somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এলিয়েন কি সত্যি আছে, নাকি শুধু গল্প..! ( মুক্ত চিন্তার পোষ্ট )

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সর্ব প্রথম আমরা জেনে নিই এলিয়েন কি..?
- ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েন ( Aliens ) বলতে পৃথিবীর বাইরে ভিন্ন কোনো গ্রহে যে প্রাণী বা জীব বসবাস করে তাদের এলিয়েন বা ভিনগ্রহী প্রাণী বলা হয়। ইংরেজি aliens শব্দটি অনাকাঙ্ক্ষিত বা অনাহুত কিংবা অপরিচিত আগন্তুককে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। ভিনগ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে পৃথিবীর মানুষের অজ্ঞতাই মূলত এই অপরিচিত প্রাণীদের জন্য aliens নামটি বরাদ্দ করেছে।

*এলিয়েন কি তা সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। যে বা যারা জানেন না তাদের জন্য দু মিনিট নীরবতা।

প্রথমে একটা ঘটনা বলি কেন আমি এলিয়েন প্রসঙ্গ আনলাম --
আমার পাশের এলাকার এক ছোট ভাই নাম ধরলাম অপু, আমাকে একদিন বলতেছে আচ্ছা শামীম ভাই এলিয়েন সম্পর্কে আপনার ধারণা কি?!

আমি বললাম, এলিয়েন বলতে বুঝায় ভিনগ্রহী একটি প্রাণী, যা হলিউডের মুভিতে দেখা প্রায় সময়, মাঝে সাঝে বলিউডের নকল করা মুভিতে দেখা যায়। বাস্তবে এলিয়েন বলতে যা আমরা ধারণা করছি সেরকম কিছু নাই।

অপু তো পুরোই চমকে গিয়ে বললো, তার মানে আপনি ভীনগ্রহে এলিয়েন আছে যে এটা বিশ্বাস করেন না!?
সে এতে এতই অবাক হলো যে তার মুখের ভাব পুরো বদলে গেল। এমন একটা ভাব যেন সে কোনো মানুষ নয় কোনো আত্মার সাথে কথা বলছে!!

আমি আবারও তাকে বললাম, না, আমি কোনো মতেই বিশ্বাস করি না যে এলিয়েন আছে, কিংবা থাকতে পারে। এটা সম্ভব না। এটা শুধু কাল্পনিক একটা আবিষ্কার।

ভাই আপনি তাহলে সব জানেন না। এলিয়েন বলতে কিছু আছে। এটা বিজ্ঞান তো সম্পূর্ণ ভাবে আবিষ্কার না করলেও পবিত্র কোরআন মাজীদে এর সম্পর্কে বলা হয়েছে।

এবার আমার মাথা পুরাই ঘুরিয়ে গেলো! এই ছেলে বলে কি? আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আয়াতে বলা হয়েছে সেটা বলো। আর কোরআনে কি সরাসরি এলিয়েনের কথা বলেছে?!

ভাই আমি এখন বলতে পারছিনা তবে জাকির নায়েকের একটা লেকচারে শুনেছি, এছাড়া অনেকে নিশ্চিত হয়ে বলছে যে এলিয়েন আছে। এই বলে অপু ইউ টিউব থেকে ডঃ জাকির নায়েকের লেকচারের ভিডিও টা দেখালো আমাকে।
সেখানে জাকির নায়েক কে একজন প্রশ্ন করেছিল যে কোরআনে এমন কি কি বলা হয়েছে যা বিজ্ঞান আদৌ পর্যন্ত আবিষ্কার বা সমাধান করতে পারে নি?
জাকির নায়েক উত্তর দিলেন, মূলটা বলছি, কোরআনে বলা হয়েছে প্রথিবীর বাইরে জীবন আছে কিন্তু বিজ্ঞান এখনও তা আবিষ্কার করতে পারে নি। বলে রাখি ডাবিংটি ছিলো বাংলায়।

এবার আমি তাকে বললাম মুখে হাসি নিয়ে, ভাই শোনো, জীবন আছে মানে সেখানে হয়তো তুমি বসবাস করতে পারবে কিন্তু জীব আছে এটা কিন্তু বলে নাই।

অপু এবার একটু এক্সাইটেড হয়ে বললো, ভাই জীবন আছে মানেই তো সেখানে নিশ্চয় জীব আছে। তার মানে এরাই ভিনগ্রহী প্রাণী এলিয়েন।

