somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের অর্থ কী - (Without Islam)..?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ধর্ম ছাড়া জীবনের অর্থ কী ???



-আমরা এখানে কী করছি?
আমাদের গন্তব্য কোথায়?
যেন আমরা একদিন ঘুম থেকে উঠলাম
আর তারপরেই অনুষ্টানে আপনাকে স্বাগতম!

-কোন প্রশ্ন করবে না
তাল মিলিয়ে চলতে থাকো
যত পার উপার্জন করো
চেষ্টা কর যেন ফতুর না হয়ে যাও।

-টিভি অনুসরণ কর
মেকাপ থেকে সুরু করে জামাকাপড় পর্যন্ত
এর চেয়ে বেশি কিছু ভেবে না
যা দেখনো হয় তাই ফলো কর
বিভ্রান্ত হয়ে পড়লে
মদ্য পানে লেগে যাও

-এখনো মাথায় প্রশ্ন ঘুরছে?
রেডিয়োর ভলিউমটা বাড়িয়ে দাও
ডুবে থাকো নেশা, সেক্স, রক এবং রোলে

-আমি শুধু জানতে চাই
এই চক্রাকারে ঘুরতে থাকা জীবনধারার বাইরে কী আর কিছুই নেই?
বৃদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া,
একটি সুখি পরিবার রেখে যাওয়া,
আর রেখে যাওয়া এক গাদা সম্পত্তি,
যার মালিক হবে অন্য কেউ,

-কবরে যাওয়ার আগেই
আমি আসলেই জানতে চাই
কারণ জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে রাজি নই
রাজী নই বাজী ধরতে

-এই সামান্য কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজে ফিরছি
আমরা এখানে কী করছি?
আমাদের লক্ষ কী ?
আমরা এখানে আসলাম কী ভাবে?
কে আমাদের এত নিক্ষুত ভাবে তৈরী করলো?
মৃত্যুর পর কী হয়?
এই জীবন কী আসলেই গুরোত্বপূর্ণ?

-এসব প্রশ্ন গুলার উত্তর দিতে চাইনা
কারন প্রয়োজন নেই উত্তর জানার
এই জীবনের তো কোন উদ্দেশ্য নেই
আমাদের অস্তিত্ব তো শুধুই প্রাকৃতিক!

-সেক্ষেত্রে আমাকে একটি প্রশ্ন করতে দিন
তুমি কি নিজেই নিজের স্রষ্টা?
নাকী কি কেউ তোমাকে সিষ্টি করেছে?

কারণ তুমি এমন এক স্রষ্টা ক্রুটি মুক্ত
ক্ষমতা অসম্বন্তরাল
তুমি সর্বোচ্ছ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী
আমি শুধুই সাধারণ যুক্তি ব্যবহার করছি

-এমন ক্যামরা পৃথিবীতে নেই
যা মানুষের চোখের ধারের কাছেও আসতে পারে
না আছে এমন কম্পিউটার
যা মানুষের মস্তিষ্কের সমান হতে পারবে

-প্রথিবীর সব মানুষ মিলেও
একটি মাছিও তৈরী করতে পারবে না
এত এত নিদর্শন
তবুও আমরা অস্বিকার করি!

-বিজ্ঞান বলতে চায় এই সব কিছু শূন্য থেকে এসেছে
অথচ একটি সরল হিসাব
শূন্য+শূন্য+শূন্য=০ কখনই ১ হয় না

-তবে কোথায় থেকে এই মহাবিশ্বের নিয়ম এবং বৈচিত্র আসলো?
সব কিছুরই মূলে থাকে – আবিস্কারক, কিংবা স্রষ্টা
এই লেখা গুলো পড়তে পারছেন কারণ কেউ লেখাটি লিখেছে
তাই আমরা বিগব্যাঙ্গ বিশ্বাস করতে পারি
বা পারি যিনি তা ঘটালেন তার উপর

-আল্লাহ সব কিছুর এবং সব প্রাণের (আত্মার)সৃষ্টি কর্তা!
চিরঞ্জিব+প্রভু+সবকিছুর একক তত্ত্ববধায়ক!
সৃষ্টির মত নন কল্পনার ঊর্ধ্বে
না! তিনি কোন মানুষ নন
তার কোন সহযোগী নেই!
তিনি এক ও অবিনশ্বর সত্তা
আমাদেরকে কখনোই একা ছেড়ে যাননি!
ঠিক সব প্রস্তুত কারকের মত-তিনিও আমাদের “গাইড বই” দিয়েছেন
কুরআন/ইসলাম

-দুঃখিত জলদি উপসংহারে আসার জন্য কিন্তু এটাই একমাত্র সম্ভব!
এতে স্রষ্টার যৌক্তিক বর্ণনা
এক এবং অদ্বিতীয়
সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী
তিনি কাউকে জন্ম দেননি, কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
একটি বই যার শূন্য ক্রুটি

