somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদীর +জন্ম *রাজনীতি -মৃত্যু

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আল্লামা সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী
জন্ম - ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯০৩ আওরঙ্গাবাদ, মহারাষ্ট্র, হায়দ্রাবাদ, ব্রিটিশ ভারত ।
মৃত্যু - ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ (বয়স ৭৫) বাফেলো, নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

হিজরী সন ১৩২১ সালের ৩রা রজব ১৯০৩ ইং জনাব আবুল আলা মওদূদী (পাকিস্তানের) আওরঙ্গাবাদ শহরের জনাব আহমদ হাসান মওদূদীর গৃহে জন্ম লাভ করেন।[/sb

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যেখানে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০% মুসলিম। বাংলাদেশের মানুষ স্বভাবতই ইসলাম প্রিয়, কিন্তু ইসলামিক জ্ঞান এবং কুরআন হাদিসের জ্ঞানের সুষ্ঠ চর্চার অভাবে বেশির ভাগ মানুষের মাঝে জীবন সম্পর্কে ইসলামের সঠিক ধারণার অভাব রয়েছে।

আল্লামা সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী ইসলামকে মুসলমানদের পতন যুগে এত সব ফেতনা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল যার ফলে মুসলমান সত্যিকার ইসলাম থেকে দূরে সরে পড়েছিল। তার একটি দ্বীন ও দুনিয়ার পৃথককরণ। তার ফলে একজন মুসলমান, এমনকি একজন আলেমের মুখেও এ বিদ্রপবাণী শুনা যেত - শাসন ক্ষমতা? পার্লামেন্ট? বিচার বিভাগ? লেনদেন? এ সবের সাথে ইসলামের কি সম্পর্ক? এতো সব দুনিয়ারী ব্যাপার। নামাজ পড়, রোযা রাখ, পারলে হজ্জ কর, যাকাত দাও, কালামে পাক তেলাওয়াত কর, তাসবীহ-তাহলীল কর- এইতো ইসলাম। এ পতন যুগে সর্ব প্রথম মাওলানা মওদূদীর মুখে এ শ্লোগান ধ্বনিত হয়- ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ভুলে যাওয়া সবক তিনি শিখিয়ে দেন এবং সমগ্র মুসলিম বিশ্বে আজ এ শ্লোগান ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হচ্ছে, ইসলামের মৌল শিক্ষাই এই যে, জীবনের এমন কোন দিক ও বিভাগ নেই, যা ইসলামের আওতার বাইরে। মাওলানা মওদূদীর সবচেয়ে বড় অবদান এই যে, তিনি মুসলমানদের মধ্যে কুরআন উপলব্ধি করার প্রেরণা সৃষ্টি করেছেন।

তিনি বাল্যকাল থেকে লেখা-লেখি ও সাহিত্য চর্চা ছিল তার অন্যতম ভাল অভ্যাস। ঊনিশ শ’ আঠারো (1918) সালে বিজনৌর থেকে প্রকাশিত মদীনা নামক পত্রিকায় সংবাদিকতা শুরু করেন।১৯২০- জবলপুরে দৈনিক ‘তাজ’ পত্রিকার এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
১৯২১- দিল্লিতে মাওলানা আব্দুস সালাম নিয়াজির কাছে আরবি শিক্ষা গ্রহণ করেন।
১৯২১- দৈনিক ‘মুসলিম’ পত্রিকার এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
১৯২৫- নয়া দিল্লির ‘আল জামিয়াহ’ পত্রিকার এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ।
১৯২৬- দিল্লির ‘দারুল উলুম ফতেহপুরি’ থেকে ‘উলুম-এ-আকালিয়া ওয়া নাকালিয়া’ সনদ লাভ করেন।
১৯২৭- ‘আল জিহাদ ফিল ইসলাম’ নামে একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রচনা শুরু করেন।
১৯২৮- উক্ত প্রতিষ্ঠান (দারুল উলুম ফতেহপুরি) থেকে ‘জামে তিরমিযি’ এবং ‘মুয়াত্তা ইমাম মালিক’ সনদ লাভ করেন।
১৯৩০- ‘আল জিহাদ ফিল ইসলাম’ নামের বিখ্যাত বইটি প্রকাশিত হয়। তখন তার বয়স ২৭ বছর।
১৯৩২- সালে নিজের মতবাদকে সর্বস্তরের মুসলমানদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তারজুমানুল কুরআন নামক নিয়মিত মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন,'তরজুমানুল কুরআন' নামক পত্রিকার প্রকাশ শুরু করেন।।
১৯৩৭- তার ৩৪ বছর বয়সে, লাহোরে, দক্ষিণ এশিয়ার কিংবদন্তিতুল্য মুসলিম কবি ও দার্শনিক আল্লামা মুহাম্মাদ ইকবালের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় করিয়ে দেন চৌধুরী নিয়াজ আলী খান।

