somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোর চলে যাওয়াটা আমি সহ্য করতে পারবো না তাই তো একটিবারও বলিনি আসতে তোকে ......।।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তোর চলে যাওয়াটা আমি সহ্য করতে পারবো না তাই তো একটিবারও বলিনি আসতে তোকে ......।। তুই যতটা অবাক হয়েছিস, তার থেকেও কষ্ট বুকে চেপে রেখে আমি তোকে আসতে নিষেধ করেছি।। কতবার ইচ্ছে হয়েছে, বলে ফেলি...।কিন্তু বলিনি কারন আমি জানি তোর আসাটা হত অদ্ভুদ... ! চারপাশ জুড়ে থাকতো কত আয়োজন... ! স্তব্ধতা / হতবাক... হতবিহবল অবস্থা কাটিয়ে একসময় আমরা হাজারো কথায় ভেসে যেতাম আবার... তোর নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পেতাম একদম খুব কাছে থেকে... নিজেকে দেখতে পেতাম তোর চোখে...। ভয়ে/ লজ্জায় অজানা এক শিহরণে কেঁপে উঠতাম বারবার তোর কথাতে...হাসিতে... ! আলতো করে তুই হয়ত একটু ছুঁয়েই ফেলতি আমায় কিংবা ধরে ফেলতি হাতটা... আমি কি পারতাম তখন নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে? বল? অজানা এক আনন্দে... ভাললাগায় ছুঁয়ে যেত মন... ইচ্ছেঘুড়িটা তার লাটাইয়ের সুতোটা হয়ত ছেড়ে দিত অনেক দূরে ... কিন্তু আমি জানি কিছুক্ষন পড়েই পড়ত টান... ! আমার/ তোর দুজনের-ই হয়ত তখন ভাসতে ইচ্ছে করতো শূন্যে ...। হয়ত দিয়েই দিতাম আমরা ছুটি আমাদের সব বিষাদকে... ভুলে যেতাম বাস্তবতাকে...। একি তোর চোখের নীচে এত কালি পড়েছে কেন রে? বলতাম আমি! তুই এত শুকিয়ে গেছিস কেন রে হারামী? আর তোর মুখে এত দাগ, চোখের নীচে কাজলের মত কালি... এমন হয়েছিস কেন, বলে চলতি তুই...? এভাবেই হয়ত দুজনের কষ্টকে দুজনে শুষে নিতে চাইতাম...কিন্তু চরম বাস্তবতা তো তখন আসতো ... যখন তোর চলে যাওয়ার সময় হত...। তুই চলে গেলেই তো চারপাশটা আবার কালো হয়ে যেত রে... বুকের ভেতরটা শুন্যতায় হাহাকার করে উঠত... চারপাশ জুড়ে পড়ে থাকা তোর পায়ের চিহ্ন দেখে আমি যে ডুবে যেতাম একেবারে...। এই ভাল দেখবো না... পাশে বসা হবে না... কথা হবে না... একটুখানি ছুঁয়ে দেখা হবে না...। এত্ত এত্ত অপূর্ণতার ভীড়ে থাকুক না এই অপূর্ণতাটা শুধু তোকেই ঘিরে.........।
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×