অ্যাডোনিসকে ভালোবেসেছিলেন প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি ।যিনি তার হিরন বানে বিদ্ধ করেন দেবতা ও মনুষ্যকুলের হৃদয় ।একি ভাবে সেই দেবী আফ্রোদিতিই প্রেমের তীব্র বেদনায় বিদ্ধ হয়েছিলেন নিজেও ।দেবী আফ্রোদিতি অ্যাডোনিসকে জন্মকালেই দেখেছিলেন তবু তিনি প্রেমে পড়েন তার ।তিনি অ্যাডোনিসকে নিয়ে যান পার্সিফনির কাছে তাকে দেখাশুনার জন্য ।কিন্তু পার্সিফনি নিজেও প্রেমে পড়ে যান এই সুদর্শন যুবকের ।তিনি পরে অ্যাডোনিসকে ফেরত দিতে অস্বীকার করেন এমনকি আফ্রোদিতি অ্যাডোনিসকে পার্সিফনির কাছে থেকে পাতালপুরীতে ফেরত আনতে গেলেও পার্সিফনি তাকে ফেরত দিতে অস্বীকার করেন ।কোন দেবীই যখন অ্যাডোনিসকে পাওয়ার দাবী ছাড়লেন না তখন স্বয়ং জিউসকে নিতে হল বিচারে ভার ।জিউস বিচারের রায় দিয়ে বললেন বছরের অর্ধেক সময় এক দেবীর সাথে বাকী অর্ধেক সময় অপর দেবীর সাথে কাটাবে অ্যাডোনিস ।হেমন্ত ও শীতকাল মৃতের রানী পার্সীফনির প্রসাদে আর বসন্ত এবং গ্রীষ্মকাল প্রেমের দেবী আফ্রোদিতির বাসরে দিন কাটাবে অ্যাডোনিস ।যতটা সময় আফ্রোদিতির কাছে সে থাকে ততক্ষন তার সময় কাটে আনন্দে ।আফ্রোদিতি তাকে খুশী করার জন্য চেষ্টা করেন সবসময় । অ্যাডোনিস দৌড়ের খেলা পছন্দ করতো ।দেবীও মাঝে মাঝে তার রাজহংসবাহিত রথ ছেড়ে বনপথে শিকারী সাজে সজ্জিত হয়ে অ্যাডোনিসের পথ অনুসরন করতো ।কিন্তু একদিন দুর্ভাগ্যক্রমে দেবী ছিলেন না তার সাথে ।অ্যাডোনিস এক বন্যবরাহ শিকার এর জন্য পিছনে দৌড়াচ্ছিলনে ।তার সাথে থাকা শিকারী কুকুরদের সহায়তায় কাবু করে ফেললো সে শুকুরটিকে ।ছুড়ে মারলো তার বর্শা কিন্তু তাতে সামান্য আহত হল বন্যবরাহ ।অ্যাডোনিস সরে যাবার আগেই যন্ত্রনায় উন্মত্ত বরাহ তেড়ে এলো তার দিকে এবং ধারালো দাত দিয়ে ছিড়ে ফেললো তার দেহ ।আফ্রোদিতি তখন হংসবাহিত রথে উড়ে যাচ্ছিলেন দুর আকাশপথে ।তিনি তার প্রেমিকের আর্তনাদ শুনে উড়ে এসে নামলেন তার কাছে । ধীরে ধীরে জীবনপ্রদীপ নিভে যাচ্ছিল অ্যাডোনিসের ।তার শরীর বেয়ে লাল রক্তের ধারা বয়ে যাচ্ছিল এবং ক্রমেই তার চোখ জোড়া ভারী ও অন্ধকার হয়ে উঠেছিল ।দেবী আফ্রোদিতি তাকে চুম্বন করলেন ।কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী অ্যাডোনিস তা জানতে পারলো না । তার শরীর ক্ষত গভীর কিন্তু তারচেয়েও গভীর তার হৃদয়ের আঘাত এটা যে প্রিয়তম দেবী তাকে দেখতেও এলোনা ।দেবী কানে কানে কথা বললেন অ্যাডোনিসের সাথে যদিও তিনি জানেন যে এড্যানিস তা শুনছে না । তিনি বলতে থাকলেন তোমাকে বাচতেই হবে কেননা আমী দেবী যেতে পারবোনা তোমার সাথে ।আরেক বার আমাকে চুম্বন কর শেষ বারের মতো যাতে আমি শুষে নিতে পারি তোমার সমস্ত ভালোবাসা ।কিন্তু মৃত্যের পাতালপুরী থেকে অ্যাডোনিস শুনতে পেল না কারো কান্না । দেখতেও পেল না যে যেখানে যেখানে তার রক্ত মাটিতে পড়েছে , সেখানে গজিয়ে উঠেছে এক একটি সিদুরবর্ন অনিন্দ্যকুসুম ফুল ।করুন মৃত্যুবরন এবং ফুল হয়ে পুনর্জীবন লাভের শ্রেষ্ঠ উদাহরন হচ্ছে অ্যাডনিস ।
অ্যাডোনিস এবং আফ্রোদিতির প্রেমের কাহিনী (চিরায়ত পুরান অবলম্বনে)
মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে
সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন
= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=
এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।
বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন
Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই
শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবনের গল্প
মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমান
" অভিমান "
তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।
আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন