাথে সিজির নাম-ফোন নাম্বার।
ছবি এক: Click This Link
ছবি দুই: Click This Link
বলা বাহুল্য এধরনের ঘটনা ঘটলে কি ঘটতে পারে - মোবাইল বন্ধ করে বসে থাকা ছাড়া এই মুহূর্তে তার কিছুই করার নেই। কিছুক্ষন আগে সে একটি নোট লিখেছে - যার শিরোনাম এই মেয়েটাকে পাগল বলে জানলেও মেয়েটা খারাপ ছিল না
আমি সিজি ফেবুতে সবাই সূর্য বলে চিনে।আমাকে সবাই খুবি ক্যাম্পাস ও খুলনার সবাই আমাকে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত হিসেবে চিনে। মাঝে মাঝে লেখার অভ্যাস থাকায় কিছু লিখি আমার নিজের সব লেখা নিয়ে একটা পেজ খুলি।আমার সব লেখা বিশ্ববিদ্যালয় একজন সিনিয়র মিঠুন দা দেখেন। মিঠুন দা তখন একটা পেজ সুরু করেছিল চতুর্ভুজ কবিতার আশ্রম নামে।তখন তিনি সৌভিক (খুবিতে এমবিএ করছে) এবং সিপাহি রেজা এই তিন জন মিলে পেজ চালাতেন।আমি ১১।১১।২০১১ এ পেজ এ এডমিন হিসাবে যুক্ত হই। তারপর কিছু দিন এমন ভাবে যেতে থাকে।উনি কিছু মানুষকে বলেন যে আমি তার GF।আমি শুনে অবাক হয়ে তাকে এই ব্যাপারে বললে উনি বলেন উনার আগের প্রেমিকার হাত থেকে বাচতে উনি এই কথা বলেছেন।আমার লেখা ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে এমন সময় আমার ডিসিপ্লিনের কিছু সিনিয়রের সাথে সৌভিক দার সমস্যা হয়। উনি তখন কারণ ছাড়া আমার ভুল ধরতে থাকেন এবং আমাকে পেজ থেকে সরানোর চেষ্টা শুরু করেন কিন্তু মিঠুন দার আপত্তির করণে পারছিলেন না।পরে খুব সম্ভবত জানুয়ারি ০৮ উনি জোর পূর্বক আমাকে ডিলিট করেন এবং অন্য একজনকে এডমিন বানান। এটা দেখে মিঠুন দা তাদের ডিলিট করেন এবং আমাকে আবার এডমিন বানান।
কিন্তু তারপর সৌভিক দা সবাই কে মেইল করে আমার নামে উলটা পালটা মেইল দেওয়া সুরু করেন।আমি সহ্য করতে না পেরে অই পেজ এর এডমিন থেকে সরে যাই ২ দিনপর।তারপরও বিভিন্ন ফেক id খুলে আমার পেজ এ গিয়ে আমার ও আমার পরিবার নিয়ে অনেক মন্তব্য করেন।আমাকে বিভিন্ন নাম্বার দিয়ে খুব আজেবাজে কথা বলেন এবং আমি নাম্বার বদলাতে বাধ্য হই।তারপরও তিনি Madhobilota Orytree, Hasnain Khorshed, Nazia Islam Joyita এই সব id দিয়ে আমার নামে একের পর এক কুৎসিত মেইল করতে থাকেন। আমি সবাইকে উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত হই।আমার পরিবার আমার বন্ধুরা সবাই আমার পাশে থাকলেও এক পর্যায় তারাও আমাকে সব সহ্য করতে বলে।
আমি আমার ফোন নাম্বার বাধ্য হয়ে বদলে ফেলি ৩সপ্তাহ আগে।কিন্তু আজ তিনি যা করলেন তা আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে তুচ্ছ প্রাণীতে দাড় করাল।আমি আজ দুপুর হতে বিভিন্ন নাম্বার হতে ফোন পেতে থাকি।আমি অবাক হই যে আজ কেন এত ফোন আসবে।আমার এক বন্ধু আমাকে আজ দুপুর নাগাদ জানান ওইসব ফেক idগুলতে সুন্দর একটা মেয়ের ছবি দিয়ে আমার নতুন এবং পুরাতন সব নাম্বার দিয়ে পোস্ট করেছে।
আজ আমি এত কুৎসিত কথা শুনেছি যে কয়েকবার মরে যেতে ইচ্ছা করেছে।আমি এখন সব ফোন অফ করে পুরা পৃথিবীর সাথে সংযোগ বন্ধ করে বসে আছি।আমার বার বার মনে হচ্ছে আমার দু কলম লেখা কি অপরাধ ছিল??? জনপ্রিয়তা পাওয়া অপরাধ ছিল নাকি তার কথিত প্রেমিকা না হতে পারা????
আমি কবিতা চাই না,জনপ্রিয়তা চাই না।আমি শুধু আমার স্বাভাবিক জীবন চাই।আমার এমন অযাচিত উপদ্রব নিয়ে বেচে থাকার থেকে মরে যাওয়া অনেক সোজা মনে হচ্ছে।আমার কাছে সবাই প্রশ্ন করেছে আমি আজ তার সব উত্তর দিয়ে দিলাম-শুধু এই জন্যে যেন আমি না থাকলেও কেউ বলে এই মেয়েটাকে পাগল বলে জানলেও মেয়েটা খারাপ ছিল না।
প্রকৃত ঘটনাটা কি সেটা আমার জানা নেই, সিজির উল্লিখিত কবি মানুষটিই এই ছবিটি তৈরীর জন্য দায়ী কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু ছবিতে কারও ফোননাম্বার দিয়ে - 'কল মি অ্যানিটাইম' লিখে দেয়া এবং সেই ছবিতে অনেক মানুষকে ট্যাগ করে জানিয়ে দেয়া একজন নারীর জন্য কতটা অপমানজনক সেটা নতুন করে বলার দরকার হয় না।
ভার্চুয়াল এই দুনিয়ায় এই ছবিগুলোর বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা ছাড়া আমি আর কিছুই করতে পারিনি। এই নারী বন্ধুটির উপর কিছু পুরুষের এমন নির্লজ্জ পশুসুলভ আচরনে একজন পুরুষ হিসেবে আমার মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে - সিজির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা।
আলোচিত ব্লগ
কুড়ি শব্দের গল্প
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন