আমার এক দুলাভাই আমির হামজা। একবার তিনি তানজানিয়া ট্যুরে গিয়েছিলেন। উনাকে একদিন অনলাইনে একটিভ দেখে আমার ভিতরে লুকিয়ে থাকা এক সুপ্ত প্রতিভা চাগান দিয়ে উঠলো।(‘কি করি আজ ভেবে না পাই’ ভাইজান আবার আমার এ লাইনের ওস্তাদ) ফটাফট লিখে ফেললাম দু;লাইন-
হামজা মিয়া
গানজা নিয়া,
পাচার করেন
তানজানিয়া।
সিন করে সাথে সাথেই তিনি আমাকে ফোন দিয়ে বসেন।হো হো করে সেকি হাসি! আমার বিকট প্রতিভায় তিনি মুগ্ধ!সেবার আসার সময় তিনি আমার জন্য দুইটা টিশার্ট এনেছিলেন।
গিফট পেয়ে আমি মহা খুশি। এই খুশির ঠেলায় গতকাল আবারো আমার মধ্যে প্রতিভাটা উঁকি ঝুঁকি দিতে থাকে। দূর সম্পর্কের শ্যালিকা তানিয়াকে অনলাইনে দেখে ঝেড়ে দিলাম দু;লাইন!
মিষ্টি মেয়ে
তানিয়া,
কারে দৌড়াও
দা নিয়া।
সাথে সাথে সিন। প্রায় সাথে সাথেই ফোন! প্রথমবার ধরলাম না। ভাব নিচ্ছি। প্রতিভার প্রশংসার উত্তরে কি বলবো ভেবে নিচ্ছি। যুতসই একটা বাক্য ঠিকও করে রেখেছি-‘আরে শ্যালিকা প্রতিভার দেখলে কি? দেখানোর সুযোগ দিলে আরো কত কত প্রতিভা যে দেখাতাম!
অবশেষে ফোন রিসিভ করলাম। শ্যালিকার গলা থমথমে,
- দুলাভাই আপনাকে এ কথা কে বলেছে? কে বলেছে দুলাভাই বলতেই হবে। অন্যায় করে সে আবার এসব আপনাকে বলে বেড়াচ্ছে। ভাল করেছি দৌড়ানী দিয়েছি, লাগ পাইলে কুপিয়েই ছাড়তাম!
-
আগে ঠিক করে রাখা উত্তরটা ভুলে আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল- লা হাওলা ওয়ালা ক্যুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম!!!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৮