somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমূল পরিবর্তন কিভাবে হবে; জেগে ঘুমিয়ে থাকলে কি বিপ্লব ঘটবে!!

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আমাদের দেশে জনগণ বোধহয় কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না! মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে গেলে মেরুদন্ড শক্ত হতে হয়, কিন্তু এই জাতির মেরুদন্ড খুবই দুর্বল!
তাই এই জাতির সম্ভবত কোনো দিন কোনো উন্নয়ন হবে না। এমন মনে করার বেশ কিছু মূল কারণ রয়েছে। একটু বিস্তরভাবে পর্যায় ক্রমে বলতে হবে,

আমাদের দেশের মানুষ পড়ালেখা করে যেন শিক্ষা জীবনের শেষে একটা চাকুরী পেতে পারে, কারণ ভালো চাকুরী না পেলে সমাজে দাম নেই! বেশিরভাগ মানুষের একটাই লক্ষ্য ভালো রেজাল্ট করা, জিপিএ ফাইভ পাওয়া!
এটাই স্বাভাবিক, কারণ আমাদেরকে তেমনি করে গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষার মূল উপাদান কি তা কেউই গ্রহণ করতে পারছে না, শিক্ষকরা দিতেও ব্যর্থ হচ্ছেন। বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর অবিভাবকগন চাইছেন পরীক্ষার ফলাফল। ছেলে মেয়ে কি শিক্ষা নিচ্ছে সেদিকে খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই। সবারই একই চিন্তা পরীক্ষার আগে কিভাবে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়; প্রশ্ন পত্র ফাঁস,, থাক সেই প্রসঙ্গ।
পড়ালেখা করা হয় জ্ঞান অর্জনের জন্য। কিন্তু আধুনিক যুগে তাই হয় কি? হয় না। স্মার্ট ফোনের যুগ এখন সবাই স্মার্ট হয়ে গেছে। সভ্যতা বেশ ভালো ভাবে বিকশিত হয়েছে এবং গলা টিপে ধরেছে (কথাটা অনেকের শক্ত লাগতে পারে)। ভালো রেজাল্ট, জিপিএ ফাইভ না পেলে পাশের বাড়ির বন্ধুর সামনে মুখ দেখানো যাবে না, ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে না! ভালো কলেজে ভর্তি না হওয়া গেলে মান সম্মান অক্ষুন্ন থাকবে না, ভালো রেজাল্ট করতে হলে ভালো কলেজে ভর্তি হতে হবে, ভালো রেজাল্ট থাকলে ভালো ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া যাবে, ভালো রেজাল্ট করতে পারলে ব্যাংকে একটা ভালো চাকুরী পাওয়া যাবে অথবা কোন মতে টেবিলের নিচ দিয়ে লেনদেন করে একটা সরকারি চাকুরী ব্যবস্থা করা যাবে, এই..! আর কার কি হলো এখন আর দেখার সময় নাই!!

একটা চাকুরিজীবি লোক বিশেষ করে যার বাড়ি আছে, বাড়ি ভাড়া নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তার চিন্তা এমন; দেশে যা ঘটুক তাতে আমার কি?! আমি তো ভালো আছি, আমার বাড়ি আছে মাস শেষে বেতন পাই, ভালো চাকুরী, পদ ভালো, ভালো সম্মান আছে। কে কি করলো সেটা আমার দেখার বিষয় না, ক্ষতি হলে সবার হবে আমার একার তো হবে না! প্রায়ই সকল চাকুরিজীবীদেরই একই চিন্তা-ভাবনা!!
একজন বড় বা ছোট ব্যবসায়ীও কিন্তু এরকম চিন্তাই করে যে, আমি কষ্ট করে ব্যবসা করছি, আমার মূলধন বিনিয়োগ করা, মাস শেষে আমাকে লাভ গুনতে হবে যেভাবেই হোক। কে কি করছে সেটা আমার দেখার বিষয় না। তার মনে এও চিন্তা আসতেই পারে, দেশের ক্ষতি হলে আমার কি? কে দুর্নীতি করলো, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হোক বা না হোক বা ট্রানজিট কে ফ্রি ভোগ করলো, বাজেট কেমন হলো, সরকার কৃষি ও শিক্ষা খাতে কোনো নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করলো কি না, কোথায় কোনো অন্যায় বিচার হলো কিনা, সেটা আমার দেখার বা জানার বিষয় নয়। দেশে আইন আছে, আর ক্ষতি হলে সবার হবে আমার একা হবে না!!

