somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাসায় পুলিশ এলে কি করণীয়??

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তথ্য অনুসন্ধান বা অপরাধী খুঁজতে পুলিশ
বাড়ি যেতে পারে। এ সময় যাতে মানবাধিকার
লঙ্ঘন না হয় সেজন্য রয়েছে আইনের সুনির্দিষ্ট
কিছু বিধান। এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন
রাজারবাগ ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল(ডিটিএস)-এর
ইন্সট্রাকটর মো. আফজাল হোসেন।

বাসায় কী কী কারণে পুলিশ আসতে পারে এ প্রশ্নের
জবাবে তিনি বলেন, “বিভিন্ন কারণে বাসায় পুলিশ
আসতে পারে। যেমন, যদি কোনো ব্যক্তির
বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়, তখন
আসামী গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে পুলিশ যেতে পারে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যদি জানা যায়
কোনো বাড়িতে বা সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গায়
আগ্নেয়াস্ত্র বা বিষ্ফোরক পদার্থ মওজুদ আছে তখন
পুলিশ তল্লাশির জন্য সেই জায়গায় যেতে পারে।

এছাড়া কোনো মামলার পলাতক আসামীকে খুঁজে বের
করার জন্য ওই বাড়িতে ‍পুলিশ
তল্লাশি করতে পারে।”
বাসায় পুলিশ এলে ভয় না পেয়ে সহযোগিতা করার
বিধান আইনে রয়েছে। এ সময় তল্লাশির
নামে যাতে হয়রানি করা না হয় সেজন্য আইনের
সুস্পষ্ট বিধান আছে।

বাসায় পুলিশ এলে যদি সন্দেহ হয়, তবে কাছের
থানায় ফোন করে নিশ্চিত হতে পারেন। এজন্য
যুক্তিসঙ্গত সময়
তাদেরকে অপেক্ষা করতে বলা যেতে পারে।
চাইলে স্থানীয় থানায় ফোন করে নিশ্চিত
হতে পারেন, আসলেই বাসায়
থানা থেকে কোনো পুলিশ পাঠানো হয়েছে কি-না।
ঢাকার বিভিন্ন থানার ফোন নম্বর পেতে http://
http://www.dhaka.gov.bd/node/1124329
লিখে ওয়েবসাইটে সার্চ করুন। এখানে ঢাকার
সবগুলো থানার ফোন নম্বর আছে।

যেখানেই থাকুন না কেনো, স্থানীয় পুলিশের
নম্বরটি আপনার কাছে থাকা জরুরি।
সন্দেহজনকভাবে কেউ নিজেকে পুলিশের পরিচয়
দিলে তখন তার পরিচয় সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত
হতে পারবেন।
http://bdallinfo.com/dhaka-metropolitan-
police-telephone-number/

এই ওয়েবসাইট থেকেও দেশের বিভিন্ন থানার
ওসিদের ফোন নম্বর পাওয়া যায়।
পুলিশ, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের
ভিত্তিতে চাইলে তল্লাশি করতে পারে।
কোর্ট থেকে ম্যাজিস্ট্রেট যদি কারও
বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে, তবে পুলিশ উক্ত
ব্যক্তি বা বিষয়বস্তুর
সন্ধানে তল্লাশি চালাতে পারে। ওয়ারেন্ট
হলে তা লিখিত হবে এবং তাতে অভিযোগকারীর নাম
থাকবে।

এছাড়া তাতে তল্লাশি বা পরিদর্শনের স্থান
বা এর অংশ বিশেষের তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ
থাকবে। এছাড়া অভিযোগ কে বা কারা করেছে তা-ও
জানা যাবে।

তল্লাশি সম্পর্কিত সাধারণ বিধান
আবদ্ধ স্থানের ভারপ্রাপ্ত
ব্যক্তি তল্লাশি করতে দিবে:
আবদ্ধ জায়গা বলতে, বসতবাড়ি, গুদামঘর, শয়নকক্ষ
ইত্যাদি জায়গা বোঝানো হয়। আইন
অনুযায়ী অপরিচিত কেউ হুট করে আরেকজনের
শয়নকক্ষে ঢুকতে পারবে না। এজন্য অবশ্যই
আগে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া পুলিশ যদি উক্ত
কক্ষে তল্লাশি চালাতে চায় তখন ঘরের মালিক
সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন।

ফৌজদারি কার্যবিধি ১০২ ধারা অনুযায়ী, কোনো ঘর
বা বাড়ির মালিক পুলিশকে সার্চ করার
অনুমতি দিতে বাধ্য, এ সময়
তিনি পুলিশকে সকলপ্রকার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ
সুবিধা দেবেন।
তল্লাশি বা অনুসন্ধানের সময় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক
সাক্ষীর উপস্থিতিতে পুলিশ ঘরবাড়ি সার্চ করবেন।

এছাড়া ১০৩ ধারা অনুযায়ী কোনো আবদ্ধ জায়গায়
কিছু পাওয়া গেলে, পুলিশ তা নির্ধারিত
ফর্দে তালিকা করে নেবে। তালিকার অতিরিক্ত
কিছু নিতে পারবে না। এ সময় উক্ত স্থানের মালিক
বা ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি, স্বাক্ষী উক্ত তালিকায় নিজ
নিজ স্বাক্ষর করবেন ও একটি কপি পাবেন।
যে বস্তুর খোঁজে পুলিশ তল্লাশি করবেন উক্ত
স্থানে বা আশপাশে তল্লাশি করতে পারবেন।

কোনো ব্যক্তির দেহে লুকিয়ে আছে বলে সন্দেহ
হলে পুলিশ তার দেহ তল্লাশি করতে পারবে।
এইরূপ ব্যক্তি স্ত্রীলোক হলে ৫২ ধারার
নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।
৫২ ধারা অনুযায়ী স্ত্রী লোককে অবশ্যই
মহিলা পুলিশ দিয়ে তার দেহ তল্লাশি করতে হবে।
সেখানে মহিলা পুলিশ না থাকলে স্থানীয়
কোনো মহিলা দিয়ে পূর্ণ শালীনতার সঙ্গে তার
দেহ তল্লাশি করা যাবে।

সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাতে হবে
ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৩
ধারা (১)অনুযায়ী তল্লাশি চালানোর আগে, প্রস্তুত
অফিসার বা অন্য
কোনো ব্যক্তি যে স্থানে তল্লাশি চালানো হবে সেই
এলাকার দুই বা ততোধিক সম্মানিত
অধিবাসীকে তল্লাশিতে হাজির থাকা ও
সাক্ষী হিসেবে আহ্বান জানাতে হবে।

১০৩ এর ধারা (২) অনুযায়ী সাক্ষীদের
উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাতে হবে। এসময় উক্ত
অফিসার বা অন্য কোনো ব্যক্তি তল্লাশির সময়
জব্দকৃত সমস্ত জিনিস এবং যে জায়গায় ওই
জিনিসগুলো পাওয়া গেছে, তার
একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন। সে তালিকায় উক্ত
সাক্ষীরা স্বাক্ষর করবেন। বিশেষভাবে সমন
জারি করা না হলে, উক্ত স্বাক্ষীদের
আদালতে স্বাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন
হবে না।

তল্লাশিস্থানের দখলদার উপস্থিত থাকতে পারবেন
১০৩ এর ধারা ৩ অনুযায়ী তল্লাশির সময়
তল্লাশিস্থানের দখলদার বা তার পক্ষে অন্য
কোনো ব্যক্তিকে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তল্লাশির সময়
হাজির থাকার অনুমতি দিতে হবে।

১০৩ এর উপধারা ৩
অনুযায়ী তল্লাশি করা কোনো জিনিস আটক গ্রহণ
করা হলে আটককৃত বস্তুর তালিকার
একটি অনুলিপি সেই স্থানের মালিক বা দখলদার
পাওয়ার অধিকার রাখেন।
১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×