somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কয়েকটা কৌতুক - =p~ :P

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন ব্লগে কোন কৌতুক পোস্ট দেখিনা, তাই -----

১/ এক মাতাল একটা রেস্তোরাঁয় গোলমাল করায় চার জন বেয়ারা তাকে ঘাড় ধরে ফুটপাতে ছুড়ে ফেলে দিল।
বাইরে লোকজন ততক্ষণে জমে গেছে।
লোকটি তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলল, আমাকে এভাবে হেনস্থা করা! খাড়া দেখাচ্ছি তোদের! এই বলে সমবেত লোকদের উদ্দেশ্যে বলল, আমি ভেতরে গিয়ে ওই চার বেয়ারাকে এক এক করে এক্ষুনি রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলছি আপনারা দেখুন।
লোকটি হুড়মুড় করে রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়ল। একটু পরেই একজন ফুটপাতে এসে মুখ থুবড়ে পড়ল।
সমবেত লোকজন হরষধ্বনি দিয়ে উঠলো- সাব্বাস! সাথে কাউন্ট আপ! ১,১,১,---
পড়ে থাকা লোকটির কণ্ঠস্বর শোনা গেল, ধুর মিয়ারা! কিসের এক এক করছেন, ওরা আমাকেই আবার ছুড়ে ফেলেছে!

২/ “এক মোরগ আর একটা হাসকে অপরাধ করার জন্য জেল খানায় ঢুকানো হয়েছে। মন তাদের খারাপ খুব। হাসটি মোরগকে জিজ্ঞেস করলো – আচ্ছা ভাই, এরা কি আমাদের পাঁলক ছেটে দেবে? মোরগ বললো, আমি তো ঠিক বলতে পারবো না; তুমি বরং ঐ কোনায় বসে থাকা ইঁদুরটাকে জিজ্ঞেস করো। হাস তখন ইদুঁরকে জিজ্ঞেস করলো, আচ্ছা ইঁদুর ভাই, এরা কি আমাদের পালক ছেটে দেবে? ইঁদুর টা গম্ভীর হয়ে বললো – আমি ইঁদুর নই, আমি শজারু”।

৩/ মহরমের বিরাট মিছিল বের হয়েছে। সেই মিছিলের মাঝামাঝি অবস্থানে আট দশ জন যুবক লোহার চেইন দিয়ে তাদের পিঠে আঘাত করছে আর হাই হোসেন, হাই হোসেন বলে সুর করে মাতন করছে। চেইনের আঘাতে তাদের পিঠ রক্তাক্ত হয়ে গেছে, তবুও থামছে না তারা। দেখা গেল বিদেশী এক ভদ্রলোক সেই মিছিল ঠেলে মিছিলের মাঝখানে যাবার চেস্টা করছেন রক্তের উৎস কোথায় তা দেখার জন্য। তিনি গিয়ে দেখলেন ঘটনা কি ঘটছে। অবাক হয়ে এ সব কান্ড দেখে কিছু বুঝতে না পেরে তিনি একজনকে জিজ্ঞেস করলেন – মাফ করবেন স্যার, এই লোকগুলো এভাবে নিজেদের আঘাত করে রক্তাক্ত হচ্ছে কেন? ভদ্রলোক তখন বিদেশীকে সেই ১৪০০ বছর আগে কারবালায় কি ঘটেছিল তার একটা ছোটখাটো বর্ননা দিলেন। বিদেশি ভদ্রলোক সব শুনে কিছুটা দিশেহারা হয়ে বললেন – “তা এরা কি সেই খবর আজই পেল?”

৪/ রেস্তোরাঁয় ঢুকে চার পাঁচ পদের দামি খাবার খেয়ে একটা পান মুখে দিয়ে ভদ্রলোক বেয়ারাকে ডেকে বললেন, “এখানকার ম্যানেজারকে একবার ডেকে দাও”।
বেয়ারা ম্যানেজারকে ডেকে দিল। ম্যানেজার আসল।
ভদ্রলোক বললেন, আপনি আমাকে চিনতে পারেন? দুই বছর আগে আমি এই রেস্তোরাঁয় খাওয়ার সময় সামান্য কুড়ি টাকা দিতে পারি নি। মনে পড়ে, সে সময় আপনি বেয়ারাদের দিয়ে আমাকে মেরে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলেন?
- আমাদের মাফ করবেন স্যার, সে সময় ভুল করে আপনাকে…..
-আপনি ক্ষমা চাইছেন কেন? আপনি আপনার বেয়ারাদের ডাকুন।
- অবশ্যই স্যার এক্ষুনি তারা আপনার কাছে ক্ষমা চাইবে।
- না না ক্ষমার কথা আসছে কেন? আজও আমার কাছে টাকা নেই, তারা কাজ শুরু করুক।

৫/ এক মৌলবী সাহেব সাধ্যমতো ধর্মকর্ম করতেন আর সময় পেলেই করতেন ওয়াজ। মৃত্যুর পর তিনি বেহেশতে ছোটখাটো একটা বালাখানা পেলেন। আর অল্প কিছু দাস দাসী। সেখানে তার সুখেই দিন কাটতে লাগল।
একদিন মর্নিং ওয়াক সেরে ফেরার পথে তিনি পাশের আলিশান বালাখানাটার মালিকের দেখা পেয়ে গেলেন। আরে , এ যে তাঁর দুনিয়ার প্রতিবেশী বাস ড্রাইভার। লোকটা মদ খেত, বউকে পেটাত, জুয়া খেলত। আর সেই কিনা বেহেশতে এমন বালাখানা হাঁকিয়ে বসেছে!
মৌলবী সাহেব একদিন ফেরেশতার দেকা পেয়ে রহস্যটা কী জানতে চাইলেন।
ফেরেশতা বলল, আপনার বালাখানা ছোট হবার কারন হল, আপনার ওয়াজ অধিকাংশ শ্রোতা মনে রাখে নি। দু’ একজন মাত্র আল্লাহর নাম
মৌলবী সাহেব বললেন, তা ওই ড্রাইভার ব্যাটা কী করেছে, জানতে পারি কি!
ফেরেশতা বলল, সে যখন দু’ বোতল দেশী মদ টেনে বাস চালাত, তখন বাসের সকল যাত্রী তো বটেই, রাস্তার সব পথচারীও আল্লা! আল্লা! করত। তারই পুরস্কার ওই বিশাল বালাখানা।

অনেক হিতাকাঙ্ক্ষী পোস্টটিকে হিটাকাংখী ভাবতে পারেন, তাই শিরোনামে ১৮্+ দেয়নি। নিচের জোকটা মনে হয় সেরকম তাই ছোটদের জন্য আর নিচে না যাওয়ার নির্দেশনা রইল।

৬/ বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে এক মেয়ে সেখানে এর ছেলেকে বিয়ে করে বসে। ছেলেটির আবার একটি পা ছিল না।
মেয়েটি মাকে চিঠিতে জানালো- মা তুমি শুনে হয়তো দুঃখ পাবে তবুও বলছি- মাই হাসব্যান্ড হ্যাজ অনলি ওয়ান ফুট!
উত্তরে মা লিখেছে- দুঃখ করিস না মা, তোর আব্বারটা মোটে পাঁচ ইঞ্ছি!!!


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৭
৪১টি মন্তব্য ৪১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×