এবার তাকে আমি কিছু সুন্দর যুক্তি দিলাম, সেও পাল্টা যুক্তি-

আচ্ছা যদি এলিয়েন থাকে তাহলে আমরা তাদের দেখতে পাই না কেন? ওরা পৃথিবীতে আসে না কেন? বা এই যে মানুষ মঙ্গল গ্রহে যায় কই সেখানে তো কোনো এলিয়েনের নাম গন্ধ পায় নাই।

হয়তো অন্য কোনো গ্রহে আছে। সব গ্রহ তো আর আবিষ্কার হয় নাই। আর ওদের দরকার নাই বিধায় আমাদের কাছে বা সামনে আসে না।

আচ্ছা, ওরা কি মানুষের মত নাকি কোনো পশু প্রাণীর মত নাকি ছবিতে দেখায় সেরকম?!

ভাই যেকোনো আকৃতির হতে পারে। যেহেতু দেখিনি সেহেতু বলা যাবে না।

যেহেতু দেখো নাই সেহেতু এটা আছে যে এতো বিশ্বাস কেন করতেছো?

ভাই একটা সুরায় বলা আছে।

তো আমি বললাম, আচ্ছা, আমি তো কোরআন বাংলা তাফসির পড়ি সব সময় কিন্তু এরকম কোন আয়াত আমার চোখে পড়েনি। ঠিক আছে অনেক কিছু আমরা খেয়াল করি না। আচ্ছা তাহলে সেই আয়াতটা বাংলা অনুবাদ দেখাও।

এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, সে এই আয়াত এর অনুবাদ পরদিন বলেছিলো।
ভাই এইযে দেখেন আয়াতের অনুবাদ "তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন ।।" ( সুরা শুরা,৪২;২৯ ) আয়াতে বলা হয়েছে ’এতদুভয়ে’ অর্থ্যাৎ পৃথিবী এবং মহাকাশে দুখানেই তিনি জীবজন্তু ছড়িয়ে রেখেছেন।


এবার আমি তাকে পড়ে শুনালাম, "আর তাহার কুদরতের নিদর্শনসমূহের মধ্যে আসমানসমূহ ও যমীনকে সৃষ্টি করা এবং সেই সমস্ত প্রাণীকে, যাহাদিগকে তিনি যমীনে ও আসমানে ছড়াইয়া রাখিয়াছে; এবং তিনি উহাদিগকে যখন ইচ্ছে একত্রিত করিতেও সক্ষম"। এরকম বলা আছে। পৃথিবী ও মহাকাশে দুই খানেই জীব জন্তু ছড়িয়ে রেখেছেন। এর মানে এই পৃথিবীর ভেতর, পৃথিবীর ভেতরের মানুষ তো আর কেউ এলিয়েন না। কিম, ট্রাম্প, সূচি, ভারতের কোনো নাগরিককে যদি তুমি এলিয়েন ভাবো সেটা আলাদা কথা।

ভাই সিরিয়াসলি, আপনি মহাকাশ বলতে যা বুঝালেন তা নয়। মহাকাশ বলতে সৌর জগতের সমগ্র যেখানে গ্রহ নক্ষত্র অবস্থান। ( বিজ্ঞানের স্টুডেন্ট নাতো তাই সব বুঝায়া বলতে পারে নাই)(আমিও কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগের স্টুডেন্ট ছিলাম না)

কিন্তু ওটাতো মহাকাশ নয়। সেটা তো আরেক জিনিস। যেমন মিল্কি ওয়ে। পৃথিবীর বাইরে যে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান তা তো আর মহাকাশ নয়। সেটা তো মহাশূন্য। তা আকাশ হয় কিভাবে।

আপনি কি আকাশ দেখতে পারেন?

আমি জানি ব্রো, আকাশ কেউই দেখতে পারেনা। আমরা যেটা দেখতেছি সেটাকেই আকাশ বলি। এটারই সাতটা স্তর। ভাই শোনো এই এলিয়েন নিয়ে গবেষণার কিছু নাই, থাকলে থাকুক না থাকুক, দুনিয়াতে আরও গবেষণার অনেক বিষয় আছে সেগুলো দেখ। এই এই এলিয়েন হলো স্টিফেন স্পিলবার্গের একটা কাল্পনিক আবিষ্কার। যা ছবিতে দেখিয়ে সে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। যেমন ডাইনোসর দেখিয়ে একটা আকর্ষণ করেছিলো জুরাসিক পার্কে।

তার মানে আপনি বিশ্বাস করেন না যে এলিয়েন আছে! আপনি কি কোরআনের আয়াত কে অবিশ্বাস করছেন?