একটা জিনিস সবাই লক্ষ্য করে থাকবেন যে বৃষ্টি হলেই ঢাকা শহরে রাস্তায় পানি জমে যায়! চলাচল ব্যবস্থা অচল হয়ে পরে। মূলত এর জন্য দায়ী কে। প্রশাসন তো দায়ী সাথে জনগণও দায়ী! আমি আমাদের শহরের একটা চিত্র আলোচনা করি, আমাদের এলাকায় যেখানে বাস করি সেখানে বৃষ্টি হলে দু তিন দিন রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা মুশকিল ও বিপদজনক! এর মূল সমস্যা হলো ড্রেইনেজ ব্যবস্থা! এলাকার অনেক নাগরিক বিশেষ করে যারা ভাড়া থাকে তারা ময়লা ফেলার জন্য ডাস্টবিন ব্যবহার করে না, তারা কি করে জানলে অবাক হবেন! তারা ময়লাগুলো পলিথিনে ঢুকিয়ে বেঁধে ড্রেইনে ছুড়ে ফেলে!! এরকম শত শত বাড়ি আর শত শত পলিথিনের ব্যাগ এবার বলেন কিভাবে ড্রেইন দিয়ে পানি নিষ্কাশন হবে। যদি এদের বলা হয় আপনারা ময়লা এভাবে ড্রেইনে ফেলবেন না। উনাদের উত্তর, এটা সরকারি জায়গা আমরা ফেলবই আপনি বলার বা বাধা দেয়ার কে। এদেরকে ফেরেশতাও বুঝাইতে ফেল করবে।
আর আছেন এলাকার বড় নেতা বা মোড়ল একটু প্রভাব, প্রতাপ শালী বা বাড়িওয়ালা যারা বাড়ি ভাড়া দেয় তাদেরকে যদি বলা হয় কোনো উদ্যোগ বা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে; তাহলেও ফলাফল শূন্য। তাদের তো আর সমস্যা নাই তাদের চলাচলের জন্য গাড়ি আছে, মাস শেষে বাড়ি থেকে ভাড়া উঠায়, তাদের বাড়ি রাস্তা থেকে ৩.৫ ফিটের উপরে বৃষ্টি হোক আর বন্যা তাদের কোনো অসুবিধে নেই। তারা নিশ্চিন্তে আছেন। যখন তাদের কে কেউ এই বৃষ্টির পানি ড্রেইনের পানি জমে রাস্তার বেহাল দশার কথা বলা হয়, তখন তারা সুন্দর করে বলে দেন, আমার কি, সমস্যা হলে সবার হবে আমার একার তো আর হবে না..!!
সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার কর্মকর্তাদেরও কাজের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। পরিকল্পনা করে এক রকম আর কাজ করে আরেক রকম! রাস্তা ঘাট, ড্রেইনেজ ব্যবস্থা, ডাস্টবিন ইত্যাদির উন্নয়ন ব্যবস্থা নিয়ে তাদের চিন্তা খুব কম। মাঝে মাঝে উপর মহল বা জনগণ আর নাহলে স্থানীয় লোকের হুঙ্কার টাইপ অনুরোধে কিছু সামান্য কাজ করা হয়। কিন্তু তাও পর্যাপ্ত নয়! আর বাদবাকি সময় দেখা যায় প্রশাসন কর্মকর্তারা উধাও।
(কথা গুলো নিজ অভিজ্ঞতা থেকে গোছানো)