-বৈজ্ঞানিক আর ঐতিহাসিক অলোকিকত্ব!
আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে
যেমন- মানুষের ভ্রুনের নির্ভূল এবং পরিপূর্ণ বর্ণনা!
“মানুষের ভ্রুনের যে বর্ণনা কুরআনে আছে সেটি সপ্তম শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান থেকে আসা সম্ভব নয়!।
* পৃথিবীর জন্য পর্বতমালা কীলক স্বরূপ, যাতে পৃথিবী নড়ন থেকে রক্ষা পায় (৭৮:৭)
* বিচিন্ন দুইটি প্রবাহিত সমুদ্রের পানি কখনই এক হবে না (২১:৩৩)
* গ্রহগুলোর নির্দিষ্ট কক্ষপথে চলার তথ্য (২১:৩৩)
* আর এই ঘূর্ণয়মান প্রক্রিয়ার প্রভাবে দিন এবং রাত হওয়া (২১:৩৩)
* মহাবিশ্ব প্রস্তত করণ তথ্য, এবং প্রতিটি প্রাণীর উৎস পানি থেকে হওয়ার তথ্য (২৪:৪৫)
* অতিতের শিক্ষানীয় সকল ইতিহাস, বিশেষত ফেরাউনের লাশ রক্ষিত হওয়ার তথ্য (১০:৯২)
* প্রথিবীর স্থলভাগের সর্বনিন্ম স্থানের তথ্য
* যেখানে পারস্য বাহিনী রোমানদের পরাজিত করেছিল (৩০:২-৩)
* পুরুষের বীর্য নির্গমন পথ, মেরুদন্ড ও পাঁজরের মধ্যস্থল নির্ধারণ তথ্য (৮৬:৭)


এখন পর্যন্ত একটি শব্দও পরিবর্তিত হয়নি
উত্তর দিন কিভাবে এসকল তথ্য জানা ছিল?
আজ থেকে ১৪০০ বসর আগে
এমন এক ব্যক্তির উপর,
যে লিথতে বা পড়তে জানতেন না!
শুধু উচ্চারণ করতেন যা ফেরেশতা বাণী নিয়ে আসত
যদি এখনও বিশ্বাস না হয়
কুরয়ানের মত বাণী আবিস্কার করে দেখাও
শত চেষ্টা করেও পারবে না


-তাই তুমি সৃষ্টিকর্তা ও তার পাঠানো বার্তা নিয়ে হাসি তামাশা করলে
মহাম্মদ কোন পড়ালেখা জানত না
পড় লেখা অজ্ঞ এমন ব্যক্তি কী ভাবে পূর্ণ ধর্ম প্রতিষ্টা করে?
তার বই গুলোকে রূপকথার গল্প বলে নাকচ করেদেয়,
যাতে আমরা আমাদের জীবন গড়ি
লোভ লালসা ইচ্ছে দ্বারা
বলে বেড়াচ্ছি জীবনতো একটাই
যত খুশি ফুর্তি কর
আমরা বাঁচবো, মরে যাবো, তার পর মাটির সাথে মিশে যাব
তুমি খালি একবারই বাঁচবে?(ভূল)
গাছ পালা মরে যাবার পর
বৃষ্টি আসলে নতুন করে তা আবার জীবন পিরে পায়
আল্লাহর প্রতিশ্রুতি যে আমাদেরকেও ঠিক একই ভাবে তিনি পুনরুজ্জীবিত করবেন (২:২৮)
আঙ্গুলের ছাপ থেকে নিয়ে পায়ের তলা পর্যন্ত অনুরূপ অবস্থায়
যখন সর্বস্রষ্টা সর্বশক্তিমান
আমাদের এত কাছ থেকে দেখছেন
আর অবশ্যই আমাদের পরিক্ষা নেওয়া হবে
আমাদের (সম্পদ-স্বাস্থ্য-পরিবার)সবকিছুর মাধ্যেমে!
তাই বিশ্বাস করো!

আমরা অবশ্যই পুনরূজ্জীবিত হব
এবং ফিরে যাব সৃষ্টি কর্তার সামনে,
হিসাব নেয়া হবে আমাদের প্রতিটি কাজের!
যখন তিনি আমাদের আমল নামা দিয়ে বলবেন- পড়
পড়-ভাল-মন্দ, ছোট-বড় আর বাকি যা কৃতকার্য করেছ
তোমার হিসান গ্রহনের জন্য তুমিই যথেষ্ট (৭৫:৪)
এখন আমার সাথে রাগ করো না
তুমি ভেবেছিল আমার কাছে কখনো আসতে হবে না!
তোমাকে পুরা একটি জীবন দিয়েছিলাম
আমাকে খোঁজার জন্য কিন্তু তুমি ব্যস্ত ছিলে ওসব কিছু নিয়ে যা ছিলো (ক্ষনিকের)পড়!!!
সুসংবাদ তাদের জন্য যারা বিশ্বাস করেছে
আর যদি তুমি বিশ্বাস না করো তাহলে... (পড়)
সে দিনটি তোমার প্রথম দিন হতে দিওনা ...... যে (পড়)
......!

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১২
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×