somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শ্রীলঙ্কায়: সিগিরিয়ার শীর্ষে এক অদম্য আরোহণ

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দূর থেকে সিগিরিয়ার উঁচু পাহাড়ের দিকে তাকালে চোখে পড়ে সবুজ গাছপালার আচ্ছাদন ছাড়িয়ে সোজা দাঁড়িয়ে আছে পাথুরে পাহাড়। সেই খাড়া পাহাড়ের মাথায় বিশাল সমতল এলাকা জুড়ে আবার সবুজ বৃক্ষলতার আভাস। প্রচলিত অর্থে পাহাড় বলা হলেও এটি আসলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মনোলিথিক পাথর খণ্ডের অন্যতম। শ্রীলঙ্কার পর্যটন বিভাগের পোস্টার ও প্রচার পুস্তিকায় এবং দাম্বুলা, হাবারানা, সিগিরিয়ার হোটেলের বিজ্ঞাপনে বহুবার দেখা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই পাহাড় চোখে পড়তেই বিস্ময় এবং আনন্দের এক মিশ্র অনুভূতি সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে একটি আশঙ্কাও মনে উঁকি দিয়ে যায়- দুশ মিটারের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এই পাহাড়ের শীর্ষে পৌঁছানো কি সম্ভব হবে! এ দিকে অগাস্ট মাসের গরমের অনুসঙ্গ হিসাবে মাথার উপরে রোদের তাপও বাড়তে শুরু করেছে।

মিউজিয়াম সংলগ্ন টিকেট কাউন্টার থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে যেয়ে একটা ধাক্কা খেতে হলো। শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের জন্যে প্রবেশ মূল্য ৩০ শ্রীলঙ্কান রুপি হলেও বিদেশিদের জন্যে তা ৩০ ডলার অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার টাকা। কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতা অবশ্য আমাদের চেহারা দেখেই বুঝে ফেলেছিলেন আমরা তাঁদের সাক্ষাৎ জ্ঞাতি ভাই। তাই সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দিলেন, সার্ক দেশের অতিথিদের জন্যে ফিফটি পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট। আটজনের আটটি পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকেটের গায়ে পাসপোর্ট নাম্বার লিখে তিনি যখন জনপ্রতি ১৯৫০ শ্রীলঙ্কান রুপি গুনে নিলেন তখন হিসাব করে দেখলাম শতকরা পঞ্চাশভাগ ছাড়ের পরেও আটজনের জন্যে তা দাঁড়িয়েছে সাড়ে নয় হাজার টাকা। যে কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন বা ঐতিহাসিক স্থাপনা এক দিনের জন্য পরিদর্শনের ক্ষেত্রে অংকটা যথেষ্ট বেশি বলেই মনে হয়। শ্রীলঙ্কার ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিওলজির মহাপরিচালক অবশ্য টিকেটের গায়ে ভদ্রতা করে লিখে দিয়েছেন ‘বিশ্ব ঐহিত্যের নিদর্শন সংরক্ষণ ও উন্নয়নে আপনার সহৃদয় অনুদানের জন্য ধন্যবাদ’!

মূল প্রবেশ পথ থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ের পায়ের তলায় এসে পৌঁছাতেই পনের কুড়ি মিনিট সময় লেগে যায়। পথের দু পাশের পুরো এলাকায় গাছপালার ফাঁকে ফাঁকে পাহাড়পুর অথবা ময়মাতি বৌদ্ধ বিহারের স্থাপনার মতো অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সম্ভবত পাহাড় শীর্ষে রাজা কশ্যপের প্রাসাদের প্রবেশের আগে নিñিদ্র নিরাপত্তা গড়ে তুলতে প্রহরা চৌকি এবং সৈন্য সামন্তের সার্বক্ষণিক অবস্থানের জন্যে গড়ে তোলা হয়েছিল এইসব স্থাপনা। রাজা এবং রাজ পরিবারের আবাসস্থল হলেও এটি যে প্রকারান্তরে একটি দুর্গ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সিগিরিয়ার প্রাসাদ চত্বরে প্রবেশের পরপরই পথের দুপাশে গভীর একটি খালের উপস্থিতি সেই ধারণাকেই আরও দৃঢ় করে। খালের পানিতে নামা যে আজকের যুগেও নিরাপদ নয় পর্যটকদের তা জানাতে খাল পাড়ের এখানে সেখানে ‘কুমির হইতে সাবধান’ জাতীয় বাণী লেখা ফলক শোভা পাচ্ছে। রাজা কশ্যপ নিজেই হয়তো খাল কেটে কুমির এনেছিলেন। কিন্তু সে যুগের সেই কুমির কি এখনো টিকে আছে!

ইতিহাসে পিতৃহন্তা কশ্যপ নামে পরিচিত রাজা প্রথম কশ্যপ রাজ্য শাসন করেছেন ৪৭৩ থেকে ৪৯৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মোট বাইশ বছর। প্রাচীন শ্রীলঙ্কার মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রথম নৃপতি রাজা ধাতুসেনাকে প্রথমে সিংহাসনচ্যুত করে বন্দী ও পরবর্তীতে বন্দী অবস্থায় হত্যা করায় জন সাধারণ এবং ভিক্ষুদের বিরাগভাজন হন তিনি। সিংহাসনের বিধিসম্মত দাবীদার ও বৈধ উত্তরাধিকারী সৎভাই মোগ্গালানাকেও রাজ্য থেকে বিতাড়িত করেন কশ্যপ। ফলে, দক্ষিণ ভারতে নির্বাসিত আপন ভাই মোগগাল্লানার আক্রমণ আশঙ্কা এবং জনরোষের ভয়ে ৪৭৭ খ্রিস্টাব্দে কশ্যপ তাঁর রাজধানী অনুরাধাপুরা থেকে সিগিরিয়ায় স্থানান্তর করেন এবং এই দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় গড়ে তোলেন এক নতুন নগরী এবং দুর্ভেদ্য প্রাসাদ দুর্গ।

তবে দুর্ভেদ্য দুর্গও যে শেষপর্যন্ত কশ্যপের শেষরক্ষায় কোনো কাজে লাগেনি তার প্রমাণ রয়েছে ইতিহাসের পাতায়। দক্ষিণ ভারতে থেকেই এক বিশাল বাহিনি সংগঠিত করে ৪৯৫ খ্রিস্টাব্দে মোগ্গালানা সিগিরিয়া আক্রমন করেন। পাহাড়ের চূড়ায় কশ্যপের প্রাসাদ থেকে চারিদিকে বহুদূর পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায়। যুদ্ধের কৌশলগত দিক থেকে শিগিরিয়া পাহাড় এবং চারপাশের সমতল ভূমি ছিল সেকালের এক অনন্য সাধারণ রাজধানী। কিন্তু তারপরেও বৈধ সৎ ভাইয়ের কাছে অবৈধ সৎ ভাই যুদ্ধে পরাজিত হন। রাজা কশ্যপ অবশ্য পরাজয় মেনে নেয়ার পরিবর্তে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

সিগিরিয়ার প্রাসাদ দুর্গের দিকে পাহাড়ের নিচে সিঁড়ি পর্যন্ত যাবার পাথর বিছানো পথটির দু পাশ ইট দিয়ে বাধানো। দেশ বিদেশের পর্যটকেরা পায়ে চলার যে পথ ধরে এগিয়ে চলেছেন এখন থেকে দেড় হাজার বছর আগে হয়তো রাজা কশ্যপের হাতি অথবা তাঁর ঘোড়ায় টানা রথ সেই পথ দিয়েই আসা যাওয়া করেছে। কিছুটা দূরে দূরেই দু তিন ধাপ সিঁড়ি ভেঙ্গে পথের এক স্তর থেকে উপরের স্তরে উঠতে উঠতে পাহাড়ের গোড়ায় পৌঁছে দেখা গেল সেখানে পাহাড় ঘিরে সবুজের সমারোহ। পুরো এলাকাটা ছায়াঘেরা বলে রোদের তাপ সত্ত্বেও যথেষ্ঠ ঠাণ্ডা। সিঁড়ির মুখে দুটি প্রকাণ্ড পাথুরে পাহাড় পরস্পরের প্রতি ঝুঁকে পড়ে একটি বিশাল ত্রিভুজ তৈরি করেছে আর এই ত্রিভুজের ভেতর দিয়েই উঠে গেছে সিঁড়ি। ত্রিভুজটাকে বলা যায় প্রাসাদের অভ্যর্থনা ফটক। এখানে দাঁড়িয়েই উপরের দিকে একবার তাকিয়ে আটজনের দলে তৃতীয় বয়োজেষ্ঠ্য নয়ন ঘোষণা করে, ‘আমার যাত্রা এখানেই শেষ- এই হাজার ধাপ সিঁড়ি ভেঙে উপরে ওঠা আমার কর্ম নয়।’ পাহাড়ের চড়াই এবং পাহাড়ের পাথরের খাঁজে আটকানো ইস্পাতের মইসহ আসলেই সিঁড়ির সংখ্যা হাজার ধাপ কিনা তা বলা কঠিন, তবে সাধারণ হিসাবে একটা ষাট ফুট উচ্চতার দালানের ছাদে উঠতে যদি দুশ সিঁড়ি পার হতে হয়, তাহলে সাড়ে ছয়শ ফুট উচ্চতার পাহাড় চূড়ায় উঠতে দুহাজার সিঁড়িতে পা রাখতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। যাই হোক, বয়সের কারণে না হলেও ‘ব্যাক পেইন’এর কারণে নয়নের সিঁড়ি ভাঙা বারণ বলে আমরা তাকে ফেলেই উপরে উঠতে শুরু করলাম।