রাজনীতির কথাই যদি বলি তাহলে কি দাঁড়ায়! আমাদের দেশে সঠিক রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি চর্চা হয় না। অনেকেই রাজনীতি ভালো বুঝে, এটা নিয়ে কথা বলে, লেখালেখি করে, কিন্তু তা কতটুকু ইফেক্টিভ? শূন্য (0)..! আমাদের দেশে রাজনীতিবিদ গড়ে উঠছে না, মানে রাজনীতি করতে সচেতন ও সাবলীল নাগরিক কেউ আগ্রহী নয়।
এই দেশে একটা ছেলে রাজনীতিতে পা বাড়ায় তার চিন্তাই থাকে কিভাবে দুর্নীতি করে নিজের পকেট বড় করা যায়!!
আর, যারা রাজনীতিতে আসছে তারা হয়তো কেউ বাবা-চাচাদের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সহযোগিতা পেয়ে আসছে নয়তো ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছে অর্থ ছিটিয়ে বা স্থানীয় দাপটে। এরা এসে সেই অর্থ আর প্রতিপত্তির আর ক্ষমতার পেছনেই ছুটে দেশের কোনো উন্নয়ন মূলক কাজে ছুটে না। ছোট বেলা থেকে কেউই প্রেসিডেন্ট বা মিনিস্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখেনা। রাজনৈতিক অঙ্গনের পাইপ লাইনে এমন কোনো সাধারণ বা অসাধারণ জেনারেশন নেই যারা ভবিষ্যতে এসে রাজনীতি করবে। তাই সেই পুরোনো ব্যক্তি বর্গ ও তাদের ছেলে মেয়ে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছে সোজা ক্ষমতা পেয়ে বসছে; এরা কেউ না রাজনীতি বুঝে না রাষ্ট্রনীতি।
এইসব কার্যসমূহ, একটি দেশ ও জাতির জন্য প্রগতিশীল নয়!!

আমি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের শিক্ষা খাতে ও কৃষি খাতে খুব বেশি প্রাধান্য ও পৃষ্ঠপোষকতা দিতাম। কিন্তু সেই সুযোগ আমার নাই কারণ আমার বাবা কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না বা মামা-চাচা কেউই রাজনৈতিক নেতা না। হলে আমি ঠিকই রাজনীতি করতাম, ক্ষমতায় যেতাম আর সেই দুর্নীতিই করতাম। আসলে সিস্টেমটাই এমন হয়ে গেছে!!
কেন এমন হলো? কারণ, এই সিস্টেম তৈরি করে ফেলা হয়েছে! আমাদের দেশে একটা কথা প্রচলিত আছে যে, "মন্ত্রীর ড্রাইভারও মন্ত্রী"! কিভাবে?! আশ্চর্যজনক হলেও সত্য। প্রধানমন্ত্রী কি আর সব দিকে খোঁজ খবর রাখতে পারে? পারে না। যখন কোনো নেতা কর্মী বা এমপি মন্ত্রীর কারোর তদবিরের প্রয়োজন হয় তখন সে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ধরনা দেয়, যখন সরাসরি কাজ না হয়, তখন তারা ওই ডুপ্লিকেট মন্ত্রীর হাত ধরেন, আর কাজ উসুল করে নেন! এই পথে কিভাবে কাজ হয়, তা অনেক বড় এক রহস্য! আর এই পথে কাজ বন্ধ হয়ে গেলে তখন প্রধানমন্ত্রীর খারাপ দিন শুরু হয়ে যাবে!
এই ভাবেই চলে আসতেছে; একদম নিচের সারির যে নেতা কর্মী যারা আছেন তাদের স্বার্থ উদ্ধার না হলেই তারা চোখ উল্টাবে, মানে দল বদল....! যেখানে খুব সুবিধা পাওয়া যাবে, মন মত কাজ উদ্ধার হবে তারা সেখানেই যাবে!
এখানে আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করছি না বা একজন কাউকে নির্দিষ্ট করে কথা গুলো লিখছি না। লিখছি পুরো অন্তর্বর্তী সমস্যা নিয়ে! প্রথম থেকেই যা হয়ে আসছে তা এখন খুব সহজে বন্ধ করা যাবে না! তার মানে ভুল প্রথম থেকেই হয়ে আসছে, যা এখন শোধরানো সহজ পথের বাইরে চলে গেছে!!

এখন এই সব ভুল শোধরাতে হলে ১৯৭১ এর পেছনে চলে যেতে হবে!! কম করে হলেও মুক্তিযুদ্ধের ২০ বছর পেছনে যেতে হবে!!

[ ধরা যাক, এই ব্লগ থেকে কাউকে প্রধান মন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হলো, যেমন চাঁদগাজী ভাইকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হলো, দুঃখের বিষয় তাকেও এই সিস্টেমের সাথে চলতে হবে! এখন সে যদি সিস্টেম বদলাতে যায় তখন সিস্টেম তাকে বদলে ফেলবে!! ]

তবে এখানে একটা কথা বলতে হয় যে, এদেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি আরও মন্ত্রীগণ সকলেই যারা আছেন তারা সবাই স্বজনপ্রীতি দেখান বেশি!! কেউই দুর্নীতির বাইরে নন। কেউই দুর্নীতি বিহীন থাকতে পারছেন না বা চাইছেন না! সবাই দুর্নীতিকে সাপোর্ট করে যাচ্ছেন চোখের আড়ালে!! কেউই সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর রাখেন না, তাদের দুর্ভোগের খবর রাখেন না, রাখলেও খুব বেশি না!! কোথাও দুর্ভোগ হচ্ছে সেখানে নজর কম বা খুব একটা ধার ধারে না! যখন মিডিয়ার চোখে পড়ে তখন তাদের সেখানে দেখা যায়।
যেমন ঢাকায় একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধ হয়ে যায়, কিন্তু প্রশাসনের কাজের অগ্রগতি নিয়ে কোনও মাথা ব্যাথা নেই! ঠিক যেমনটা নেই নদী মাতৃক অঞ্চল, গ্রাম অঞ্চল গুলো নিয়ে যেখানে বন্যা ও নদী ভাঙ্গন প্রতি বছরই হয়ে থাকে। প্রশাসন এই দিকে উদাস! পারলে বলে দিতো, বন্যার দিন বন্যা হবে নদী ভাঙবেই আমরা কি করবো!!
বৃষ্টির ছাড়াও খরার দিনেও প্রশাসন উদাস! কোথা হতে পানি সংগ্রহ করা যায় বা কিভাবে পানি সরবরাহ করা যায় সে ব্যাপারেও তারা উদাস। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনেও বৃষ্টির দিন পানি জমে থাকে! অথচ বিশুদ্ধ পানি দিতে ব্যর্থ!(এটা একটা উদাহরণ মাত্র, এরকম আরও অনেক রয়েছে)

প্রশাসন মনে করতে চায় না যে, জনগণের টাকায় তাদের বেতন করা হয়! তাদের যে একটা দায়িত্ব কর্তব্য আছে সেটা তারা মনে রাখতে চায় না। তাদের চিন্তা কিভাবে দুর্নীতি করে মোটা অংকের টাকা কামানো যায় আর মাস শেষে বেতন টা কখন পাওয়া যাবে!!


দেশ যেরকম চলছে সেরকমই থেকে যাবে! কোনই প্রগতি হবে না, নতুন আশা জাগবে না, রেভলুশন বা আমূল পরিবর্তন হবে না।
চাকুরীজীবি সবাই ওই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ডিউটি করবে, রাজনীতিবিদ ক্ষমতার গরম দেখাবে, বিচার প্রক্রিয়া পক্ষপাত দুষ্ট হবে, এমপি, মিনিস্টারদের দুর্নীতি বন্ধ হবে না!! শিক্ষা ও অশিক্ষার মধ্যে পার্থক্য উঠে যাবে।

একজন সরকারী চাকুরীজীবির কথা: যে যাই করুক, যা ইচ্ছা তাই করুক, সরকার, মন্ত্রী দুর্নীতি করুক আর নাই করুক আমার মাথা ব্যাথা নাই, আমি ভালো আছিতো এইটুকুই চলবে। মন্ত্রী মিনিস্টার দুর্নীতি করে ব্যাংকে টাকা ভরে ফেলুক আমার তাতে কিছুই আসে যায় না, কোনো মাথা ব্যাথাও নাই! ( এবার বলেন কি করা যায়) এই দেশের মানুষকে দিয়ে আদৌ কি Revolution সম্ভব! আদৌ কি উন্নতি সম্ভব?! ভাবুন.....

এই যদি দেশের মানুষের দেশ নিয়ে চিন্তা ভাবনা হয় তাহলে কিভাবে একটা দেশ সামনে এগিয়ে যাবে??
আমরা পকেটে টাকা, বাড়িতে এসি, চিকন চালের গরম ভাত হলেই কি সব পাওয়া হয়ে গেলো! দেশ নিয়ে কি কারও চিন্তা থাকতে পারেনা বা চিন্তা করবে না?!

একটা জাতির কিছু মানুষ নিজ স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত, কিছু মানুষ ভালো মন্দ বুঝে না এবং বুঝার চেষ্টাও করে না, অধিক সংখ্যক মানুষ ভীতু ভয়ে কোনো কথাই বলতে রাজি না, কিছু মানুষ বলছে হয়তো নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য একটা কৌশল অবলম্বন করছে, আর কিছু সংখ্যক মানুষ কলম দিয়ে যুদ্ধ করছে বা ভার্চুয়াল জগতে লিখে যুদ্ধ করছে! মানে স্বার্থহীনভাবে সত্য বলার মত মানুষ এখন সম্ভবত অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে।
আর এই যদি হয় একটা দেশের সমগ্র জনগণের অবস্থা তাহলে একটা জাতি জাগ্রত হবে কিভাবে..??

আমাদের ছোটবেলায় শেখানো হত, মিথ্যে বললে আল্লাহ্ নামাজ, ইবাদাত কবুল করেন না। যদি সাথে এও শেখানো হতো যে ঘুষ নিলে ও সুদ লেনদেন করলে দুর্নীতি করলে মানুষের ক্ষতি করলে বা খারাপের চিন্তা করলে নামাজ, ইবাদাত কবুল হয় না তাহলে আরও ভালো একটা শিক্ষা পাওয়া যেত। কই আদৌ পর্যন্ত তো কাউকে এমন শিক্ষা দিতে দেখা গেল না!!

Revolution comes in a Millennium. কথাটা একটা সময় ভুল প্রমাণিত হতে পারে! একচুলি হয়ে গেছেই...!! Revolution বা আমূল পরিবর্তন এদেশে এখন বোধহয় অসম্ভব!
.
আমি একবেলা কম খাই, চেষ্টা করতেছি দুই বেলা কম খাওয়ার জন্যে। এটা আমি এই জাতি, এই সমাজ, সমাজ ব্যবস্থা, প্রশাসন, সরকার ব্যবস্থাকে ধিক্কার জানাতে করছি।

পাদটিকা ১ : ক্ষুদিরামকে যখন ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তাকে তার শেষ ইচ্ছের কথা জিজ্ঞেস করা হয়। ক্ষুদিরাম বলেছিলো, তোমরা আমার ইচ্ছে কখনই পূরণ করতে পারবে না! তবুও ব্রিটিশ পুলিশরা জানতে চেয়েছিলো,
ক্ষুদিরাম বলেছিলো, আমি বাংলার স্বাধীনতা দেখতে চাই।

পাদটিকা ২ : আমেরিকায় কোনো বাচ্চাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তুমি বড় হয়ে কি করবে তাহলে সে বলে, 'আমি বড় হয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবো'। প্রায় ৯০% বাচ্চাই একই উত্তর দিবে।


জেগে ঘুমিয়ে থাকলে তাকে ঘুম থেকে কখনোই জাগানো যায় না! জাতি এখন খুব মহা এক ঘুমের ঘোরে আছে, যেখান থেকে জাগাতে হলে বিপ্লব অবশ্যই প্রয়োজন..
....
[ এবং সবশেষে, পোষ্ট খানি সত্যই বড় হয়ে গেছে সে জন্যে আন্তরিক ভাবেই দুঃখিত, কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্যে লেখাটি লেখিনি। শুধুমাত্র দেশ ও জাতির সামগ্রিক অবস্থা কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।]


ছবি কৃতিত্ব: নিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৩
২৪টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×