প্রয়োজনের তুলনায় মাইয়াদের প্রতি বেশি সিম্প্যাথি দেখানো আসলে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার সমান।
নারীরা কোটা চায় না। তারা নিজ মেধা আর হিম্মতের যোগ্যতায় পুরুষের সমকক্ষ। নারী কোটা নারীদের জন্য অপমান এবং দৃষ্টিকটু। - এই কথা গুলো আমরা শুনেছিলাম "কোটা সংস্কার চাই" আন্দোলনকারী মাইয়াদের মুখে।
ফলাফল কোটা বাতিল হওয়ার ঘোষণা আইছে।
কিন্তু তারপরেও আমরা দেখতাছি, বাসে নারী কোটায় মাইয়াদের জন্য রিজার্ভ সিট। বাস ট্রেনের টিকেট নেওয়ার জন্যেও নারী কোটায় আলাদা লাইন।
এইতো গেলো কোটা সিম্প্যাথি।
কোন কারণে যদি ঘরে কিংবা বাইরে পোলা মাইয়ার ক্যাচাল লাগে পাবলিকের আলটিমেট সিম্প্যাথি কিন্তু মাইয়ার দিকে যায়। একটা পোলার লগে একটা মাইয়ার মারামারি, ধস্তাধস্তি, তর্কাতর্কি কিংবা অন্যযেকোন ক্যাচাল লাগুক না ক্যান কারণ যাই হোক সিম্প্যাথির জায়গায় মাইয়া বেনিফিশিয়ারি হয়। মাইয়াদের কোন দোষই নাই। এ যেনো, মাইয়ার জন্মই হইছে নিষ্পাপ হইয়া বাইচ্ছা থাকার জন্য- টাইপ কাহিনী!
এইবার আসি খুবই সেনসিটিভ জায়গায়। ধরেন এক পোলা রাস্তা থেকে কিংবা ফোনে কিংবা ফেইসবুক মেসেঞ্জারে একটা মাইয়া ভাড়া করলো শট তিন হাজার নাইট পাঁচ হাজার টাকায়।
মাইয়া কন্ডিশন দিলো, নো এনাল, মাস্ট বি ইউজ কনডম এবং ফিফটি পার্সেন্ট এডভান্সড বাই বিকাশ। [ক্যাশ দিলে লাগানোর পর থাপড়াইয়া পোলায় টাকা লই ফেলাইতে পারে]। বাকি ফিফটি পার্সেন্ট টাকা রুমে ঢুকার পরে কাপড় খোলার আগে দিয়ে দিতে হবে বাই বিকাশ।
পোলা ডিল কনফার্ম করার আগে কইলো, আই ডোন্ট লাইক টু ইউজ কনডম। বাট আই ডোন্ট আউট মাই সিমেন (বীর্য) ইউর ইনসাইড। মাইয়া কইলো, তাইলে ঠিকাছে।
পোলা জিগাইলো, পেনিস সাকিং করবে কি না? মাইয়া কইলো, অফকোর্স। পোলা কইলো, পুশি ক্লিন কি না? মাইয়া কইলো, লিটলবিট হেয়ার দ্যায়ার। পোলা কইলো, পুশি মাস্ট বি নীড এন্ড ক্লিন। বিকজ আই লাইক সাকিং পুশি টু মাচ। সো পুশি মাস্ট নীড ইন্ড ক্লিন। মাইয়া কইলো, ওকে। বিফোর গোয়িং ক্লিন পুশি। পোলা জিগাইলো, ফিংগারিং করতে দিবে কি না। মাইয়া কইলো, ফিংগারিং নো প্রবলেম বাট মেইক শিউর নখ যাতে কাটা থেকে। পোলা কইলো, তার আঙুলের নখ কাটা। প্রয়োজনে আবার কাটবে। পোলা জানতে চাইলো, ড্রিঙ্ক করে কি না? মাইয়া জানাইলো, সে অনলি হুইস্কি হইলে করে। নট মোর দ্যান থ্রি প্যাগ। পোলা কইলো, অকে। মাইয়া কইলো, এনিথিং এলস? পোলা কইলো, তার জানার আর কিছুই নাই। মাইয়া কইলো, ক্যান উই গো ফর ডিল? পোলা কইলো, ইয়েস শিউর। মাইয়া কইলো, ডিল ইজ ডান। পোলা কইলো, ডান।
বিকাশ নাম্বারে টাকা ডিল মাফিক দেওয়ার পরে মাইয়া আইলো নির্দিষ্ট জায়গায়। পোলা পিক করে মাইয়ারে গাড়িতে তুললো। পোলায় কইলো, তাইলে চলো এবার বাসায় যাওয়া যাক। মাইয়া কইলো, এতো তাড়াতাড়ি বাসায়? পোলা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো, ছয়টা ছুঁইছুঁই। কইলো, তো তাইলে কই যাওয়া যায়। মাইয়া কইলো কিছুক্ষণ ঘুরি। তারপর ডিনার নিয়ে নয়টার দিকে বাসায় গিয়ে দুইজনে একসাথে গোসল নিবো। তারপর সারারাত এনজয় করবো। পোলা কইলো, দ্যাটস আ গুড আইডিয়া।
ছেলে ড্রাইভ করছে মেয়ে পাশের সিটে বসে সিগারেট ফুঁকছে। ছেলেটি হুইস্কির বোতলে চুমুক দিয়ে বললো, ক্যান আই কিস? মেয়ে বললো, অফকোর্স। ডিল অনুযায়ী আমি আজ রাতের জন্য তোমার। ছেলে গাড়ি স্লো করে, ঠোঁটে চুমু খেলো। মেয়ে সিগারেটে একটা লম্বা টান দিয়ে ছেলের ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে কিছুটা ধোঁয়া ছেলের মুখে ছাড়লো। ছেলেটি এতে বেশ মুগ্ধ হলো। ছেলেটি বললো, ক্যান ইউ সাক মাই পেনিস? মেয়ে বললো, নাউ? ছেলে বললো, হুম। মেয়ে বললো, শিউর বাট ইউ নীড টু সেন্ড মি ডিউ মানি। ছেলে বললো, শিউর।
ছেলে মোবাইল হাতে নিয়ে, বাকি টাকা বিকাশ করে দিলো এবং প্যান্টের জিপার খুলে পেনিস বের করে দিলো। মেয়ে হাতে থু থু লাগিয়ে পেনিস মৈথুন করছে আর ছেলেটি ফিল নিতে নিতে আস্তে আস্তে গাড়ি ড্রাইভ করছে।
ছেলেটি বেশ কামোউত্তেজিত হয়ে বললো, বেবি সাক সাক সাক মাই পেনিস! মেয়েটি এইবার পেনিস মুখে নিয়ে আস্তে আস্তে সাক করছে। ছেলেটি কামোত্তেজনায় গাড়ি রাস্তার সাইডে পার্ক করে মেয়েটিকে বললো, ক্যান আই ফাঁক ইউ ইন কার? মেয়েটি বললো, ইফ পিপলস সি? ছেলেটি বললো, কালো গ্লাস দেখবেনা। মেয়েটি বললো, দ্যাটস ফাইন। ইউ ক্যান ফাঁক মি ইন কার।
মেয়েটিকে সামনের সিট থেকে পিছনের সিটে নিয়ে গেলো। ছেলেটি উন্মাদের মতন মেয়েটির কাপড় খুলছে। আর মেয়েটি চায় ক্লায়েন্ট সেটিসফেকশন। ক্লায়েন্ট যেভাবে সেক্স করুক তার সমস্যা নাই।
এইসময়টা অফিস ফেরত সময়। রাস্তায় প্রচুর গাড়ির চাপ থাকে। তারউপর ঈদের মৌসুম। ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য অলরেডি জ্যাম লেগে গেছে। একটা মোটরসাইকেল বারবার হর্ণ দিচ্ছে। কিন্তু ছেলেটির সেইদিকে ভ্রুক্ষেপ নাই। ছেলেটি উন্মাদযৌনতায় ব্যস্ত।
কিন্তু মোটরসাইকেলটির চালক যখন ছেলেটির গাড়ির পাশে এসে কালো গ্লাসে চোখ লাগিয়ে দেখলো তখন ছেলেটি বুঝতে পারলো তাদের যৌনতার দৃশ্য কেউ একজন দেখে ফেলেছে। তাকে দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালাতে হবে।
ছেলেটি দ্রুত মেয়েটির শরীর থেকে উঠে গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্ট্রার্ট দিলো। ঐদিকে মোটর সাইকেলের চালক মনে করলো, একটি ছেলে একটি মেয়েকে কাপড় চোপড় খোলার জন্য গাড়িতে ধস্তাধস্তি করছে। এই দৃশ্য সে দেখে ফেলাতে ছেলেটি গাড়ি নিয়ে ভেগে যাচ্ছে।
তাই মোটরসাইকেলের ছেলেটিও গাড়ির পিছু নিলো। সোশাল রেসপন্সিবিলিটি বলে একটা কথা আছে না! কোন মেয়েকে নিজের চোখের সামনে বিপদে ফেলে কোন ছেলে নিরব থাকতে পারে না !
রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে কারটি বেশি দূর যেতে পারে নাই! আর এর মধ্যে মটরসাইকেলের ছেলেটি কারের সামনে এসে কারের গ্লাসে সজোরে আঘাত করলো। ভেতরের ছেলেটি শখের কারের গ্লাস ভাঙার ভয়ে দরজা খুলে যখন বাইরে আসে তখন তার মুখ দিয়ে ভদভদ করে মদের গন্ধ বের হচ্ছে। মোটরসাইকেলের ছেলেটি উঁকি মেরে দেখে কারের ভেতর একটি মেয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় কাঁদছে। মেয়েটি খুবই ভয় পেয়ে গেছে । চোখে মুখে মেয়টির ভয়ের চাপ স্পষ্ট ! সেতো এই পরিস্থিতিতির জন্যে মোটেও প্রস্তুত ছিলো না ।
মটরসাইকেলের ছেলেটির মগজে ঢুকে যায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হচ্ছিলো কারের ভেতর । সজোরে থাপ্পড় মারে ছেলেটির গালে মোটরসাইকেল চালক । এর মধ্যে রাস্তায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে যায় । মোটরসাইকেলের চালক ঘটনা খুলে বলতেই , পাবলিক ছেলেটিকে মাইর শুরু করে দেয় ।
আর এই দৃশ্য দ্রুত ভিডিও করে মোটরসাইকেল চালক । কারণ এইটা তার জীবনের একটা ঐতিহাসিক ঘটনা । তার জন্যে একটা মেয়ের ইজ্জত এবং জীবন বাঁচছে । এই ঘটনার একটা ডকুমেন্ট থাকা দরকার ।
মেয়েটি ভয়ে লজ্জায় এবং নিজের ইজ্জত বাঁচাতে কি বলবে না বলবে ঠিক করতে পারছে না । মেয়েটি শুধু আমতা আমতা করছে । আসলে সে বুঝতেই পারছে না কি বলা উচিত । সেতো প্রফেশনাল সেক্স ওয়ার্কার না । সে মাঝেমাঝে সেক্স ক্লায়েন্ট নেয় । তার অনেক বান্ধবী এই রকম সেক্স ক্লায়েন্ট নেয় । সে আগেও এই রকম বহুবার নিয়েছে । কিন্তু এই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় নাই একবারও । কিন্তু এখন যদি প্রচার হয়ে যায় সে সেক্স ওয়ার্কার তাইলেতো তার ইজ্জত পুরাই বেইজ্জত হয়ে যাবে !
সে আমতা আমতা করে বললো, আমি কলেজ রোডে দাঁড়িয়ে ছিলাম বাসায় যাওয়ার জন্যে । আমাকে রাস্তায় একা পেয়ে এই লোকটি জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় তারপর... হু হু করে কেঁদে উঠে !
মোটরসাইকেলের ছেলেটি বলে , ঠিকাছে ঠিকাছে বোন আর বলতে হবে না আমরা সব বুঝতে পারছি । তুমি তাড়াতাড়ি বাসায় চলে যাও । আমি একটা সিএনজি ঠিক করে দিচ্ছি আর এই ছেলের ব্যবস্থা আমরা করছি ।
মেয়েটি সিএনজিতে উঠে নিরাপদে বাসায় চলে যায় ।
আর এইদিকে ছেলেটিকে পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগে সোপর্দ করা হয় আর তার ভিডিওটি ফেইসবুকে ঘটনার কাহিনী বর্ণনা করে আপলোড দিলে ভিডিওটি মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় ।
সাথে সাথে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এ সেক্স করতে যাওয়া একজন ছেলে ধর্ষক হয়ে উঠে । তারপর থেকে আস্তে আস্তে ধর্ষকের বউ পোলার ছবি আপলোড হয়ে পড়ে ফেইসবুকে । থু থু মারতে থাকে সবাই !
থু থু'র নিচে চাপা পড়ে যায় একটা সেক্স ডিল ।
কাল হয়ে দাঁড়ায় নারীর প্রতি পুরুষের প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত সিম্প্যাথি ।
[ লেখাটি কাল্পনিক । লেখার চরিত্রের সাথে বাস্তব চরিত্রের কোন মিল নাই । যদি কেউ কোন জীবিত অথবা মৃত ব্যাক্তি কিংবা চরিত্রের সাথে মিল খুঁজে পান তা কেবলই আশ্চর্য্যের ব্যাপার ]
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