>>আগেকার দিনে এই ৬০/৭০ কিংবা ৮০ এর দশকেও মনে হয় প্রেম/ভালবাসা ছিলো- স্পর্শবিহীন! তখন দুচোখের মিলন, লুকিয়ে এক/আধবার দেখা-সাক্ষাত/ চিঠি-ই ছিল ভালোবাসার মুল বক্তব্য বা অনুভব।। যেখানে ভালবাসা মানেই ফ্রি সেক্স বা লিভ টুগেদার করা যায়, কিংবা যাকে ভালবাসি তার সাথে বিয়ের আগেই বিছানায় যাওয়াটা ছিল অকল্পনীয় ! তাই সে সময় খুব একটা শোনাও যেত না- কোন মেয়ে প্রেমের ফাঁদে পড়ে বিয়ের আগেই প্রেগনেট হয়েছে, কিংবা বিয়ের আগেই কেউ এবরশন করতে গেছে ! কেমন যেন পবিত্রতা ছিল সে সময়ের ভালবাসার মধ্যে ! কিংবা সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে ...!
>>অথচ আজকাল কি দেখা যাচ্ছে- ক্লাস সিক্স/ সেভেন পড়ুয়া ছেলে/মেয়ের বয়ফ্রেন্ড/ গার্লফ্রেন্ড আছে! এইসব পিচ্চি পিচ্চি বাচ্চারা নাকি গার্লফ্রন্ড এর সাথে দেখা করতে যায় কমডম পকেটে নিয়ে! ১৩/১৪ বছরের একটা মেয়ে বিয়ের আগেই প্রেগনেট হয়ে যাচ্ছে! প্রেমের ফাঁদে পড়ে তারা ফ্রি সেক্স বা বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্কে জড়াচ্ছে বা বাধ্য হচ্ছে! এরপর কেউ কেউ অসবাধনতাবশত প্রেগনেট হয়ে এবরশন করাতে যাচ্ছে!
>>যা ঘটছে তা হয়ত বেশি জানার ফল কিংবা প্রযুক্তির অপব্যবহার! অথচ নৈতিকতা পারিবারিক শিক্ষার মূল্যবোধ কোন কিছুই যেন তাদের দমাতে পারছে না! বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় একটা ছেলে/মেয়ের ঠিক কোন বয়সে বয়ঃসন্ধির ব্যাপারগুলো/ যৌনতা সম্পর্কে ধারনা দেয়া উচিত বা নেয়া উচিত এই নিয়ে অনেক মতবিরোধ আছে! অনেকেই মনে করছেন আমাদের পরের জেনারেশনকে এসব বিষয়ে জানানোর দায়িত্ব আমাদের ! এবং সেটা খুব অল্প বয়স থেকেই যাতে করে সে ভাল/মন্দ বিচার করতে পারে কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম কি সেই অপেক্ষায় থাকছে...? থাকলে তো এইসব ঘটনা ঘটতো না! ( আমাদের পাশের এলাকায় এক এস এস সি পরীক্ষার্থী মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছেতাই কান্ড করেছে, জিপিতে জব করে এমন এক ছেলে! মেয়েটা বিয়ের আগেই ৪ মাসের গর্ভবতী ! - সেই প্রেক্ষিতেই এবং এরকম আরো কিছু ঘটনা পেপারে পড়ে লেখা)
>> বর্তমান প্রজন্মের কাছে আমরা এমনটা আশা করি না কিন্তু প্রতিনিয়ত ঘটিত এইসব ঘটনা সত্যি শঙ্কিত করে তুলছে!