ভাই শোনো, আমি কোনোমতেই বিশ্বাস করি না যে এলিয়েন আছে। যদি কোনদিন এলিয়েন আমার সামনে এসে দাঁড়ায় আর বলে আমি এলিয়েন তারপরও বিশ্বাস করবো না। আর আমি কোরআনের কোনো আয়াতকেই অবিশ্বাস করার মত সাহস রাখি না।

এটা কেমন কথা, আপনার সামনে দাঁড়িয়ে বলবে আর আপনি বিশ্বাস করবেন না?

নাহ্। কারণ সেটা যে এলিয়েন সেটা তুমি কিভাবে বুঝবে?

কোনো না কোনো উপায় তো আছে এলিয়েন সনাক্ত করার।
আর এলিয়েন খুবই বুদ্ধিমান ও স্মার্ট হয়।

এটা তুমি জানলে কিভাবে যে তারা খুব স্মার্ট!? নিশ্চিত ইংলিশ মুভি দেখে। আরে ভাই সেগুলো হলো কাল্পনিক চলচিত্র।
মানুষ হলো আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের চেয়ে কি বেশি স্মার্ট!? আচ্ছা ওরা যদি স্মার্ট হয় তাহলে আমাদের গ্রহে আসে না কেন? আসুক আমরা মিলিত হই। নাকি।

হয়তো ওদের তেমন কোনো ইচ্ছা নেই! আর নাহলে তারা এ পর্যন্ত খবর পায় নাই।

বলে রাখি মঙ্গল গ্রহে কিন্তু কোনো প্রাণীর সন্ধান পায় নাই। তাকে এটা বলার পর সে বললো, মঙ্গলে নাই অন্য খানে আছে নিশ্চয়!!

ঠিক আছে মানলাম, আচ্ছা তুমি কি জানো ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস সব জায়গায় এক্সিস্ট করতে পারে! ডিসকভারিতে আমি একটা প্রোগ্রাম দেখেছিলাম সেখানে দেখায় শত শত বছর আগে যুদ্ধে অনেক মানুষ মারা যায় যার অনেক অংশ বরফের নীচে চাপা পড়ে যায়। এই মৃত মানুষ গুলো পচে শরীরে যে ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হয়েছে গবেষণা করে দেখা গেছে সেগুলো প্রায় একশ কিংবা এক হাজার বছরের বয়স্ক হতে পারে!

তাহলে ভাই ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস নিশ্চিত ভীনগ্রহে আছে আর সেগুলোই এলিয়েন।

আরে ভাই সেগুলো যদি ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসই হয় তাহলে সেগুলো এলিয়েন হয় কিভাবে!?

ঐ যে ভীনগ্রহে পাওয়া গেছে তাই।
(*কি আর বলবো!?)

ঠিক আছে অপু তুমি তোমার বিশ্বাস নিয়ে থাকো। আমি না দেখা পর্যন্ত কোনো কিছুই বিশ্বাস করি না। আমি খুবই লজিক্যাল মানুষ। কোরআনে বলা হয়েছে 'হ্যা মানুষ তোমরা কি ভাবছো যে তোমরা একাই একটা জাতি, না। তোমাদের ছাড়াও আরেকটা জাতি আছে। সেটি হলো জ্বীন জাতি' ( কোরআনের আয়াত খানি মুখস্ত বললাম ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন)। তাহলে আর কোনো জাতি নাই মানে এলিয়েনও নাই।

এই অপুর সাথে কথোপকথনের মাঝ খানে আরেকটা ঘটনা বলি, নীলক্ষেত গাউসুল আজম মার্কেটের একটা টং দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম আমরা তিন বন্ধু সাথে দুইজন সিনিয়র ভাই। তো কথায় কথায় সাকিব ভাই বললো, এলিয়েন আছে। আমি শুনেছি, কোরআনে বলা আছে এলিয়েন আছে।

