কিন্তু এই আদালতই আবার কারো কারো ফাঁসি কার্যকর করার ক্ষমতা রাখে। সেটা ক্যামনে করে বলবেন জনাব নাসিম স্যার!? এই বিচার বিভাগকে আর কত দেখাবেন? নিজেদের স্বার্থরক্ষা হলে আদালত ঠিক আর না হলে আপনাদেরকে ছুঁতেও পারবে না! এদেশে কি আইনের প্রয়োগ দুই ব্যক্তির জন্য দুই রকম নাকি!? বলবেন নাসিম স্যার?
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিলো ৪৬ বছর পরে আপনাদের দেয়া তথ্যর উপর ভিত্তি করে অথচ সেখানে দেখা গেলো অনেক যুক্তিসংগত কারণকেও সম্মানিত আদালত উপেক্ষা করেছেন বরং ফাঁসি কার্যকর করে আপনাদের পছন্দের মূল্যায়নিই করেছিলেন সম্মানিত বিচারকেরা। অথচ দেশের মানুষ এবং ভূক্তভোগীর পরিবার সম্মানিত আদালতের রায় মেনে নিয়েই লাশ গ্রহণ করেছিলেন। তখন কেনো আপনারা ভূক্তভোগীদের পক্ষে এড়িয়ে যাওয়া প্রশ্নগুলো নিয়ে সম্মানিত আদালতকে প্রশ্ন রাখেন নি!?
তখন মনে হয় আদালত বড় ছিলো আর আপনারা ছোট ছিলেন!? তাই না জনাব নাসিম স্যার? দল করলে সত্য মেনে নিতে পারবোনা কিংবা বলতে পারবোনা এমন দল করার দরকার নাই কারণ একদিন আপনার-আমার এই মিথ্যা তথ্যর জন্য আপনাকে-আমাকেই মহান সৃষ্টিকর্তার সামনে জেরা করতে হবে। নিশ্চয় সেইদিন কোনো দল আপনাকে-আমাকে রক্ষা করতে সামনে আসার ক্ষমতা রাখবেনা।
সেই দিনকে ভয় করে হলেও সত্যর পথে এসে দেশ ও জাতি মঙ্গল কামনায় কিছু ভালো কাজ করুন। অনুরোধ করছি -মিথ্যা থেকে বেরিয়ে আসুন সবাই। আদালত কারো গোলামী করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশ ও জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে দিক নির্দেশক হিসেবে। এই দেশ আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি’র দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং এই দেশের ৭কোটি লোকের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ শক্তি প্রয়োগের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অতএব রায় পক্ষে গেলে কখনো আওয়ামীলীগ কখনোবা বিএনপি খুশি হয়। এই নীতি থেকে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে সরে এসে, দেশ ও জাতির সুশৃঙ্খল ও সুস্থ জীবন গঠনে ভুমিকা রাখতে হবে। ধন্যবাদ।
বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন : আদালতের হাত এতো লম্বা হয়নি যে সংসদকে ছুঁতে পারে-জনাব নাসিম।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০