এখন থেকে শুধুই উপরে ওঠার পালা। সিঁড়ির ধাপগুলো পাথরের হলেও দুপাশে মজবুত ইটের চওড়া দেয়াল। কোথাও কোথাও পাথর দিয়ে বাধানো ইটের সিঁড়ি আর ডাইনে বাঁয়ে বাঁক ফেরানোর জায়গাগুলোও পাথর বিছানো। কোথাও আবার পাহাড়ের শরীর কেটে তৈরি করা হয়েছে পথ। পাথর এখানের রোদের তাপে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেনি, বরং বেশ ঠাণ্ডাই বলা যায়। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার অনেকটা উচ্চতায় ওঠার পরেও পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা গাছগুলো তাদের শাখা প্রশাখা বিস্তার করে ছায়া দিয়ে চলেছে। ক্লান্তি দূর করতে তাই অনেকেই এখানে সিঁড়ির ধাপে অথবা পাথরের গায়ে বসে জিরিয়ে নিচ্ছেন আর তার সাথে প্রতি মুহূর্তে চলছে ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক! স্তরে স্তরে সাজানো লাল ইটের পটভূমিতে অথবা সেই ইটের স্তুপে বসে সবুজের আস্তরে ঘেরা ধুসর পাহাড় পেছনে রেখে ছবি তোলার দুর্লভ সুযোগ কেই বা ছাড়তে চায়! আমরা যখন বিভিন্ন দিকে ঘুরে ফিরে ছবি তোলায় ব্যস্ত তখনই জানা গেল বড় রকমের দুঃসংবাদ! আমাদের যাত্রা বিরতির জায়গা থেকে আরও অন্তত দেড়শ ফুট উপরে লোহার খাঁচায় ঘেরা ইস্পাতের প্যাঁচানো সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠেও ফ্রেসকো মিউজিয়ামের গুহামুখ থেকে ফিরে এসেছে খোকন এবং অমিত- কারণ ওদের সঙ্গে টিকেট নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেল নয়ন নিচে নেমে যাবার সময় টিকেটগুলো সঙ্গে করে নিয়ে গেছে। মূল প্রবেশ পথেই কর্তব্যরত দ্বাররক্ষীরা টিকেটের একটি মুড়ি ছিঁড়ে রেখেছিল। পরবর্তীতে এর কোনো প্রয়োজন হবে- সেটি যেমন কারো মাথায় আসেনি, তেমনি নেহায়েত ঘটনাচক্রেইে টিকেটগুলো ফিরতি পথের যাত্রীর কাছে থেকে গেছে। পরে লক্ষ করে দেখেছি দু ভাঁজ করা আমন্ত্রণপত্রের মতো বেশ বড়সড় আকারের প্রত্যেকটি কার্ডের সাথেই রয়েছে ভিন্ন তিনটি পারফোরেটেড মুড়ি। একটি মূল প্রবেশ পথের, একটি সিগিরিয়া মিউজিয়াম এবং অন্যটি গুহাচিত্রের জাদুঘরে প্রবেশের জন্য।

মোবাইল ফোনে নয়নের সাথে কথা বলে জানা গেল টিকেট তার কাছেই আছে। মূল প্রবেশ পথের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে নিচের গেটে নয়ন এবং উপরের গেটে খোকন উভয় পক্ষের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দিয়ে সমস্যা সমাধানের একটা চেষ্টা করেছিল। সিংহলি ভাষায় উপরের ও নিচের কর্তৃপক্ষের মধ্যে বাক্যালাপ কী হয়েছিল জানি না, তবে নিচের কর্তারা নাকি আমাদের সাতজনকে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার জন্যে উপরের কর্তাদের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রহরায় নিয়োজিত প্রহরীদের এক কথা, নো টিকেট নো এন্ট্রি।

প্রায় একশ মিটার উচ্চতায় এসে ফ্রেসকো মিউজিয়ামে না ঢুকে ফিরে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সমস্যা হলো খাড়া সিঁড়ি দিয়ে এই দীর্ঘ পথ নিচে নেমে আবার ছয় শ ফুট ওপরে টিকেটগুলো নিয়ে আসবে কে! দলের জেষ্ঠ্যতম হয়েও মুহূর্তেই আমি নিচে নেমে যেতে রাজি, কিন্তু দেড় হাজার বছর আগের গুহাচিত্র না দেখে ফিরতে রাজি নই। বয়োকনিষ্ঠরাই বা সুযোগটা ছাড়তে চাইবে কেন। সর্ব কনিষ্ঠদের একজন অমিত তার পায়ের সমস্যা এমনকি আমার স্ত্রী মাহবুবা তার উচ্চ রক্তচাপ সত্ত্বেও নেমে যেতে তৈরি ছিলেন। তবে বেশ কিছুক্ষণের মৃদু বিতর্ক এবং সার্বিক বিবেচনা শেষে খোকন দ্রুত নিচে নামতে শুরু করলো। আমরা যখন টিকেটসহ খোকনের ফিরে আসার অপেক্ষা করছি, তখনই ঘটলো আরও এক ছোট্ট বিপত্তি। পাহাড়ি বৃক্ষ শাখার আন্দোলনে সৃষ্ট হঠাৎ হাওয়ায় ইটের দেয়ালে বসে থাকা পামেলার রোদ টুপি উড়ে গিয়ে পড়লো দেয়ালের বাইরে পাঁচ সাত ফুট নিচের স্তরে। সেখানে যাবার কোনো পথ নেই, নেই কোনো সিঁড়ি। টুপি উদ্ধারের একমাত্র উপায় হতে পারে দেয়াল থেকে লাফিয়ে পড়ে তুলে আনা। আমি হয়তো এখনো লাফিয়ে নামতে পারি, কিন্তু উঠতে পারবো কিনা সেই ভাবনা ভেবে বিকল্প খুঁজতে চেষ্টা করছিলাম।

আমরা যেখানে বসেছিলাম সেখান থেকে একটু উপরে দেয়ালের ওপাশ থেকে পাহাড়ি গাছের একটা মরা ডাল ভেঙে নিয়ে এলাম। এরপর শুরু হলো নিচের স্তরে ঝুঁকে পড়ে ডালের মাথায় আটকিয়ে টুপি তুলে আনার কসরত। কিন্তু ডালের মাথায় আঁকশি জাতীয় কিছু না থাকায় খোঁচা খেয়ে টুপি কাছে আসার পরিবর্তে দূর থেকে আরও দূরে সরে যায়। আমি যখন হতাশ হয়ে টুপি উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করবো ভাবছি তখনই আমরা স্ত্রী জানলেন টুপিটা পামেলার নয় আমার। দেরি না করে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ঘোষণা দিলেন, ‘যেখানকার টুপি সেখানেই পড়ে থাক, তুলে না আনলেও চলবে।’
কুড়ি পঁচিশ বছর বছর বয়সের এক সিংহলি তরুণ অনেকক্ষণ ধরে আমাদের টুপি উদ্ধার প্রয়াস লক্ষ করছিল। কথোপোকথন না বুঝলেও আমাদের উদ্ধার অভিযান যে পরিত্যক্ত হয়েছে সেটি বোঝার পরে সে এক লাফে নিচে নেমে টুপিটা তুলে হাত বাড়িয়ে আমার হাতে দিয়ে আবার সহজেই দেয়াল বেয়ে উপরে উঠে এলো। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাবার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ভাষা নিয়ে তার নিজেরও সমস্যা ছিল। তাই আমাদের ইংরেজি ভাষার ধন্যবাদের পরিবর্তে সে শুধু মৃদু হেসে সিংহলি ভাষায় দু একটি শব্দ উচ্চারণ করেই শেষ করলো।

খোকনের টিকেট উদ্ধার অভিযান অবশ্য খুব অল্প সময়ে এবং অনায়াসেই শেষ হলো বলা যায়। প্রায় হাজার ধাপ সিঁড়ি নামা ওঠার পরেও তার মধ্যে তেমন কোনো ক্লান্তি বা শ্রান্তির চিহ্ন দেখা গেল না। এমন কি ছায়ায় দুদণ্ড বসে একটু পানি খাবারও দরকার হলো না।

(পরবর্তী অংশ আগামী সপ্তাহে...)
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×