-শিশুর জন্য কাকের উপহার-
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বহু মানুষই পাখি ভালোবাসেন। বিশেষ করে তার নিজের বাগানের পাখি। কিন্তু সবাই সেই ভালোবাসার প্রতিদান পায় না। সিয়াটলের আট বছরের একটি শিশু সেদিক থেকে অনেক বেশি ভাগ্যবানই বটে। নিয়মিত খাবার দেয়ার প্রতিদানে কাকের কাছ থেকে অনেক উপহার পেয়েছে সে।
একদিন গ্যাবি ম্যান তার ডাইনিং টেবিলে মুখ খোলা একটি বাক্স রাখল, কয়েকদিন পর সেই বাক্সটির দিকে খেয়াল করলেন গ্যাবি ম্যান। তারপর সেই বাক্সটি খোলার সাথে সাথেই দেখতে পেল বাক্সটি হরেক রকমের দামী সব সংগ্রহকৃত উপহার দিয়ে ভর্তি। এগুলো সে উপহার হিসেবে পেয়েছে তার বাগানের কাকগুলোর কাছ থেকে! বেশ কয়েকটি কানের দুল, জেমস ক্লিপ, বোতাম, এবড়োথেবড়ো পাথর, একটি হলুদ পুঁথি, এক টুকরো হাড়, এক টুকরো ম্লান কালো ফোম, নাট-বল্টু, মার্বেল-এমন চমৎকার সব উপহারে ঠাসা গ্যাবির সংগ্রহশালা।
উপহারগুলো বেশির ভাগই ময়লা এবং দাগে ভরা কিন্তু এই দামি সংগ্রহশালা উম্মোচন করেই তার ছোট ভাইকে সব সময় একটি সতর্কবাণী দেয় সে, কাছ থেকে দেখতে পারে কিন্তু ছোঁবে না! কৌটার ভেতরের সারিবদ্ধ বস্তুগুলো প্লাস্টিক ব্যাগে রাখা। সেগুলোর ওপর গ্যাবি ম্যান কাকের নামসহ উপহারের নাম ও উপহার দেয়ার সময় এবং তারিখ উল্লেখ করে রেখেছে। এসব উপহার গ্যাবির কাছে সোনার চেয়ে দামি।
প্রতিবেশি এ কাকগুলোর সাথে তার সম্পর্কের সূত্রপাত হয় 2011 সালে যখন সে মাত্র চার বছরের শিশু। ওই সময় তার হাত থেকে খাবার পড়ে যেতো। কাক সেগুলো দেখলেই ছুটে আসত। আর একটা সময় কাকেরা অপেক্ষ করতে শুরু করল গ্যাবির জন্য। একটু বড় হতেই বিষয়টি নজরে পড়ে ছোট্ট গ্যাবির। তাই বাস স্টপেজে যাওয়ার সময় তার লাঞ্চের কিছুটা কাকের জন্য রেখে যেতে শুরু করে। আসলে লাঞ্চের বেশির ভাগই কাকদের জন্য বরাদ্দ করতে থাকে গ্যাবি। পরে তার ভাইও তার সাথে যোগ দেয়। পরে দেখা গেল গ্যাবির বাসের জন্য লাইন ধরে বসে আছে কাকগুলো। যার অর্থ আরো একবার খাবার পাওয়া যাবে।
বাসার সামনের টেলিফোন লাইনের তারের ওপর বসত কাকগুলো এবং অনেক সয়ম খাবার নিয়ে জোরে ডাক দিলেই তারা হাজির হতো গ্যাবির কাছে। এক সয়ম দেখা গেল কাক মাঝে মধ্যে পা বা মুখে করে নিয়ে আসছে ছোট ছোট নানা উপহার! গ্যাবির দাবি, তার কাছে কাকের এমন উপহারও রয়েছে যার ওপর লেখা ছিল ‘ফ্রেন্ড’! অন্যদিকে গ্যাবির মা বললেন, ‘লাঞ্ ‘ কাককে দেয়ায় খুশি হয়েছি। কারণ প্রাণীর জন্য ওদের ভালোবাসা আছে এবং তা শেয়ার করতে শিখছে।
বহু মানুষই পাখি ভালোবাসেন। বিশেষ করে তার নিজের বাগানের পাখি। কিন্তু সবাই সেই ভালোবাসার প্রতিদান পায় না। সিয়াটলের আট বছরের একটি শিশু সেদিক থেকে অনেক বেশি ভাগ্যবানই বটে। নিয়মিত খাবার দেয়ার প্রতিদানে কাকের কাছ থেকে অনেক উপহার পেয়েছে সে।