আমি বললাম, ভাই বি কুল! আপনি একজন ওয়েল এডুকেটেড পার্সন এই কথা কিভাবে শিউর হয়ে বলেন যে এলিয়েন আছে, তাও আবার কোরআনে আছে এই কথা বলছেন।

আমার এক বন্ধু আছে ও মুফতি। ও আমাকে বলছে যে, হ্যা মানুষ ও জ্বীন তোমরা কি মনে করো যে তোমরাই শুধু জাতি আছো এই ভুমণ্ডলে! তোমাদের ছাড়াও আরেকটা জাতি আছে। সাকিব ভাই বললো।

আমি বলতে যাবো, ঠিক সে সময় সাকিব ভাইয়ের বন্ধু বাকি ভাই থামিয়ে, শোন তুই যেটা বলছিস সেটা ভুল। সূরা জ্বীন এ বলা আছে 'হ্যা মানুষ তোমরা কি ভাবছো যে তোমরা একাই একটা জাতি, না। তোমাদের ছাড়াও আরেকটা জাতি আছে। সেটি হলো জ্বীন জাতি'।
*অনেকদিন আগের কথা, এই ছোট ভাইয়ের সাথে যুক্ত তর্কেরও আগের।
এর পর আর তর্ক বাড়াতে দিলো না, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেললো আমার দুই চৌকষ বন্ধু। কারণ তারাও আমার মত এলিয়েন বিশ্বাস করে না।

অপু আজ থেকে চারদিন আগে একটা ইউ টিউব লিঙ্ক পাঠালো আমাকে। যেখানে একজন মুফতি বলছেন যে; এলিয়েন হয়তো আছে, এদের সাথে কোনোদিন আমাদের দেখা হয়েও যেতে পারে।

আমি তাকে ইনবক্সে বললাম, তাহলে তো ভালোই, এলিয়েনের সাথে যদি দেখা হয়ে যায় তাহলে এবার আমি তাদের সাথে কোলাকোলিটা করে নেব।
আচ্ছা তারা কয় বেলা খায়?! তাদের ধর্ম কি? তারা মারা গেলে দাহ করে নাকি কবর দেয়, রাতে ঘুমায় না দিনে?

পিকে (PK) মুভির কথা মনে পড়ে গেলো। যেখানে এলিয়েন দাবি করা একজন দেখতে মানুষের মতোই দেখতে। আবার E.T ( Extraterrestrial Intelligence ) মুভির কথা মনে পড়লো, যেখানে এলিয়েন দেখতে অদ্ভুত এক প্রাণীর মতোই দেখতে। আপনি কনফিউজড, আমি কিন্তু না।



আমার এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা, এলিয়েন সম্পর্কে তোমার মতামত কি?! তোমার মতে এলিয়েন আছে কি নাই...?

সে বললো যে; যদি গড God থাকে তাহলে এলিয়েন থাকতেই পারে।

এবার আমি বললাম, প্রশ্ন করলাম প্রথমে, God মানে প্রভু এলিয়েন alien মানে কি?
এলিয়েন যদি থেকেই থাকে, তাহলে একদিনও আমাদের সাথে দেখা হলো না কেন?!
সবচেয়ে বড় কথা, এলিয়েনও তো আমাদের এলিয়েন ভাববে তাই না?!

হুম, বলে সে আর কোনো কিছুই বলে নাই।

একজন নাস্তিক দাবি করছে, কোরআনে এতো কিছু এতো পশু প্রাণীর কথা বলা হয়েছে কিন্তু ডাইনোসরের কথা বলা হলো না কেন? সেই নাস্তিক আবার বিশ্বাস করে এলিয়েন আছে।
তাহলে পুরো বিশ্ব জাতি এখন কি করবে তার জন্য। এলিয়েন বানাবে করবে নাকি ডাইনোসর!?
ডাইনোসর যে ছিলো সেটাও কোনো বিজ্ঞানী ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। মুভিতে যে ডাইনোসর দেখায় সেগুলো কাল্পনিক। নূহ (আঃ) যুগে যেসব পশু পাখি ছিলো সেগুলোর বর্ণনা তো বর্তমান পশু পাখির সাথে মিলে যায় হুবুহু। আচ্ছা এ বিষয় নিয়ে অন্য একদিন আরেকটা পোষ্ট দেবো। এই খানে আলোচনা শুধু এলিয়েন নিয়ে।

