আমাদের কৃষকভাই বা শ্রমজিবী ভাইয়েরা এত কষ্ট করে অথচ তাঁদের কোন অবসর ভাতা নেই। বুড়ো বয়সে তাঁদেরকে আমরা ভিক্ষুক বানিয়ে ছেড়ে দিই এবং অনেক করুণ পরিণতির মধ্যে দিয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। অথচ তাঁরা সক্ষম শ্রম ব্যয়ের সময়ে প্রখর রোদেও আমাদের খাদ্যের যোগান যেমন দেয় তেমনি সেবাও দেয়। আর তাঁদের করুন পরণতি আমরা অহরহই দেখছি। আপসোস হয়ত করি কিন্তু অনেক বুঝেও সঠিক চিন্তা করে বিধি প্রণয়ন করতে নারাজ! কারন আমরা মহাগ্রন্ত ও হাদিস মত নীচের দিকে তাকাই না। আমরা এক সক্ষম আর এক সক্ষমের সমাজে বা পরিবারে হারিয়ে যেমন গেছি ঠিক তেমনি চরম অপব্যয় আর শয়তান আমাদের সাথেই থাকে। অন্যদিকে ব্যতিক্রম হল যদি ভাগ্যক্রমে যদি ঐ কৃষক বা শ্রমজীবী ভাইয়ের কোন ছেলে মেয়ে সক্ষম অর্থ উপর্জনকারী হয় তাহলে একটু সুখ পেয়ে বিদায় নিতে পারে। অন্যদিকে শিক্ষিত সক্ষম লোকদের নিশ্চিত অবসর ভাতা,সরকারী কোঠায় জায়গা, ফ্লাট আরও কত কিছু আছে। অবৈধ উপার্জনকারী হলে তো কথায় নেই এবং ভাল সুযোগ সুবিধায় পড়ালেখা করে বলে তাঁদের (সরকারী/ বেস রকারী অবসর ভাতা প্রাপ্তদের ) ৯৫% ছেলেমেয়েরা সহজে অর্থ উপার্জন কারী হয়। যে কারণে এ সকল অবসরপ্রাপ্তগন অনেকটা নিরাপদ অবসর যাপনের নিশ্চয়তা পাই বা থাকে। বিষয়টি সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করলে কি দাঁড়ায়? আমি যা ধরতে পারি আমরা সক্ষম শিক্ষিত আইন প্রনেতারা বা অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা চরম এক হিংস্রতারই পরিচয় দিচ্ছি এর জন্য চরম শাস্তি আমদের অপেক্ষমান যা এড়ানোর কোন উপায় থাকবে না। It is call Natural punishment এটি দুনিয়াতে যেমন ভোগ করতে হবে আখেরাতেও ভোগ করতে হবে। No doubt is there! তাই বলছি মাননীয় সরকার ও পলিসি মেকারগণ হিংস্র হইয়েন না মানবতা প্রবন হউন যৌক্তিক আইন প্রনয়ণ করুন যাতে সকলে নিরাপদ হয় ! প্রয়োজনে কিছু সম্পদ কেড়ে নিয়ে পুনঃবন্টন করুন ! দয়া পূর্বক।।