ছবিটির দিকে মনযোগ দিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকুন। সাদা একটি ত্রিভুজ দেখতে পাচ্ছেন? হ্যা। ওকে।
কানিজসা ত্রিভুজ রহস্য- না থাকা এই ত্রিভুজ আমরা কেন দেখি? মনোবিজ্ঞানীরা কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমি যা বলি শুনুন, এক ফকিরের বাণী, যা কিছু অস্তিত্ববান এই প্রকৃতিতে তাতে গভীরভাবে মনযোগ দিয়ে জ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখলে এক অদৃশ্য অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়।
দুই.
শাইখ সিরাজ বাংলাদেশী সাংবাদিক, কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। শাইখ সিরাজ কৃষি সাংবাদিকতাসহ নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গ্রামীণ জীবনে জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে জনপ্রিয় কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠান মাটি ও মানুষ ও নিজস্ব মালিকানাধীন বেসরকারি টিভি চ্যানেল চ্যানেল আইতে হৃদয়ে মাটি ও মানুষ নামক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। কৃষি সাংবাদিকতায় অবদান রাখার জন্য ২০১৮ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার বা স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে।
শাইখ সিরাজ মিডিয়াতে আসেন রেজাউল করিম সিদ্দিক রানার পরিকল্পিত ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনার মাধ্যমে। ১৯৯৫ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালীন তিনি একুশে পদক পান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে শাইখ সিরাজকে ‘মাটি ও মানুষ’অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া হয়। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে সেসময় লিখিত চিঠি দিয়ে শাইখ সিরাজের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেন।
এবার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি ২০১৮ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। এ ঘটনায় গভীর দৃষ্টি দিলে কি কোন অদৃশ্য ঘটনার দেখা মেলে। এতে সরকারের পজেটিভ কিছু ফুটে উঠে কি?
তিন.
বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা। অভিনয় জগতে পর্দায় তিনি নেতিবাচক চরিত্র নিয়েই হাজির হনেও বাস্তবে তার চরিত্রে দৃষ্টি দিলে সম্পূর্ণই আলাদা বলে জানা যায়।
তাকে প্রশ্ন করা হয় ’এবং পূর্ণিমা’ নামের একটি সেলিব্রিটি শো’তে।
এতে উপস্থাপিকা পূর্ণিমার প্রশ্ন, কার সাথে ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয় করতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন আপনি?
প্রশ্নের উত্তরে মিশা সওদাগর জানান, ‘মৌসুমী ও পূর্ণিমার সাথে’ উপস্থাপিকা পূর্ণিমা হা হা হা করে হেসে ওঠেন।
প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুক পেজে আদিত্য আরাফাত বলেছেন ‘ধর্ষন কি হাসি-ঠাট্টার বিষয়? সিনেমায় ধর্ষন করতে কেমন মজা লাগে? অভিনয়ে কাকে ধর্ষন করতে ভালো লাগে-এরকম প্রশ্ন হাসতে হাসতে নায়িকা পূর্নিমা অবলীলায় করে ফেললেন টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে; যেনো ধর্ষন তামশার বিষয়। অনুষ্ঠানের অতিথি মিশা সওদাগরকেও মনে হলো এমন প্রশ্নে বেশ মজা পেয়েছেন। মিশা চাইলে সাবজেক্ট চেঞ্জ করতে পারতেন, করলেন না।
মাহিন নামের আরেকজন ফেসবুকে লিখেছেন, পৃথিবী জুড়ে চলচ্চিত্র তারকারা যখন সকল অনৈতিক আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন আমাদের তারকারা চলচ্চিত্র শেষে কুসংস্কারে ডুবে যায়। তেমনি কখন কি বলতে হবে এই রুচিশীলতাটাও নেই ওদের! অদ্ভুত?
এমন এক সময় ‘ধর্ষণ’ শব্দটি নিয়ে এমন প্রশ্ন করা হলো, যখন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্রী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার পর মাঠে পড়ে থাকা তার নিথর দেহ ভেসে বেড়াচ্ছে মানুষের ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে।
http://www.pbd.news/lead-news/44493/ধর্ষণে-পূর্নিমা-এবং-মৌসুমীকেই-পছন্দ-মিশার–ফেসবুকে-সমালোচনা
চার.
অনেক সময় নেতিবাচক বাক্যের প্রতি গভীর মনযোগ দিলে ইতিবাচক খবর বেরিয়ে আসে।
গত কালের এইচ এস সি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাস হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায় নাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৭