১৯৩৮- তার ৩৫ বছর বয়সে, হায়দারাবাদ থেকে পাঠানকোটে গমন করেন। সেখানে তিনে দারুল ইসলাম ট্রাস্ট ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন, যেটি ১৯৩৬ সালে আল্লামা ইকবালের পরামর্শে চৌধুরী নিয়াজ আলী খান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পাঠানকোটের ৫ কি.মি পশ্চিমে, জামালপুরে, চৌধুরী নিয়াজ আলী খানের ১০০০ একর এস্টেট ছিল। চৌধুরী নিয়াজ আলী খান সেখান থেকে ৬৬ একর জমি দান করেন।
১৯৩৭- তার ৩৪ বছর বয়সে, লাহোরে, দক্ষিণ এশিয়ার কিংবদন্তিতুল্য মুসলিম কবি ও দার্শনিক আল্লামা মুহাম্মাদ ইকবালের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় করিয়ে দেন চৌধুরী নিয়াজ আলী খান।
১৯৩৮- তার ৩৫ বছর বয়সে, হায়দারাবাদ থেকে পাঠানকোটে গমন করেন। সেখানে তিনি দারুল ইসলাম ট্রাস্ট ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন, যেটি ১৯৩৬ সালে আল্লামা ইকবালের পরামর্শে চৌধুরী নিয়াজ আলী খান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পাঠানকোটের ৫ কিমি পশ্চিমে, জামালপুরে, চৌধুরী নিয়াজ আলী খানের ১০০০ একর এস্টেট ছিল। চৌধুরী নিয়াজ আলী খান সেখান থেকে ৬৬ একর জমি দান করেন।
১৯৪১- লাহোরে 'জামায়াতে ইসলামী হিন্দ' নামে একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর আমির হন।
১৯৪২ - জামায়াতে ইসলামীর প্রধান কার্যালয় পাঠানকোটে স্থানান্তর করেন।
১৯৪২ - তাফহীমুল কুরআন নামক তাফসির গ্রন্থ প্রনয়ন শুরু করেন।
১৯৪৭ - জামায়াতে ইসলামীর প্রধান কার্যালয় লাহোরের ইছরায় স্থানান্তর করেন।• ১৯৪৮ - 'ইসলামী সংবিধান' ও 'ইসলামী সরকার' প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা শুরু করেন।
১৯৪৮ - পাকিস্তান সরকার তাকে কারাগারে বন্দী করে।
১৯৪৯ - পাকিস্তান সরকার জামায়াতের 'ইসলামী সংবিধানের রূপরেখা' গ্রহণ করে।
১৯৫০ - কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।
১৯৫৩- ‘কাদিয়ানী সমস্যা’ নামে একটি বই লিখে কাদিয়ানী বা আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম প্রমাণ করেন। ফলে ইতিহাসখ্যাত বড় রকমের কাদিয়ানী বিরোধী হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়। অনেকগুলো সংগঠন একযোগে কাদিয়ানীদেরকে সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষনার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তারা সর্বদলীয় কনভেনশনে ২৭শে ফেব্রুয়ারি তারিখে ‘ডাইরেক্ট একশন কমিটি’ গঠন করে। জামায়াত এই কমিটির বিরোধিতা করে অহিংস আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু তথাপি মার্চ মাসের শুরুতে আন্দোলন চরম আকার ধারন করে এবং পুলিশের গুলিতে কিছু লোক নিহত হয়। পরে একটি সামরিক আদালত আবুল আ’লাকে এই গোলযোগের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়, (যদিও কাদিয়ানী সমস্যা নামক বইটি বাজেয়াপ্ত করা হয়নি)। অবশ্য সেই মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করা হয়নি।

১৯৫৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারী একজন কাদিয়ানীর করব দেওয়াকে কেন্দ্র করে দাংগা সূত্রপাত হয় এবং কাদিয়ানীদের হত্যা, তাদের বাড়ীঘরে আগুন জ্বালানো থেকে শুরু করে লুটপাটের মতো ভয়াবহ রূপ লাভ করলে ৪ মার্চ পাকিস্তানে প্রথম আঞ্চলিক মার্শাল ল জারি হয়। মৃত্যুদন্ডাদেশ পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড করা হয়, কিন্তু পরে তা-ও প্রত্যাহার করা হয়।
১৯৫৮- সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ‘জামায়াতে ইসলামী’কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন।
১৯৬৪- আবারো তাকে কারাবন্দী করা হয়।
১৯৬৪- কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
১৯৭১- পাকিস্তানের অখন্ডতার পক্ষে অবস্থান নেন, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেন।
১৯৭২- তাফহীমুল কুরআন নামক তাফসির গ্রন্থটির রচনা সম্পন্ন করেন।
১৯৭২- জামায়াতে ইসলামীর আমির পদ থেকে ইস্তফা দেন।
১৯৭৮- তার রচিত শেষ বই ‘সিরাতে সারওয়ারে আলম’ প্রকাশিত হয়। এটি হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর জীবনী গ্রন্থ।
১৯৭৯- চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন।
১৯৭৯- যুক্তরাষ্ট্রে তার মৃত্যু হয়।
১৯৭৯- লাহোরের ইছরায় তাকে কবরস্থ করা হয়।
*************************************************

*** সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথ হলো তিনি ইসলামের জন্য এত কিছু করলেন আল্লামা সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী, ইসলামের এত কিছু বুঝার পরও কেন নিজের ছেলেমেয়েদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে – এমন কি পশ্চিমা দেশে নিরাপদ জীবনে পাঠিয়ে দেয়???.... এটি অনেকেরি প্রশ্ন এবং আমারও , অথবা আপনার ও হতে পারে তাই না?

**************************************************************
যাহোক
আসুন! দেখে নিই- আরব ইসলামিক স্কলারগণ তাকে কিভাবে মুল্যায়ণ করেছেন?


*আল্লামা ইউসুফ আল কারাদাবী [/sb

কাতারের প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার বিশ্ব ওলামা পরিষদের প্রধান আল্লামা ইউসুফ আল কারাদাবী লিখেছেন-
১৩৯৯ হিজরীর যিলকদ মাসের শুরুতে ২৩ শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ ইং বিশ্ব একজন অসাধারণ ইসলামিক চিন্তাবিদকে হারাল। যার মত লোক মুসলিম জাতির ইতিহাসে খুব কমই আসে। তিনি হচ্ছেন ভারত উপমহাদেশের জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা , পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের জন্য আলোকবর্তিকা, লক্ষ্য লক্ষ্য মুসলিম যুবক ও প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা যার লেখনী থেকে উপকৃত হয়েছে বহু ভাষায় অনুদিত হওয়া প্রচুর গ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচয়িতা- উসতাজ আবুল আ'লা মওদুদী।

*সাইয়্যেদ কুতুব:
সাইয়্যেদ কুতুব সর্বদা তাকে শ্রেষ্ঠ মুসলিম হিসেবে উল্লেখ করতে চাইতেন।


*ওমর তিলমেসানী:

ওমর তিলমেসানী মাওলানা মওদুদী ও হাসানুল বান্নার মাঝে তুলনা করতে গিয়ে বলেছেন: তারা উভয়েই ছিলেন এ প্রজন্মের অনন্য ইমাম তথা নেতা বা পথপ্রদর্শক। আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের পদ্ধতি ও সিস্টেম ছিল এমন যে, তারা সর্বদা কুরআন ও হাদীস থেকেই মেটেরিয়াল গ্রহণ করতেন। কোন ফিলোসোফারের কাছ থেকে তা গ্রহণ করতেন না।
*** যারা হাসানুল বান্নার উপর আসা নির্যাতন দেখেছেন ঠিক তেমনি মাওলানা মওদুদীর উপরও একই ধরণের অত্যাচার নির্যাতন এসেছে।

* আল্লামা ইউসুফ আল কারাদাবী মাওলানা মওদুদীর চিন্তাধারার ব্যাপারে তিনটি পয়েন্ট নির্দিষ্ট করেছেন।

তাহল-
১. তিনি ইসলামকে পূর্ণাংগ হিসেবেই উপস্থাপন করেছেন।
২. যুগের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখেছেন।
৩. বাতিলের (বুদ্ধিবৃত্তিক) মোকাবেলা করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন।
তিনি বলেন: আধুনিক জাহিলিয়্যাতকে দূরীভুত করা, মানুষকে ইসলাম ও ইবাদাতের দিকে পূর্ণাংগ ভাবে নিয়ে আসা, চিন্তাবিদ কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সহ সকলকে মানুষের শাসন থেকে আল্লাহ তায়ালার শাসনের দিকে নিয়ে আসা, উন্নত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ইসলামি আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করা ছিল তার অবদান। যা পশ্চিমা চিন্তাধারাকে তথা তাদের চিন্তাধারা অনুযায়ী নাগরিক,অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলাকে প্রত্যাখ্যান করবে। আর পরিবর্তন কিংবা বিপ্লব গঠনে আলাদা সিস্টেম দাড় করাবে। তার সমস্ত লেখনীতে এটাই ফুটে উঠেছে। এর মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াতী কাজের ক্ষেত্রে তার দর্শন ও মতবাদ প্রকাশ পেয়েছে। আর তার জামায়াত তথা জামায়াতে ইসলামী গঠিত হয়েছে উপরোক্ত দাওয়াত ও বৈপ্লবিক মতবাদ বর্ণনা ও প্রচার করার জন্য।

*মুহাম্মদ আল হাসান ওয়ালাদ আদ দুদো

ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে প্রয়োজনে বিদেশী ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে তিনি বলেছেন:
আবুল আ'লা মওদুদীকে (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল একজন মুসলিম দায়ীর ভিতরে কী মৌলিক যোগ্যতা থাকা লাগবে? তিনি উত্তরে বলেছিলেন: তোমরা কি অনেক শর্ত শুনতে চাও নাকি একটা শর্ত শুনতে চাও? তারা বললেন: একটি শর্ত শুনতে চাই। তিনি বললেন: তাকে অবশ্যই ইংরেজী ভাষায় যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ......


**আরবদের লেখা বিভিন্ন প্রবন্ধও বইতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে মহিলাদের অংশগ্রহণ সম্বন্ধে মাওলানা মওদুদীর বইয়ের রেফারেন্স নেয়া হয়েছে।

**এছাড়া আল আযহার সহ বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওলানা মওদুদীর বিভিন্ন বই ও লেখা থেকে রেফারেন্স গ্রহণ করা হয় এবং তাকে অনেক বড় মাপের ইসলামিক স্কলার বলে গণ্য করা হয়।

**ইসলামের জন্য বিশাল অবদান রাখার জন্য একবার সৌদী সরকার তাকে "বাদশাহ ফয়সাল" পুরস্কারে ভুষিত করে।
আরবীতে অনুদিত মাওলানা মওদুদীর কিছু বইয়ের লিঙ্ক নিম্নে উপস্থাপন করা হল।

***এবং ইসলামী জ্ঞানের জন্য অসংক্ষ বই লিখেছেন….

কুরআন

• তরজমায়ে কুরআন মজীদ – তরজুমায়ে কুরআন মজীদ;
• তাফহীমুল কুরআন – তাফহীমুল কুরআন;
• তাফহীমুল কুরআন বিষয় নির্দেশিকা – মাওয়ূয়াতে কুরআনী;
• কুরআনের মর্মকথা – মুকাদ্দামায়ে তাফহীমুল কুরআন;
• কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা – কুরআন কী চার বুনয়াদী ইসতেলার্হী।

হাদীস/সুন্নাহ

• সুন্নাতে রাসূলের আইনগত মর্যাদা – সুন্নাত কী আইনী হাইসিয়ত;
• কুরআনের মহত্ব ও মর্যাদা – ফাযায়েলে কুরআন (হাদীস কী রোশনী মেঁ)।

ইসলামী জীবন দর্শন

• ইসলাম পরিচিতি – রিসালায়ে দ্বীনীয়াত;
• ঈমানের হাকিকত – হাকীকতে ঈমান;
• ইসলামের হাকিকত – হাকীকতে ইসলাম;
• নামায রোযার হাকিকত – হাকীকতে সাওম আওর সালাত;
• জিহাদের হাকিকত – হাকীকতে জিহাদ; ইত্যাদি...

আইন, রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা

• ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ -ইসলাম কা নযরিয়ায়ে সিয়াসী;
• ইসলামী রাষ্ট্র – ইসলামী রিয়াসত;
• ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রণয়ন – ইসলামী দস্তুর কি তাদবীন;
• ইসলামী শাসন্তন্ত্রের মূলনীতি – ইসলামী দস্তুর কি বুনিয়াদী;
• ইসলামী আইন – ইসলামী কানুন; ইত্যাদি...


ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন


• ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি – দাওয়াতে ইসলামী আওর উসকা তারীক কার;
• ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি – তাহরীকে ইসলামী কী আখলাকী বুনিয়াদী;
• দায়ী ইলাল্লাহ দাওয়াত ইলাল্লাহ – দায়ী ইলাল্লাহ দাওয়াত ইলাল্লাহ;
• ভাঙা ও গড়া – বানাও আওর বেগাড়;
• একটি সত্যনিষ্ঠ দলের প্রয়োজন – এক সালেহ জামায়াত কা জরুরত;
• সত্যের সাক্ষ্য – শাহাদাতে হাক; ইত্যাদি...

অর্থনীতি ও ব্যাংক ব্যবস্থা

• ইসলামী অর্থব্যবস্থার মূলনীতি – ইসলামী মায়া’শিয়াত কে উসুল;
• কুরআনের অর্থনৈতিক নির্দেশিকা – কুরআন কী মায়াশী তা’লীমাত;
• জাতীয় মালিকানা – কওমী মিলকিয়ত;
• ইসলামী অর্থনীতি – মায়াশিয়াতে ইসলাম;
• সুদ ও আধুনিক ব্যাংকিং – সুদ।ইত্যাদি...


দাম্পত্য জীবন ও নারী


• পর্দা ও ইসলাম – পর্দা;
• মুসলিম নারীর নিকট ইসলামের দাবী – মুসলিম খাওয়াতীন সে ইসলাম কে মুতালিবাত;
• স্বামী স্ত্রীর অধিকার – হুকুকুয যাওজাইন;
• ইসলামের দৃষ্টিতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ – ইসলাম আওর যবতে বেলাদাত।

তাযকিয়ায়ে নফস


• হিদায়াত – হিদায়াত;
• ইসলামী ইবাদতের মর্মকথা – ইসলামী ইবাদত পর তাহকীকী নযর;
• আত্মশুদ্ধির ইসলামী পদ্ধতি – তাযকিয়ায়ে নফস;
• ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষা – খুতবাত।

সীরাত

• আদর্শ মানব – সরওয়ারে আলম কা আসলী কারনামা;
• খতমে নবুয়্যাত – খতমে নবুওয়াত;
• সীরাতে সরওয়ারে আলম (১-২খন্ড) – সীরাতে সরওয়ারে আলম (১-২জিলদ);
• নবীর কুরআনী পরিচয় – কুরআন আপনে লায়ে ওয়ালে কো কেসরং মেঁ পেশ করতা হায়;
• সাহাবায়ে কিরামের মর্যাদা – মাকামে সাহাবা।

অন্যান্য

• কাদিয়ানী সমস্যা – কাদিয়ানী মাসয়ালাহ;
• রাসায়েল ও মাসায়েল (১-৫খন্ড) – রাসায়েল ওয়া মাসায়েল (১-৫জিলদ);
• যুব সমাজের মুখোমুখি মাওলানা মওদূদী – তাসরীহাত;
• যুব জিজ্ঞাসার জবাব (১-২খন্ড) – ইসতিফসারাত (১-২জিলদ);
• বিকালের আসর (১-২খন্ড) – আসরী মাজালিশ (১-২জিলদ);
• খুতবাতুল হারাম – খুতবাতুল হারাম;
• বেতার বক্তৃতা – নশরী তাকরীরী;
• সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর পত্রাবলী (১-২খন্ড) – মাকাতীব মাওলানা মওদূদী (র.) (১-২জিলদ);
• পত্রালাপ মাওলানা মওদূদী ও মরিয়ম জমিলা – মাওলানা মওদূদী আওর মরিয়ম জমিলা কে দরমিয়ান খত।

সমালোচনা
তিনি "খিলাফত ও রাজতন্ত্র" বইটি লিখে বিতর্কিত হন। পরবর্তীতে এই বইয়ের জবাবে পাকিস্তানের গ্রান্ড মুফতি ও পাকিস্তান শরিয়া আদালতের প্রধান বিচারক মুফতি তাকি উসমানি লিখেন মুসলিম সমাজ এ আলোড়নকারি বই "ইতিহাসের কাঠগড়ায় হযরত মুয়াবিয়া (আঃ)"।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×