নির্বাচন একটি চৌম্বকীয় অদৃশ্য অথচ অনুভব্য পদার্থ। যাহা 'অমাবশ্যার চাঁদ' উপমাপ্রাপ্ত জননেতাদিগকে আমাদের নিকটে টানিয়া আনে।
নির্বাচন আবার সৌভাগ্যের প্রতীকও বটে! প্রতি ৫ বছর পরপর একবার আমাদের সোনার ছেলেদিগকে আমাদের নোংরা তপ্ত ধুলাময় বুকে নেয়ার ও উহাদিগকে রাস্তাঘাট, ডাস্টবিন সাফ করিতে দেখার সৌভাগ্যলাভ করি আমরা।
এছাড়াও এই ঋতুতে আমরা উহাদিগকে গাড়ির শেডেড কাঁচের বাহিরে খোলামেলা রাস্তায় স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করার মত ভাগ্যবান হই।
তাই কবির সাথে তাল মিলাইয়া কহিতে চাহিঃ
'হে নির্বাচন,
তুমি আমাদিগকে করেছ মহান,
তুমি আমাদিগকে করিয়াছ
অমাবশ্যায়ও চাঁদদর্শনপুষ্ট ভাগ্যবান।।'
আহেন সবাই মিল্লা দুই চামুচ কুকাকুলা আর মুড়ি খাই। কারণ ভোটের পর আমরা আবার অপ্রয়োজনীয় 'মাল' বা ভদ্রভাষায় 'স্ক্র্যাপে' পরিনত হইব।
তাহাদের কার্য্যালয় এবং বাসভবনসমূহ আমরা সাধারন জনগণের জন্য 'রেসট্রিক্টেড এরিয়া'তে পরিণত হইবে। আর তাহাদের আত্মীয়দিগের জন্য উক্ত স্থানসমুহ হইবে স্বর্গভুমি।
ওকে অডিয়েন্স, ভোট শেষে তৃপ্তির তালিয়া বাজান।
পাঁচ বছর পর আকাশে আবার চাঁদ দেখা যাইবে ইনশাল্লাহ।
আপাতত নাটক দেখি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