মানুষের সকল মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়ে গেলে যৌন স্বাধীনতার প্রশ্ন আসে, আসবেই, কিন্তু সেটি প্রকাশ করার আগে চারপাশের মানুষের দিকে একটু তাকানোর দরকার আছে।
যে নারী সন্তান নিয়ে ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে তাকে তুমি যৌন স্বাধীনতার কথা বলতে পারো না, সপ্তাহে সাতদিন চৌদ্দ ঘণ্টা পরিশ্রম করেও জীবিকা নির্বাহ হয় না যে পুরুষের তাকে তুমি যৌন স্বাধীনতার কথা বলতে পারো না।
কারো চর্চায় আপত্তি নেই, কিন্তু তা গোপনে হওয়া দরকার। মানুষের বহুগামিতা বিবর্তনবাদেরই অংশ, আবার মানব সৃষ্টির যে ধর্মীয় কল্পিত মত সেটিও বহুগামিতাকে মেনে নেয়। তাই সেটি নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই, পুরুষ তো অবশ্যই বহুগামী (চর্চা কেউ নাও করতে পারে, কিন্তু যৌন মনোবিজ্ঞান বলে, সুযোগ পেলে পুরুষ চর্চা করবে। পার্থক্য হচ্ছে, সুযোগ তৈরি করার জন্য কোন পুরুষ কতটা কীভাবে ‘বিনিয়োগ’ করবে)।
ফলাও করে যৌন স্বাধীনতা (বহুগামিতা) প্রচার করার মত অবস্থায় দেশ এখনো পৌঁছায়নি। আগে দেশের সকল মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হোক, পূরণের ব্যবস্থাটি হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৪