আপনি যদি প্রকৃত মুসলমান হয়ে থাকেন তাইলে আপনাকে অবশ্যই সুবাহানাল্লাহ বলতে হবে ।
তবে সুবাহানাল্লাহ বলার আগে একবার ভাবুন !
চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আয়কৃত সকল অর্থ নাম যশ খ্যাতি সবই ইসলামিক দৃষ্টিতে হারাম । আর হারাম আয় দিয়ে যাই করেন না কেনো কিছুই আল্লাহর দরাবারে কবুল হবে না ।- এইসব কোরান হাদিসের কথাবার্তা ।
নবী মুহাম্মদ বলেন, যে দেহ হারাম খাদ্য বস্তু দ্বারা লালিত-পালিত তা কখনো জান্নাতে যাবে না। জাহান্নামই হবে তার একমাত্র ঠিকানা। (বুখারি)।
অপু বিশ্বাস বাঙলা চলচ্চিত্রে নাচন কুদন না করলে তারে কেউ চিনতো না । আজকের এই খ্যাতি অর্থ নাম যশ সুনাম তার কিছুই হইতো না । তার আয় ইনকাম নাম যশ খ্যাতি যা হয়েছে তা বাঙলা চলচ্চিত্রে নাচন কুদন করে আমাদের বিনোদন দিয়েছে বলেই হয়েছে । অপু বিশ্বাসরা আমাদের বিনোদনী ।
এখন সে নামাজ রোজা হজ্ব এবং সংসার করবে বলে ঠিক করেছে । এইসব তার ব্যাক্তিগত ইচ্ছা । নামাজ রোজা সংসার একজন মানূষ যেকোন বয়সে যেকোন সময় করতে পারে । কিন্তু হজ্ব করতে হলে তাকে হালাল টাকা দিয়ে করতে হবে ।
তার যাবতীয় আয় ইনকাম রুটি রুজির জায়গাতো ছিলো চলচ্চিত্র । এইখান থেকেই সে হয়তো বিভিন্ন জায়গায় ইনভেষ্ট করে আরো কিছু পয়সাপাতি করেছে । কিন্তু এইসবের মূল উৎসই হইলো চলচ্চিত্র এবং বিজ্ঞাপন । এখন যদি সে এই টাকা দিয়ে হজ্ব করে সেই হজ্ব কি ইসলামিক দৃষ্টিতে সঠিক হবে ?
অথবা হইতে পারে সে তারা জামাইয় শাকিবের টাকায় হজ্ব করবে । কিন্তু সেই টাকাওতো সিনেমা এবং বিজ্ঞাপন থেকে আয়কৃত । অথবা হতে পারে অপু তার বাপ দাদার সম্পত্তি থেকে পাওয়া অর্থ নিয়ে হজ্ব করবে । কিন্তু সেই অর্থওতো অমুসলিমের । অপু ধর্মান্তরিত হইলেও তার মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় স্বজন সকলেই অমুসলিম । অমুসলিমের টাকায় হজ্ব করলে নিশ্চয় সেই হজ্ব ইসলামিক দৃষ্টিতে কবুল হওয়ার কথা না ?
বাঙলা চলচ্চিত্রের একসময়ের সেরা গরম মসল্লা ময়ূরী তিনডা জামাই ছাইড়া চাইর নাম্বার জামাই নিচে একজন কওমী মাদ্রাসার বিরাট বড় আলেমরে । এই ময়ূরীর নাভী , বুক আর মাংসের তুফান দেখার জন্য কতো পোলাপাইন হালাল টাকা খরচ কইরা নিশ্চিন্তে গুনা কামাইতে যাইতো সিনেমা হলে আর সেই ময়ূরী এখন বিরাট বড় আলেমের বউ । শুনছি সেও নাকি হজ্ব করে সব গুনা মাফ কইরা ফেলবে । কিন্তু যারা তার নাভী , বুক আর মাংসের তুফান দেইখা খ্যাচতে খ্যাচতে গুনা কামাইয়া নিশ্চিত জাহান্নামের পথে হাঁটছে তাদের কি হইবে ? এই দায় নিশ্চয় ময়ূরী কোন ভাবেই এড়াইতে পারে না ?
অপু বিশ্বাস গোপনে বিয়া কইরা বাইচ্চা লই বিরাট ক্যাচালে পইড়া যায় । বাইচ্চার বাপের স্বীকৃতি লওয়ার জন্য একটি টেলিভিশন চ্যানেলের হাতে পায়ে ধইরা লাইভে এসে বাধ্য করে শাকিব খানকে অপুর বাইচ্চার বাপ স্বীকার করাইতে ।- এইসব ক্যাচাল নিশ্চয় ইসলামিক দৃষ্টিতে জায়েজ না ?
হ্যাপি নামের একজন উঠতি মডেল ক্রিকেটার রুবলরে ইচ্ছামতো লাগাইয়া পরে যখন বুঝতে পারে রুবেল তারে বিয়া করবে না তখন একটা ধর্ষণ মামলা করে ক্রিকেটার রুবলরে জেলে পাঠায় আর পরবর্তীতে হ্যাপি হয়ে যায় বিরাট বড় ইসলাম প্রচারক । অথচ এই হ্যাপি ইসলাম প্রচারক হওয়ার আগে কতো পোলাপাইন আর কতো ফটোগ্রাফার কতো ডিরেক্টরকে হ্যাপি করছিলো সেই হিসাব হ্যাপি আর মনে রাখে নাই ! তওবা করে সবই মাফ পাইয়া গেছে !
অপু বিশ্বাস , ময়ূরী এবং হ্যাপি এরা হইলো শাবানা ববিতা এবং সব অসম্ভবকে সম্ভব করা অনন্ত জলিলের মতো নিজেদের অপরাধ বা অপকর্ম ঢাকার জন্য ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে । আদতে এরা কেউই সহিহ ইসলামিক মাইন্ডেট নয় । এরা একেকজন বিরাট বিরাট কিসিমের ভন্ড ।
তারা কেউ কি চলচ্চিত্র অথবা বিজ্ঞাপন থেকে আয়কৃত সকল হারাম টাকা পয়সা নাম যশ খ্যাতি বাজেয়াপ্ত করেছে ? নাকি সকল হারাম টাকা পয়সা নাম যশ খ্যাতি ঠিকঠাক রেখে সহিহ ইসলামিক মাইন্ডেট মানূষ সাজতে আসছে ?- একটু চিন্তা করলে সেটি যে কেউই বুঝতে পারবে ।
শেষ কথা হইলো গিয়া , যারা নিজেদের অপরাধ বা অপকর্ম ঢাকতে ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তারা কেউই ধার্মিক নয় । তারা ভন্ড ।
কি অপু বিশ্বাস , কি ময়ূরী , কি হ্যাপি , কি শাবানা , কি ববিতা আর কি অনন্ত জলিল তারা সকলেই এক বাক্যে ভন্ড ।
ভন্ডদের চিহ্নিত করুন
ধর্মব্যবসায়ীদের ঘৃণা করুন ।
আপনি যদি সহিহ মুসলমান হয়ে থাকেন তাইলে এইবার ভেবে বলুন, সুবাহানাল্লাহ বলবেন নাকি আস্তাগফিরুল্লাহ বলবেন !
জাজাখাল্লাহ খায়রান ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