♥ মানুষের মৌলিক চাহিদা ৫টি - ১. খাদ্য ২. বস্ত্র ৩. বাসস্থান ৪. শিক্ষা ৫. চিকিৎসা। এর সাথে আমি আরোও ১টি মৌলিক চাহিদা হিসেবে যোগ করব ৬. কর্ম। কারন বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায়......কর্ম বা আয় ছাড়া মানুষের অন্য ৫টি মৌলিক চাহিদার কোনটাই নিয়মিত ভাবে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
♥ যদিও মানুষের চাহিদার কোন শেষ নাই....তবুও আমি বলবো উপরোক্ত ৬টি মৌলিক উপাদান নিয়মিত ভাবে চালিয়ে যাওয়াই, ১টা ব্যক্তির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। এবার আসুন আমরা সমাজে বেঁচে থাকবার অন্য নিয়ামক বা চাহিদা সম্পর্কে আলোচনা করি... আজকাল অনেকেই বিনোদন কে জীবনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। অথচো অতীতে মৌলিক চাহিদা পূরনের পর সঞ্চয় করাকে অধিক প্রাধান্য দেয়া হতো। অতীতে সঞ্চয়ের মাধ্যমে.....সম্পত্তি ক্রয়, বাড়ি নির্মান, অলংকার গড়া, ব্যবসায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ প্রয়োজনে বিয়ে বা পড়াশুনা শেষে মূলধন যোগান দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হতো। অথচো.....আজ সঞ্চয়কে কম প্রাধান্য দিয়ে, বিনোদন সামগ্রী ক্রয় ও বিনোদন খাতের ব্যায়কে মানুষ আধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। যেমনঃ - শখ করে... Latest Mobile/Laptop/ TV/Car/Motorcycle/Ac... দামি আসবাব ও তৈজসপত্র ক্রয় ♦ জাঁকালো ভাবে......বিয়ে, গায়ে হলুদ, জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী পালন, মুসলমানি বা খতনা, Happy new Year, Valentin's day, Friendship day, পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি পালন করে থাকেন!
♥ এখানে অনেকেই আবার নিয়মিত ভাবে.......বাণিজ্য মেলা, বইমেলা, বৃক্ষ মেলা, সমরাস্ত্র মেলা..... যোগদান ইত্যাদি খুব গুরুত্বসহকারে পালন করতেও দেখি! যদিও Showoff করবার জন্য এমনিতেই ঈদ পরবর্তী অতিরিক্ত দামে জামা, জুতা, ঘড়ি, চশমা, money bag, পার্স....ও যাবতীয় প্রসাধন ক্রয় এমনকি বহুমাত্রিক রুপশয্যায় প্রচুর অর্থ ব্যায় করে থাকেন। আমার আলোচনার বিষয়বস্তু ধনী বা উচ্চবিত্তদের কে ঘিরে নয়। আমার এই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে...বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিম্ন আয়ের, অর্থাৎ নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর এবং রাজধানী ঢাকার অভ্যন্তরে ১৬% সরকারি চাকুরীজীবী ছাড়া বাকি ৮৪% জনবসতির মধ্য ৭০%ই ভাড়াটিয়া বা বহির্গত। এবং ঐ ৭০% জনগণের মধ্যে ৬০%ই মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত.....শ্রেণীর। তাহলে আক্ষরিক অর্থেই বুঝা যায়...আমরা বা এদেশের আধিকাংশ মানুষের জীবন পরিচালনায় মৌলিক চাহিদা পুরনের সাবলিল স্বক্ষমতায় এখনও ঘাটতি রয়ে গেছে। কিন্তু আজও দেখবেন....পহেলা বৈশাখে......১জন গার্মেন্টস কর্মী থেকে শুরু করে......বেকার যুবক/যুবতির গায়ে ১পিছ লাল শাড়ি অথবা পাঞ্জাবি পড়ে দেদারসে চিন্তাবিহীন ঘুরে বেড়াচ্ছে....অথচো ঘরে আগামী ৫ দিনের বাজার আছে কিনা বা কিভাবে তার ব্যাবস্থা হবে.....তা নিয়ে মাথা ব্যথা কারো মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় না!
♥ তাহলে প্রকৃত অর্থে কি বুঝা গেলো? আমরা শুধু মুখেই বলি এই নাই সেই নাই কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। কথায় বলে না- সখের তোলা ৮০টাকা। তাই ঘরে না থাকলেও বাহিরে Showoff করার জন্য কোনো ভাবেই কমতি দেখতে রাজি নই আমরা।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫২