somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“তুমি আমাকে বিসিএস উপহার দাও, আমি তোমাকে ভালবাসা উপহার দিব” নারী বিদ্বেষী-মেয়েরা পড়া থেকে বিরত থাকবেন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেয়েটি অনেক ভালবাসে! একটুও কোটা খেয়াল করেননি? বিসিএস এর মত ও মেয়েদের ভালবাসায় কোটা বিদ্যমান। মেয়েদের ভালবাসা কোটায় কোটায় পূর্ণ। মেয়েরা এত সচেতন, তারা কোটার বাইরে এক কদমও এদিক সেদিক যাবেনা। তাদের ভালবাসা কোটার পূর্ণ এক্কান জিনিষ। ধরুন- আপনি একজন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আপনার কোন মাসিক ইনকামের ছিটে ফোঁটাও নেই। আপনি মোটামুটি কোন রকম দিনকাল অতিবাহিত করেন, আপনি গ্রামের মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির বা কৃষক পরিবারের সন্তান। কোন রকম ২০/২২ টাকার পোশাকি স্টাইলে চলে যায় আপনার দৈনন্দিন ফ্যাশনের হাল হাকিকত। মাঝে মাঝে ধার করা দুই একটা নতুন শার্ট বা টি-শার্ট গায়ে (দিয়ে) মাখেন। না হয় কোন কোন দিন রুমমেট কে বা পাশের রুমের বন্ধুটির অজ্ঞাতসারে চুপিচুপি তার নতুন বা সুন্দর শার্ট প্যান্ট পড়েন। ক্লাসে এসে ভাব মারেন। এমন এক্কান পার্ট নেন যেন সদ্য দুবাই থেকে শপিং করে এসেছেন। প্রতিমাসের শেষে হাজার পাঁচেকের উপরে ধার থাকে যদিও।

এত কিছুর মাঝে একটা মেয়েকে আপনার ভাল লেগে গেল। হয়ত মেয়েটি আপনার সাথে বা ক্যাম্পাস ইয়ার-মেট। না হয় সদ্য ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হওয়া একটি শহর বা গ্রাম ফেরত মেয়ে। যতই দিন যায় মেয়েটির প্রতি আপনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাকে আপনি এতই ভালবাসেন আপনার স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। দিন রাত তার পিছনে গাধার খাটুনী দিচ্ছেন। সক্কাল নাই সন্ধ্যা নাই, নাওয়া নাই খাওয়া নাই, রেস্ট নাই ঘুম নাই। সিটি বাস সার্ভিসের মত এখান থেকে এখানে অবিরাম ছুটে চলেছেন। হঠাৎ কোন একদিন আপনার ডাক পড়ল। ছোটখাটো বা বড় মাপের যে কোন কাজে নিয়োগ পেয়ে গেলেন। মাঝে মাঝে হল গেইট বা মেসের সামনে যাওয়ার চান্স পেয়ে গেলেন।

এবার দেখবেন, তিনি হল গেইটে বা মেসের পাশের বাজারে আসা মাত্র ইনি আপনাকে মিস কল দেয়। কল করতেই বলে আমি নিছে আসছিলাম-তো। ‘আপনি আসবেন কিনা জানতে চাইলে’ ‘না না না’ করে উত্তর দেয়। একটু জোর দিলেই ফিনিশ। আপনার জন্য ২০ মিনিট বসে থাকবে কিন্তু বাজার বা প্রয়োজনীয় কোন কিছু কিনবে না। যাওয়ার সময় আপনার মহান উপস্থিতেই কিনবে। বুঝলেন তো! এবার পড়লেন মস্ত আর এক ঝামেলায়। বাড়ি থেকে বাবা ৩০০০ টাকা যা পাঠিয়েছিল ৮/১০ দিনেই শেষ। বন্ধুদের না হয় রুমমেটদের পিছনে পিছনে ঘুরে হাজার পাঁচেক জোগাড় করলেন। মনে করেছিলেন কোন রকম ৭/৮দিন চালিয়ে বাবার কাজ থেকে আবার চাইবেন। এমন সময় মিসকল পাইলেন এক্কান। মোবাইল পকেটে থাকার কারণে টের পাননি। ১০ মিনিট পর রিকল করলেন। কিন্তু প্রতিবার মেয়ের এক্কান মিষ্টি গলা ভেসে আসে, সরি। অগত্যা ৫০টাকার কার্ড হান্দাইলেন। ফোন দিলেন। এভাবেই রাত বি-রাত ধার দেনা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা শুরু করে দিলেন। এভাবেই আপনি একদিন অতি কাছের হয়ে গেলেন। কারণ আপনার হাতের আঙ্গুল দিয়ে পানি বের হওয়ার পরিমাণ এতই অস্বাভাবিক যে আপনি যেন দরবেশ বাবা সালমান এফ রহমান বা শেয়ার বাজার ফটকা-কারী লোটা কামালের ছেলে না হয় নিশ্চিত বিল বা কার্লোস স্লিমের কোন এককালে বংশধর ছিলেন।

রিলেশন না সম্পর্ক কি যেন একটা হয়ে গেল। এখন আপনার প্রতি ভালবাসার কোটা ৫০% এর কাছাকাছি। আপনি এর মধ্যে ২০% ছাড় পেতে পারেন যদি ক্লাসের ফাস্ট হইতে পারেন বা আপনার এক্সট্রা মেয়েলি কিছু এক্টিভিটি থাকে। বাকি বিয়ের জন্য তোলা আছে যদিও বিয়ে করবে কিনা তার নিয়ে বিস্তর গবেষণার ব্যাপার আছে। কারণ এর মধ্যে যদি কোন সুন্দর ক্যারিয়ার ওয়ালা হাঁদারাম ছেলে পাওয়া যায়। আপনি সুন্দর সুন্দর অনেক কথা বলিয়াছিলেন। মাস দেড়েক যাইতেই আপনার পোটানি পুটকি দিয়ে বের হল। হাতের আঙ্গুলের ফাঁক দিয়া পানি প্রবাহের পরিমাণ স্বাভাবিক হইয়া আসিল। আপনি তখন কিপটে হয়ে গেলেন। আগের মত আর ফোন করতে পারেন না ধারের পরিমাণ বেড়ে বর্ষাকালে সমুদ্রের জোয়ারের মত বেড়ে যাওয়ার কারণে। গাধার খাটুনী খাটতে গিয়ে সেমিস্টারের রেজাল্ট সবার নীচ থেকে ফাস্ট হইলেন। (দোষ কিন্তু এখানে আমরা ছেলেদের) তখন ৮নং বিপদ সংকেতের মত ঘোষণা আসিবে আপনি আগের মত ভালবাসেন না। আপনি পাল্টাই গেছেন, হেন তেন নানা রকম কিচ্ছা কাহিনীর বাংলা সিনেমার বিস্তর ডায়লগ।

তখন আপনার প্রতি ভালবাসার কোটা কতটুকু জানেন, ০.৫%। হঠাৎ যদি আপনি ক্লাসের ফাস্ট বয় হয়ে যান, নিশ্চিত আপনি ৭০-৮০% ছাড় পেতে পারেন। রাতারাতি আপনার কাছে আলাদীন সাহেবের চেরাগ জন্মাইয়াছে। আপনি নিশ্চিত থাকুন ১০১% কোটা ও আপনি পেয়ে যেতে পারেন। বিয়া আপনাকে পিছন দিকে সুনামির গতিতে ছোটাবে। তবে এর মধ্যে আপনি কিছুটা ব্যতিক্রম দেখতেও পারেন। ক্লাসের ফাস্ট বয় ছাড়া কি আর কেউ চাকুরী পাবে না!!

মেয়েদের ভালবাসা আপনার প্রতি নাকি আপনার ক্যারিয়ারের প্রতি, আপনি একটু ভাবুন। কোন মেয়ে যদি আপনার সুন্দর ক্যারিয়ারকে ভালবাসে তাকে এড়িয়ে চলুন কারণ তার ইয়ে পাবেন। মন কোনদিন পাবেন না। মেয়েরা বড়ই চালাক প্রাণী, তাহারা সুন্দর ক্যারিয়ার কোথায়, কার কাছে, কিভাবে লুকিয়ে থাকে জানতে পারে। তাহাদের নাকের গন্ধ এতই শক্তিশালী যে কোথায় নাদুস নুদুস ক্যারিয়ার লুকিয়ে আছে দেখতে পায়। আমার ছেলে জাতিও এক প্রকার নাকি পুরা স্বার্থপর জানিনা। কারণ কিছু পুরুষ আছে তারা নারীদের কে ভোগ পণ্য মনে করে। মূল কথা, ভালবাসার নাম দিয়ে ক্যারিয়ার খোঁজার কি দরকার! সরাসরি বলেন, “তুমি আমাকে বিসিএস উপহার দাও, আমি তোমাকে ভালবাসা উপহার দিব”।
আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসুন নিরন্তর যাত্রা'র ব্লগ
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×