somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুখ-সমৃদ্ধি দিয়ে পৃথিবী সুন্দর করে গড়ে তুলি...

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আসুন সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করি। হাসি খুশি মনে সবাই একত্র হই। ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলিত হই।
সবাই খুশি ভাগাভাগি করি...

আসুন সবাই মিলে একটা পৃথিবী গড়ি, যেখানে থাকবে না কোনো বৈষম্য, হিংসা, বিদ্বেষ। যেখানে থাকবে না কোনো দ্বন্দ, থাকবে না মানুষে মানুষে ভেদাভেদ! ধনী গরিব ব্যবধান থাকবে না!

এই যে প্রতিদিন হতাহতের খবর পাই; সংঘাত মানুষে মানুষে, সীমান্তে। ক্ষমতার অপব্যবহার, যুদ্ধের মন মানসিকতা, শক্তির বড়াই, রক্তপাত।

আজ এক মায়ের বুক খালি, কাল একটা পরিবার ধ্বংস। ধীরে ধীরে মানব অস্তিত্ব; একদিন এমন হতেই পারে। অথচ এই পৃথিবী, পার্থিব জীবন ক্ষনিকের।

আমরা চাইলেই একটা সুন্দর পৃথিবী গড়তে পারি। তাই না!?
শুধু আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি ঠিক করতে হবে, মানসিকতা পাল্টাতে হবে, মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করতে হবে। আমাদের চিন্তা শক্তি সুন্দর করতে হবে। পৃথিবী সুন্দর করে সাজাতে হাতে হাত মিলাতে হবে। অহংকার, ক্ষমতার গরম এগুলো ত্যাগ করতে হবে।

আজ পৃথিবীর, ঠিক এই সময় অনেকেই না খেয়ে আছে, কেউ ঘুমানোর জন্য কোথাও আকাশের বা গাছের নিচে মাথা গুঁজেছে! কারও শরীরে ভালো বস্ত্র নেই, চিকিৎসার অভাবে অসুখে ভুগছে। এরকম অজস্র কিন্তু লক্ষ্য বা তার অধিক মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
একবার তাদের কথা ভাবি সবাই।

আজ ঈদ, ঈদ মানে খুশি। কিন্তু সবার জন্যে কি!?

বাংলাদেশের এখন উত্তর অঞ্চল সহ আরও অনেক অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত! তাদের কি এই ঈদে হাসি ফুটবে মুখে? না ফুটবে না। বেঁচে থাকার একটা দায় তো আছেই, আছে কষ্ট, দুর্ভোগ, প্রতি নিয়ত জীবন মরণ যুদ্ধ!!
রাঙামাটিতে পাহাড় যে পরিবার গুলো এখন নিঃস তাদের কি অবস্থা?! কেউ হয়তো তা আমরা জানি না!

মায়ানমারে চলছে মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর হামলা, অথচ এরা নিরীহ জনসাধারণ। এটা কি কাম্য কোনো নোবেল বিজয়ী রাষ্ট্র পরিচালিকার কাছ থেকে! নিশ্চিত কাম্য নয়। অথচ আজ ঈদ, আর এই ঈদের দিন তাদের কাছে সাধারণ কোনো দিনের মত কিংবা আরও ভয়াবহ। প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে জেগে থাকা, পালিয়ে বেড়ানো। বেঁচে থাকার জন্য প্রানপন যুদ্ধ। সমুদ্র পার হতে গিয়ে নৌকার ডুবি হয়ে মৃতের ঘটনা খবরে, সংবাদ শিরোনামে, ব্রেকিং নিউজ দেখতে পাই। বেঁচে থাকার জন্যে এই প্রানপন যুদ্ধ। এই মানুষদের চোখে এখন জীবন মরণের একটা সীমা রেখা আঁকা, যা না পার করলেই নয়!

ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, সিরিয়ায় এখন কি অবস্থা! কেউ কি ভেবে দেখি? সেখানে সবাই খাওয়ার সময় চিন্তা করে "দ্রুত খেয়ে নেই, কখন আবার বোম্ব বিস্ফোরণ ঘটে কে জানে?!" মানে সেখানে জীবন এবং মরণ এক ধরণের খেলা! যদি কপাল ভালো থাকে তাহলে জিতে যাবে আর নাহলে পরাজয় মেনে নিয়ে জীবন থেকে চিরতরে হেরে যেতে হবে! আজ ঈদ, অথচ তাদের মুখে কি হাসির বদলে দুশ্চিন্তা বেশি! আজ আমি এই রাত জেগে লেখাটা লিখছি, আর হয়তো সে দেশ গুলোতে কোথাও কোনো বোমা হামলা বা অস্ত্র যুদ্ধ হচ্ছে বা হতে যাচ্ছে, কেউ তো আমরা নিশ্চিত নই!

আচ্ছা এরা তো মানুষ তাই না!? এদের কি অধিকার নেই সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার, স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করার। ঈদের দিনে প্রাণ খুলে জীবন উপভোগ করার! যুদ্ধ তো সব কোনো কিছুর সমাধান নয়। যুদ্ধের নামে হত্যাকান্ড ঘটানো এক ধরণের বড় অনেক বড় অপরাধ। অথচ কোনো ক্ষমতাসীন রাষ্ট্র এদের পক্ষে কথা বলছে না!

আমরা কি পারি না, একটা সুন্দর পৃথিবী গড়তে! যেখানে কোনো যুদ্ধ, দ্বন্দ, বৈষম্য, যুদ্ধের নামে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা থাকবে না। যেখানে মানুষ মানুষ কে স্বার্থহীন ভাবে ভালোবাসবে, সুন্দর করে জীবন সাজাবে!

আসুন সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করি, প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্থান থেকে সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের জন্য প্রার্থনা করি। যেন তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে, তারা তাদের অধিকার ফিরে পায়, সুন্দর সচ্ছল ভাবে যেন জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।

আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজ স্থান হতে অল্প করো হলেও এগিয়ে আসা মানবতার খাতিরে। উচিত সবারই সাহায্যের হাত বাড়ানো। ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া।

আসুন সকল মানুষ আমরা এক হই। ভেদাভেদ ভুলে যাই। সুন্দর একটা হাস্যোজ্জ্বল একটা পৃথিবী গড়ি।
শুধু ঈদ নয়, সদ সময় আমরা ভেদাভেদ, বৈষম্য ভুলে যাই। শান্তি প্রতিষ্ঠা করি।

"There's place in your heart
And I know that it is love"
Michael Jackson এর একটা গানের লাইন।




ছবি স্বত্ব: হৃদয় নামে এক জুনিয়রের তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৬
২০টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×