>আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র কোরআনে আগে পুরুষের পর্দার কথাই বলেছেন! মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেছেন,’ হে নবী, আপনি ঈমানদার পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং গোপন অঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য উত্তম পবিত্রতা রয়েছে! নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহ্ এ ব্যাপারে জানেন। আর ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং গোপন অঙ্গের হেফাজত করে! - সূরা নূর, আয়াত- ৩০। (সুত্র- ইত্তেফাক- ১৬ পৃষ্ঠা - ধর্ম চিন্তা বিভাগ) ! সৃষ্টিগত কারনে পোশাকের পর্দার ব্যাপারে নারীদের প্রতি ইসলাম কঠোর নির্দেশ দিয়েছে বটে কিন্তু দৃষ্টিগত ও হৃদয়গত পর্দায় পুরুষদেরকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। --- প্রসঙ্গ এখানেই-
> কারন বেশির ভাগ পুরুষ প্রতিক্ষেত্রে শুধু নারীর পর্দার কথা বলে বেড়ায় অথচ নিজেদের পর্দার কথা এড়িয়ে যায়! আর সে কারনেই একজন নারী যখন নির্যাতিত বা ধর্ষিত হয় সে সময় কিছু পুরুষ নির্যাতনকারীকে এবং ধর্ষণকারীকে দোষী না মেনে আগেই নারীর পর্দার কথা তোলে, এবং যখন একটা ৩/৪ বছরের বাচ্চা ধর্ষিত হয় তখন তারা সেই ধর্ষণের পেছনেও নারীর পর্দার কথা তোলে, ভুলে যায় নিজেদের পর্দার কথা!
>হযরত বুরায়দা ইবেনে আল- হাসিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত , রসুল (স) হযরত আলী (রাঃ) কে বলেন- ‘হে আলী! দৃষ্টির পর দৃষ্টি ফেলো না। অনিচ্ছাকৃত যে দৃষ্টি পড়ে তার জন্য ক্ষমা পাবে কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টির জন্য ক্ষমা পাবে না- আবু দাউদ। (সুত্র ইত্তেফাক- ১৬ পৃষ্ঠা - ধর্ম চিন্তা বিভাগ) ! তিনি পুরুষদের উদ্দেশে বলেছেন- “পথের হকগুলির একটি অন্যতম হক হলো- দৃষ্টিকে সংযত রাখা”! (বুখারী শরীফ ) - প্রসঙ্গ এটাই-
>অস্বীকার করবো না অনেক নারীই চলাফেরায় সংযত নয় কিন্তু তাই বলে কি পুরুষের দৃষ্টি অসংযত হতে হবে? প্রসঙ্গ এটাই যে নারী -পুরুষ উভয়কেই পর্দা করতে হবে, শুধু শুধু নারীদের উপর সব দোষ চাপিয়ে নিজেদের পর্দার ব্যাপারটাকে আড়াল করাটাও কি ঠিক? আমি মনে করি- নিজের ঈমান নিজের কাছে, আমি নিজে সংযত হবো না আর দোষ চাপাবো নারীদের ঘাড়ে এটাও তো ঠিক নয়!