ডিসকভারি চ্যানেলে একবার দেখলাম এক লোক নাকি এক অদ্ভুত প্রাণীর পায়ের ছাপ তার বাড়ির আঙিনায় ও কৃষিক্ষেতে দেখতে পেয়েছে। অনেক দিন গবেষণার পর জানতে পেরেছে যে এটা পৃথিবীর অস্তিত্বের কোনো প্রাণীর না। এটা একদম ভিন্ন পায়ের ছাপ। তার মানে রাত করে এলিয়েন এসেছিলো। এটা গবেষক দল জানালো।
যে লোকটা এই পায়ের ছাপটা দেখেছে সে কিন্তু আমেরিকার নাগরিক। আর এলিয়েন, জ্বীন, ভুত আত্মা প্রেত সবই কি রাতেই আসে!? দিনে কি এরা ব্যালেন্স শীট মিলায়?!

কোন আমেরিকার নাগরিক নাকি UFO(=Un-identified Flying Object= অচেনা উড়ন্ত বস্তু) দেখেছে। UFO(=Un-identified Flying Object= অচেনা উড়ন্ত বস্তু) বা ফ্লাইং সসার হলো এলিয়েন দের প্লেন/বিমান।

আমার কথা হলো, কিভাবে নিশ্চিত হলো ওটা ফ্লাইং সসার যেটাতে করে এলিয়েন পৃথিবীতে এসেছে বা যাওয়া আসা করে। ওটার নাম যে ফ্লাইং সসার সেটা সে জানলো কিভাবে? নিশ্চিত এলিয়েন বলে দিয়ে যায়নি। তাহলে তো ভালোই সুযোগ ছিলো; বলতে যখন এসেছিলো তখনই একটা এলিয়েন বন্দী করে রাখা যেত।

যাই হোক, এই অনুষ্ঠান তিন বন্ধু মিলে দেখছিলাম। এক বন্ধু বললো খুব অবাক হয়ে, দেখ এলিয়েন আসছিলো পৃথিবীতে এই লোক নাকি পায়ের ছাপ খুঁজে পেয়েছে।

অপর বন্ধু বললো, আরে রাখ তোর এলিয়েন। এটা একটা ভোগাস কাহিনী বানায়ছে। এরকম কিছুই নাই। সব ষড়যন্ত্র। ফ্লাইং সসার আর কেউ দেখলো না কেন, সে একলাই দেখলো!?

এবার আমি বললাম, শোন এগুলা আমেরিকার এক ধরণের গোয়েন্দা অভিযান, যা কোনো গোপন খবর বের করার জন্য এই কাজ করছে। পরে বলতেছে এলিয়েন ফ্লাইং সসার নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে। সব আই ওয়াশ বুঝলি। ওদের গোপন অভিযানের খবর ধামাচাপা দেয়ার জন্যে।
দুইজনই আমার কথায় একমত হয়েছিলো।

আমার কথা হলো, যদি কেউ মনে করেন বা দাবি করেন যে এলিয়েন আছে তাহলে যুক্তি নয় প্রমান করে দেখান যে এলিয়েন আছে।

এটি একটি সম্পূর্ণ মুক্ত চিন্তা ভাবনার বিষয় কাউকে কষ্ট বা খোঁচা দেয়ার জন্য লিখা হয় নি।
উপরের যে ঘটনা ও কথোপকথন গুলো বর্ণনা করা হলো তা সম্পূর্ণ বাস্তব।



ছবি- নেট, ছবিগুলো দেখে কি মনে হয় যে এলিয়েন বা ভিনগ্রহী প্রাণী এরকম দেখতে! আসলেই কি তাই? যার দেখা কোনোদিন পাওয়া গেলো না তাকে কিভাবে আন্দাজ করা যায়!? কার্টুন ছবিতেও তো অনেক রকম তৈরি করা হয় তাহলে কার্টুন ছবিগুলো কি এলিয়েনের কোনো রূপ। কেউ যদি এই যুক্তি দেয় তাহলে তাকে বোকা ভাবা ছাড়া কোনো উপায় নেই। মোনালিসার ছবি লিওনার্দো দা ভিঞ্চি মোনালিসাকে না দেখেই নাকি এঁকেছিলো!

আশা করি সবাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন, এবং সবার মতামত দিবেন।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৮
৪৪টি মন্তব্য ৫১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×