somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

-অপ্রকাশযোগ্য যৌন হয়রানি!-

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গত 19.08.2017ইং তারিখ সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম সরোওয়ার্দী হাসপাতালে বন্ধুর ছোট ভায়ের অপারেশনে উপস্থিত থাকার জন্য। যদিও আমি খুব একটা হাসপাতালে যাই না কারণ ভয় লাগে। আর মানুষের মাঝে ব্যবহার হয় সুই থেকে শুরু করে যত অস্ত্র আছে এমন জিনিস দেখলে গাবড়ে যাই। যার ফলে আমার খুব একটা হাসপাতালে যাওয়া হয় না। যদিও যাই তবে সেটা মেডিসিন পর্যন্তই যথার্থ।

গতকালকের বিষয়টি ছিলো অপারেশন নিয়ে। আমার চোখের সামনে বন্ধুর ছোট ভাইকে অপারেশন রুমের ১নং গেটে নিয়ে গেলো সিষ্টাররা। আমি এবং আমার বন্ধু সামনে দাঁড়িয়ে দেখছি। যথারীতি চোটখাটো কিছু কাজ ছিলো সিষ্টাররা সেরে নিচ্ছিলেন। অবাক লাগলো, যখন দেখলাম ডাঃ আসার পূর্বে সিস্টাররা রোগীকে কাপড় খুলে কিছু একটা (অপ্রকাশযোগ্য) করতেছিলেন। আমার দেখে লজ্জা লাগলো কিন্তু এতোগুলো মেয়ে (সিষ্টার) সেখানে উপস্থিত ছিলো তাদের লজ্জা লাগলো বলে মনে হলো না!!

এতে আমার মনে অদ্ভুত এক প্রশ্ন জাগলো, আর তা হলো এখন কি ইভটিজিং কিংবা যৌন হয়রানি বলে কোনো কথা শুনা যাবে!? যদিও ঘটনাটি উল্টো ঘটতেছিলো, মেয়েদের এবং ছেলে দ্বারা হচ্ছিল। আর সেখান আসা যাওয়া করতেছিলো আরো দু’একজন নার্স (সিস্টার)!!!

তারপর সেখান থেকে কিছু সময়ের জন্য ক্যান্টিনে আসলাম যদি পছন্দের কোনো ইর্ণ্টানি ডাঃ চোখে পড়ে! দুই বন্ধু ক্যান্টিনে বসে রুটি আর মুরগীর গোস্ত খেলাম। এর ভিতরে ৪জন (২মেয়ে+২ছেলে উভয় ছিলো চশমা পরা অবস্থায়) আসলো এবং একটি টেবিলে বসলো। সময়টা ছিলো আনুমানিক ৭টা। তারা সবাই কিছু খাচ্ছিল আর তখন আমি আমার বন্ধুর উদ্দেশ্যে বলছিলাম-এতক্ষণ পর্যন্ত যতজনই দেখেছি তার মধ্যে ঐ চারজনের মধ্যে একজনই খুব ভালো লাগার মতো। ঐ মেয়েটির সাথে যে ছেলেটির জুটি দেখছিলাম আমার কাছে মনে হয়েছে ওরা হয়তো ভাই-বোন। কারণ দুজনের মাঝে খুব মিল ছিলো (লম্বা+চশমা+সুন্দর+স্বাস্থ্য+চেহারা)। কিছু সময় পরে তারা উঠে যায় এবং আমরাও তার কিছু সময় পর খাওয়া শেষ করে বের হই। এরপর অপারেশনের ডাঃ এর খোঁজ-খবর নিই। জানতে পারি এখনো ডাঃ আসেন নি, পরের দিন সকালে অপারেশন হবে। যাই হোক-

এর ভিতর বন্ধু বললো চলো তোমাকে হাসপাতালের লেকটা দেখিয়ে আনি। ঐখানে অনেক সুন্দরীরা আছে হয়তো। আমিও মনে খুব আনন্দ নিয়ে বন্ধুর কথায় রাজি হয়ে গেলাম। গিয়ে দেখি ১৫-২০ জন ছেলে আছে চার দলে বিভক্ত। তাদের মধ্যে দুই দলের মাঝে ২জন মেয়ে ছিলো। অবাক হয়েছি যখন দেখলাম ৪জন ছেলের মাঝে একজন মেয়েই ব্যস্ত! আর ১জন ছেলে কে নিয়ে ১জন মেয়ে ব্যস্ত। বাকিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে। সময় প্রায় রাত ৯টা। বন্ধুকে বললাম, এখন আমি বাসায় ফিরবো কারণ ঘরে দাদাও অসুস্থ। এর ভিতর আবিষ্কার করলাম, ক্যান্টিনে আমার দেখা সুন্দরী মেয়েটা (অনুমানকৃত ভাই) ঐ ছেলেকে নিয়ে গেট দিয়ে লেকে প্রবেশ করছে!! এত রাত নিশ্চয় কোনো ভাই তার বোনকে নিয়ে অন্ধকার লেকে ঘুরতে যাবে না!? মনে শংসয় জাগলো, তারা কি করছে তা দেখার জন্য! যা দেখলাম মুখে বলছি না- তবে অবাক হলাম কিছু সময়ের জন্য---

যাকে সবচেয়ে সুন্দরী বলে ভালো মনে চিন্তায় ধরে নিয়েছিলাম কিছু সময়ের জন্য হলেও, মনে হয়েছিলো খুবই ভদ্র পরিবারে মেয়ে। যে মেয়ে ক্যান্টিনে এক সেকেন্ডের জন্যও কারো দিকে তাকালো না! যার চেহারায় ছিলো নিশপাপ ছাপ। সেই কিনা শেষ পর্যন্ত বাকি দুজনকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে রাতের অন্ধকারে ছেলে বন্ধুকে নিয়ে কিছু সময় সুখ খুঁজতে লেকে আশ্রয় নিয়েছিলো!!!

অবশেষে মনটা খারাপ করে বাসায় চলে আসলাম। ভাবছি আসলে সুন্দরে সত্যি জিনিটা বোধহয় নাই। যা আছে শুধুই লোক দেখানো ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই নয়। অথচ ওনারাই আবার ছেলেদের দিকে ইভটিজিং কিংবা যৌন হয়রানির অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×