“হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে
কুড়ায়ে ঝরা ফুল একেলা আমি,
তুমি কেন হায় আসিলে হেথায়
সুখের স্বরগ হইতে নামি।”
**********************
যাঁর কবিতা রক্তে তোলে নৃত্যের তরঙ্গ, যৌবনের অপ্রতিরুদ্ধ গতি আর দ্রোহের দহনে ঋদ্ধ যাঁর কবিভাষা, যিনি ঝড়ের মাতম বিজয় কেতন নেড়ে অট্টহাসে আকাশখানা ফোঁড়ে দম্ভোলির ন্যায় আবির্ভূত হয়েছিলেন বাংলার গগনে, যিনি প্রেম- বিরহ- দ্রোহ আর সাম্যবাদী চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে সমৃদ্ধ করেছেন শাশ্বত বাঙালির চিরায়ত সাহিত্যকে, সেই বিরামহীন এক অভিনবত্বের নাম কাজী নজরুল ইসলাম।
তিনি আমাদের প্রাণের কবি, প্রেরণার কবি, ধর্মের কবি ও জাতীয় কবি। ছোট বেলা থেকেই রূঢ় বাস্তবতার নির্মম পরিহাসে বেড়ে উঠলেও জীবন সংগ্রামে তিনি ছিলেন এক অকুতভয় সংগ্রামী যোদ্ধা। সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় উচ্ছ্বসিত কবি রবীন্দ্র বলয়কে জয় করে যেমন স্বতন্ত্র্য ধারায় বিনির্মাণ করেছেন বাংলা সাহিত্যকে, তেমনিভাবে অনুপ্রেরণার পথিকৃৎ হয়েছেন এ সমাজের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাদের জন্য সর্বদা।
কবির সাহিত্য কর্মগুলো উজ্জলতার স্মারকে প্রোথিত হয়ে থাকুক হাজার বছর ধরে প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়-কুটিরে।
আজ কবির ১১৭ তম জন্মদিনে তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী।।।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