somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ফকির ইলিয়াস
আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

প্রবাসীদের হেয় প্রতিপন্ন করার আগে

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রবাসীদের হেয় প্রতিপন্ন করার আগে
ফকির ইলিয়াস
========================================
আমরা ইদানীং একটি ট্রেন্ড লক্ষ করছি। কেউ কেউ প্রবাসীদের নানাভাবে হেয় করার চেষ্টা করছেন। তারা প্রবাসীদের শ্রেণিবিভাগও করছেন। তারা বলছেন- যারা আর কোনোদিন দেশে ফিরে যাবে না, এরা দেশের শত্রু। এরা বাংলাদেশকে ভালোবাসে না। এরা ভোগবাদী। এমন অনেক কথা।
আমি এ বিষয় নিয়ে লিখতে চাইনি। কারণ আমি যে নগরে থাকি, এখানে অনেক মানুষ অনেকভাবে নিজেদের দিকে দৃষ্টি ফেরাবার চেষ্টা করে। এমনকি কেউ কেউ দিগম্বর হয়েও মানুষের নজর কাড়তে চায়। কিন্তু মানুষের কি তাতে নজর দেওয়া উচিৎ? না উচিৎ নয়। কারণ এদের কাজই হলো- অন্য কাউকে কারণে অকারণে হেনস্থা করা। এদের এ ফাঁদে মানুষ পা দেবে কেন?
বিদেশে আমরা যারা থাকি, মাঝে-মাঝেই বিভিন্ন অন্ষ্ঠুান করে থাকি। এ সব অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে অতিথি নিয়ে আসা হয়। অনেকেই এতে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। বিদেশে, প্রবাসীদের অর্থে আকাশে ওড়া, হোটেল, খাওয়া, নগদ- ইত্যাদি কে না পেতে ভালোবাসে! আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে অনেক সময় আমার কাছে অনেকের নাম প্রস্তাব আসে। আমি কারো নাম কখনো এপ্রুভ করেছি। কখনো প্রত্যাখান করেছি। আমি কিছু ‘ধাউড় লেখক-কবি’কে জানি, যারা অভিবাসী বাঙালির এমন সম্মান পাওয়ার উপযুক্ত নন। কেন নন তা আমরা ক্রমশ দেখছি।
কেউ কেউ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আয় নিয়ে প্রায়ই বুলি আওড়ান। তারা রাজস্ব বোর্ডের অংশিক হিসাবও দেখান। এ গুলো সবই তাদের মতলববাজি। প্রবাসীদের হেয় করার একটি কায়দা মাত্র। এ সব কায়দাবাজদের চিহ্নিত করা দরকার। এদের তালিকা করে রাখা দরকার।
প্রবাসীরা কী করছেন বাংলাদেশের জন্য? তা কি বারবার আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে? আমি ব্যক্তিগতভাবে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার ধন্যবাদ দিই। তিনি যতবারই প্রবাসীদের সমাবেশে কথা বলেন, তিনি আহ্বান করেন- ‘আপনারা দেশে এসে কোনো অসুবিধায় পড়লে আমাকে জানাবেন। শেষ বয়সে হলেও আপনারা বাংলাদেশে সময় কাটাবেন, আমি এ প্রত্যাশা করি’।
প্রধানমন্ত্রীর নিজ সন্তানেরা বিদেশে থাকেন। আরেকজন রাজনীতিবিদ বেগম খালেদা জিয়ার সন্তানও বিদেশে থাকেন। এ তালিকা চাইলে আরো দীর্ঘ করতে পারি। যা বাংলা ভাষাভাষী সকলেই জানেন। এ বছরের শুরুর ডাটা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৩১ বিলিয়ন (তিন হাজার ১০০ কোটি) ডলারে, যাতে প্রবাসী শ্রমিকদের অবদানই বেশি।
২০০৮ সালের পর ২০১৬ সালেই বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী বিদেশে গেছেন। সরকারি ও বেসরকারিভাবে গত বছর দেশের বাইরে গেছে প্রায় সাড়ে সাত লাখ কর্মী। পুরনো শ্রমবাজার খোলার পাশাপাশি নতুন নতুন বাজারেও লোক পাঠানো শুরু হচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীকর্মী যাওয়ার হারও বাড়ছে। শুধু অদক্ষ কর্মীই নয়, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, নার্স থেকে শুরু করে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির হার বাড়ছে।
সারা দেশে দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে নির্মাণ করা হচ্ছে অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়ার পাশাপাশি ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ উন্নত দেশেও কর্মী পাঠানো শুরু হচ্ছে। নতুন কয়েকটি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। কোটি প্রবাসীর পাঠানো টাকায় মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জনশক্তি রপ্তানিতে গত আট বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে সাত লাখ ৪৯ হাজার ২৪৯ জন শ্রমিক গেছেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছেন ওমানে, এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৪৮ জন। ওমানের পরই সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবে গেছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৫০ জন। কাতারে গেছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৭ জন। এর পরই বাহরাইনে ৭১ হাজার ৭৪০ জন, সিঙ্গাপুরে ৫৪ হাজার ও কুয়েতে গেছেন ৩৮ হাজার ৬৮২ জন বাংলাদেশি শ্রমিক। এ ভাবে ১৬২টি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো হচ্ছে। শুধু সৌদি আরবেই বাংলাদেশি শ্রমিক আছেন ২৬ লাখের বেশি। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সে সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি।
এ সব হলো বর্তমানের চিত্র। আর অদূর অতীতে? বাংলাদেশ নামক দেশটির জন্মেরও আগে থেকে এ ভূখণ্ডটির জন্য প্রবাসীদের অবদানের শুরু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা লড়তে লন্ডন থেকে ব্রিটিশ আইনজীবী পাঠান প্রবাসীরা। স্বাধীনতা সংগ্রামে অর্থ-অস্ত্র জোগানের পাশাপাশি বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ববাসীর সমর্থন আদায়ে প্রবাসীদের ভূমিকা ইতিহাস পড়লেই জানা যাবে।
সশস্ত্র লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হওয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রটির বৈদেশিক রিজার্ভ গঠন এবং জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের সূচনাটিও প্রবাসীদের অবদান। বিগত কয়েক দশক ধরে অব্যাহত বিদেশি মুদ্রা পাঠিয়ে দেশটির অর্থনীতির চাকাও সচল রাখছেন এ প্রবাসীরাই।
তাহলে কারো ব্যক্তিগত ক্ষোভের শিকার কেন হবেন এ প্রবাসীরা? এমন নিমকহারামরা চোখে কি ছাই দিয়ে হাঁটছে? খুঁজলে দেখা যাবে, এদের ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজনের কেউ কেউও বিদেশে থাকে। আরো খুঁজলে দেখা যাবে, বিদেশে পড়তে গিয়ে এদের ছেলে-মেয়েরা সেই প্রবীণ প্রবাসীদের আনুকূল্য চেয়েছে এবং পেয়েছে। তাহলে অভিবাসী বাঙালীকে হেয় করা কি আত্মঘাতী হয়ে যাচ্ছে না?
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রবাসীরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে আমাদের অর্থনীতিকে সব সময় জোরদার ও সমৃদ্ধ করে আসছেন। পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সমাজজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রবাসীরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন। প্রায় ১ কোটি প্রবাসী দেশের ৩-৪ কোটি মানুষের জীবিকা নির্বাহসহ জীবন-মানের সঙ্গে জড়িত।
বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। প্রতিটি গ্রামেই যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। হয়তো সব জায়গায় রাস্তাঘাট ভালো নয়। তবে যোগাযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখন গ্রামে আর ঝুপড়ি ঘর দেখা যায় না। প্রতিটি ঘরই এখন সিআই সিটে নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এর পেছনে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে প্রবাসীদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদান এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে অধিক পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিবেশী ভারত বিশ্বের প্রধান রেমিট্যান্স আয়কারী দেশ। এরপরই রয়েছে চীন। রেমিট্যান্স আয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর মতো প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা ও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে কর্মসংস্থান বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এ চিন্তায় যখন এগোচ্ছে বাংলাদেশ তখনই একটি চক্র প্রবাসীদের কটাক্ষ করছে। এটা খুবই দুঃখ ও লজ্জাজনক ব্যাপার।
বিদেশের বিভিন্ন দেশে বাংলা শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে প্রজন্মকে। একটি উদাহরণ দিই। বাংলাদেশ থেকে হাজার মাইল দূরেও মনের অজান্তেই মুখে চলে আসে মায়ের ভাষা। নিশীথ সূর্যের দেশে জাপানে প্রবাসী বাঙালিদের দ্বিতীয় প্রজন্ম, অর্থাৎ শিশুরাও বাঙলা ভাষায় স্বচ্ছন্দ হয়ে উঠছে পারিবারিক এবং সামাজিক প্রচেষ্টায়।
জীবনের প্রয়োজনে প্রতিবছর অনেক বাংলাদেশি পাড়ি জমান এই দ্বীপরাষ্ট্রে। জাপান প্রবাসীদের অনেকেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঐ দেশের নাগরিকদের সঙ্গে। আবার পুরোদস্তুর বাঙালি পরিবারের সংখ্যাও নেহাত কম নয়, বরং তুলনামূলক বেশিই বলা চলে। তাদের ঘর আলোকিত করা সন্তানরাই আজ দ্বিতীয় বাঙালি প্রজন্ম। সঠিক সংখ্যা জানা না থাকলেও এ দ্বিতীয় প্রজন্ম বেশ ভালোভাবেই জানান দিচ্ছে জাপানে। শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও নিজ সন্তানকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির শেখানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেক অভিভাবক। সংস্কৃতিমনা অভিভাবকদের মধ্যেই এ প্রচেষ্টা বেশি। ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের বাংলা পড়া এবং লেখার অভ্যাস করান তারা। সন্তানের সঙ্গে কথা বলেন বাংলায়। জাপানে বাংলা ভাষার প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন অনেকে। এ চেষ্টা চলছে আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্সেও।
বিদেশে কতজন কৃতি বাঙালি থাকেন- সেই হিসাব না-ই দিলাম। এরা বিদেশে থেকেও দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এটা কে না জানে, গ্লোবাল ভিলেজে বসে একটি দেশের জন্য অনেক কিছুই করা যায়। আর বাংলাদেশের বিষয়ে অনেককিছুই বিদেশের বিভিন্ন ফোরামে সিদ্ধান্ত হয়- তা তো নতুন করে বলার দরকার নাই।
তারপরেও যারা প্রবাসীদের প্রতি আঙুল তুলে, প্রবাসীদের এদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। দাঁড়াতে হবে বাংলাদেশের মানুষকেও। আমি সকল অভিবাসী বাঙালিকে সবিনয় অনুরোধ করি, এমন হীনম্মন্যদের প্রবাসীদের কোনো আয়োজনে আমন্ত্রণ জানাবেন না। এদের নিজ খরচে বিদেশে আনবেন না। এমনকি এমন চিহ্নিত কেউ যদি বিদেশে এসে প্রবাসীদের সভা-সমাবেশ-সিম্পোজিয়ামে হাজির হয়, এদের বর্জন করুন। তাদের প্রশ্নের সম্মুখীন করুন।
------------------------------------------
দৈনিক খোলাকাগজ ॥ ঢাকা ॥ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সোমবার প্রকাশিত
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪১
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

আমরা সবাই জানি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও কম বলা হবে। ইরান ইজরায়েলকে দুচোখে দেখতে পারেনা, এবং ওর ক্ষমতা থাকলে সে আজই এর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।
ইজরায়েল ভাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নগ্ন রাজা কর্তৃক LGBTQ নামক লজ্জা নিবারনকারী গাছের পাতা আবিষ্কার

লিখেছেন মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০

LGBTQ কমিউনিটি নিয়ে বা এর নরমালাইজেশনের বিরুদ্ধে শোরগোল যারা তুলছেন, তারা যে হিপোক্রেট নন, তার কি নিশ্চয়তা? কয়েক দশক ধরে গোটা সমাজটাই তো অধঃপতনে। পরিস্থিতি এখন এরকম যে "সর্বাঙ্গে ব্যথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×