দেশের উচ্চ আদালত নিয়ে এতো বাগাড়ম্বর করার পরেও যখন সরকারী দলের নেতা/পাতি নেতা/সিকি নেতারা বলেন, আদালতের হাত এতো বড় হয়নি যে, সংসদদের ছুঁতে পারে! আবার সেই নেতাই বলেছেন-আমরা সত্যি বলবো আমাদের বাক স্বাধীনতা আদালত বন্ধ করতে পারবে না! আবার আমাদের অর্থমন্ত্রী মহোদয়ও বলেছেন-যতবার আদালত সংশোধনী বাতিল করবে তারা ততবারই আইন পাশ করবেন। কেউ একজন বলেছেন, এই রায় নাকি প্যানড্রাইভ রায়! আরো ভয়ংকর যতসব কথা বার্তা।
এখন প্রশ্ন হলো: উচ্চ আদালতকে সংবিধানে গণমানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে কিন্তু কোনো ব্যক্তি বিশেষ কিংবা রাজনৈতিক দলকে তা করা হয়নি শর্তেও কিভাবে আদালতের সম্মান নষ্ট হওয়া সত্ত্বেও তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি?
অথচো সামান্য কারণে যেখানে আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রীর দুটি পত্রিকার ব্যাপারে ২০০শত কোটি টাকার মানহানির মামলা করবেন বলে ধ্যান করেছেন। অন্যদিকে একজন সাংবাদিককে ছাগল মরা খবর ফেসবুকে প্রচার করার দায়ে ৩দিনের জন্য জেলে যেতে হয়েছিলো? তাহলে জানতে চাই- ‘বাক স্বাধীনতা’ কি বিভিন্ন ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন রকম হয়!!!?
সরকারী দলের অনুসারীরা যাচ্চেতাই বললে সম্মান নষ্ট হয়না এবং তাদের ব্যাপারে কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারেন না বরং ভিন্ন মতালম্বীদের মধ্যে থেকে কেউ কিছু বললে কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই জেল-জরিমানা। এটা তো ‘বাক-স্বাধীনতা’ হতে পারে না।
আইন এক দেশে দুই ব্যক্তির জন্য দুই রকম কখনোই হতে পারে না। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনের সঠিক প্রয়োগ কামনা করছি। অপরাধী তিনি যে কিংবা যারাই হোক না কেনো। আইন যেনো তাদের (অপরাধীর) মুখের দিকে না চেয়ে সংবিধানে উল্লেখিত আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাহলেই হয়তো দেশ কিংবা জাতি খুঁজে পেতে পারে কাঙ্খিত গণতন্ত্র। যেখানে সবাই সমান সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