একদিন গ্যাবি ম্যান তার ডাইনিং টেবিলে মুখ খোলা একটি বাক্স রাখল, কয়েকদিন পর সেই বাক্সটির দিকে খেয়াল করলেন গ্যাবি ম্যান। তারপর সেই বাক্সটি খোলার সাথে সাথেই দেখতে পেল বাক্সটি হরেক রকমের দামী সব সংগ্রহকৃত উপহার দিয়ে ভর্তি। এগুলো সে উপহার হিসেবে পেয়েছে তার বাগানের কাকগুলোর কাছ থেকে! বেশ কয়েকটি কানের দুল, জেমস ক্লিপ, বোতাম, এবড়োথেবড়ো পাথর, একটি হলুদ পুঁথি, এক টুকরো হাড়, এক টুকরো ম্লান কালো ফোম, নাট-বল্টু, মার্বেল-এমন চমৎকার সব উপহারে ঠাসা গ্যাবির সংগ্রহশালা।
উপহারগুলো বেশির ভাগই ময়লা এবং দাগে ভরা কিন্তু এই দামি সংগ্রহশালা উম্মোচন করেই তার ছোট ভাইকে সব সময় একটি সতর্কবাণী দেয় সে, কাছ থেকে দেখতে পারে কিন্তু ছোঁবে না! কৌটার ভেতরের সারিবদ্ধ বস্তুগুলো প্লাস্টিক ব্যাগে রাখা। সেগুলোর ওপর গ্যাবি ম্যান কাকের নামসহ উপহারের নাম ও উপহার দেয়ার সময় এবং তারিখ উল্লেখ করে রেখেছে। এসব উপহার গ্যাবির কাছে সোনার চেয়ে দামি।
প্রতিবেশি এ কাকগুলোর সাথে তার সম্পর্কের সূত্রপাত হয় 2011 সালে যখন সে মাত্র চার বছরের শিশু। ওই সময় তার হাত থেকে খাবার পড়ে যেতো। কাক সেগুলো দেখলেই ছুটে আসত। আর একটা সময় কাকেরা অপেক্ষ করতে শুরু করল গ্যাবির জন্য। একটু বড় হতেই বিষয়টি নজরে পড়ে ছোট্ট গ্যাবির। তাই বাস স্টপেজে যাওয়ার সময় তার লাঞ্চের কিছুটা কাকের জন্য রেখে যেতে শুরু করে। আসলে লাঞ্চের বেশির ভাগই কাকদের জন্য বরাদ্দ করতে থাকে গ্যাবি। পরে তার ভাইও তার সাথে যোগ দেয়। পরে দেখা গেল গ্যাবির বাসের জন্য লাইন ধরে বসে আছে কাকগুলো। যার অর্থ আরো একবার খাবার পাওয়া যাবে।
বাসার সামনের টেলিফোন লাইনের তারের ওপর বসত কাকগুলো এবং অনেক সয়ম খাবার নিয়ে জোরে ডাক দিলেই তারা হাজির হতো গ্যাবির কাছে। এক সয়ম দেখা গেল কাক মাঝে মধ্যে পা বা মুখে করে নিয়ে আসছে ছোট ছোট নানা উপহার! গ্যাবির দাবি, তার কাছে কাকের এমন উপহারও রয়েছে যার ওপর লেখা ছিল ‘ফ্রেন্ড’! অন্যদিকে গ্যাবির মা বললেন, ‘লাঞ্ ‘ কাককে দেয়ায় খুশি হয়েছি। কারণ প্রাণীর জন্য ওদের ভালোবাসা আছে এবং তা শেয়ার করতে শিখছে।
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?
সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়
অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঘুষের ধর্ম নাই
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।
হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।
পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??
সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন