somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

-রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান মায়ানমারেরই হাতে বলেই বিশ্বনেতারা যেনো একটি জাতির শেষ পরিণতি উপভোগ করার কাজেই ব্যস্ত আছেন!!!-

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিশ্ব মিড়িয়া এখন কোথায়? তারা চুপ কেনো? আনান কমিটির কাজ কি ছিলো? আনান কমিটি মায়ানমার সরকারকে, রোহিঙ্গাদেরকে সেই দেশের নাগরিক করে নিয়ে দ্রুততার সাথে সমস্যা সমাধান করে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যে মিয়ানমার সরকার এবং তার সেনাবাহিনী সাধারণ রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়ন, সন্ত্রাসী, নারী নির্যাতন, আগুন দিয়ে ঘরবাড়ি পোড়ানো এমনকি সে দেশে থেকে বিতাড়িত করা শুরু করেছেন, তাতে করে অবাক না হয়ে পারা যায় না!! মিয়ানমার সরকার এবং তাদের দোসরদের কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে ‘আনান কমিটি’ ছিলো একটি লোক দেখানো ভুয়া কমিটি। যার কোনো গুরুত্ব মিয়ানমার সরকারের কাছে নাই। তাহলে প্রশ্ন রাখতে চাই ঐ সকল অবিবেচক রাষ্ট্র নেতাদের কাছে- যখন হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, ইহুদিদের মধ্যে সামান্যতম সমস্যা হলেই পুরো বিশ্বনেতারা একযোগে মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিয়ে দেন, এখন আপনারা কি চোখে পট্টি বেঁধে নাকে সরিষার তেল মেখে ঘুমাচ্ছেন...!!!??? দেখতে পাচ্ছেন না, বিশ্বে কি হচ্ছে…!!!!????

আবার আপনারাই বড় বড় কথা বলেন মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে, অথচ দিনের পর দিন রাতের পর রাত একটি দুর্বল, সাহায্যপ্রার্থী গোষ্ঠীকে তার দেশ থেকে নির্যাতন করে বিতাড়িত করা হচ্ছে; কেড়ে নেয়া হচ্ছে বেঁচে থাকার ন্যুনতম অধিকারও। আজ সেসব বিশ্ব নেতারা চোখ খুলে রেখে কানার অভিনয় করছেন সব মুসলিমদের সাথে। আমি বলতে চাই- ঐসব অবিবেচক রাষ্ট্রনেতারা না হয়, না দেখার ভান করছে কিন্তু মুসলিম বিশ্বের একটি বড় সংগঠন ‘ওআইসি’ তারা কি করছে? আপনারাই বলেন, মুসলিম হচ্ছে ভাই ভাই। এক ভাই সমস্যায় পতিত হলে তার আরেক ভাই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে। তাহলে এখন কোথায় আছেন বড় ভাই ‘ওআইসি’…!!!? আঙ্গুল চুসতেছেন…!!!???

এরা শুধু নিজের ক্ষমতাকে নিজ কেন্দ্রিক কুক্ষিগত করে রাখার জন্য ঐসব অবিবেচক রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে নিজ ঘরের মানুষের শত্রুতা করিয়ে দিতেই পছন্দ করেন মাত্র! কারণ তা না করলে যে, নিজ ক্ষমতার চেয়ার দখল ছাড়া হয়ে যাবে। আরে-ও বেইনসাফের দল, ভয় কর সেই দিনের কথা; যেখানে তোদের জন্য কোনো চেয়ার থাকবেনা, থাকবেনা কোনো প্রাসাদ। আসবেনা কেউ তোকে সাধুবাদ জানাতে, করবেনা কেউ তোয়াজ। না থাকবে তোর ক্ষমতার বাহাদুরি, না থাকবে তোর ক্ষমতায় যাওয়ার নেশা! তবে কেনো এখনো তোদের ঘুম ভাঙ্গেনা……!!!

তোরা কি শুধু মুসলিম জাতির মাঝে সন্ত্রাসীর গন্ধ খুঁজে বেড়াছ? তাহলে তোদের এতো পড়াশুনা দিয়ে কি হবে। বিল ক্লিনটন যখন ইরাক যুদ্ধে তার দেশের সৈন্য পাঠাতো তখন নাকি সে সময় বাইবেল পড়তো। ও অবিবেচক রাষ্ট্রনেতারা, তোদেরকে প্রশ্ন রাখি-তোরাই নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে সভ্য জাতি আর মানবাধিকার সংরক্ষণের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। তবে কেনো তোদের চোখে পৃথিবীতে দুই শ্রেণীর (ধর্মের) লোকের জন্য তোদের দৃষ্টিভঙ্গিও দুই রকম হবে? এটা কি স্ববিরোধিতা নয়!!!? এটা কি তোদের ধর্মের বিরোধিতা নয়?

তোদের হাত ধরে আজঅব্দি পর্যন্ত ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন আজ পর্যদুস্ত! এসব দেশ কার ওপর এত জুলুম করেছিলো যার কারণে তোরা এসব দেশগুলোতে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিলি এবং ধ্বংস করে দিলি তাদের জাতিগত ঐতিহ্যকে। হত্যা করলি হাজার হাজার নিরিহ লোককে! তোদের কোন ধর্ম দিয়েছিলো ঐসকল নিরিহ লোককে হত্যা করার অধিকার? তোরা কি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইজরাইল, আর মায়ানমার এর মধ্যে সন্ত্রাসীদের দেখোছ না!? যারা দিনের পর দিন, রাতের পর রাত নিরিহ নর-নারীদের নির্যাতন করে হত্যা করে চলেছে প্রতিনিয়তেই!!! তোদের ধর্মনীতি যদি তোরা ছাড়া অন্যদের সুরক্ষার কথা না বলা থাকে তবে ‘ধিক তোদের’! ধিক তোদের ধর্মনীতিকেও’!!!

সাথে সাথে বলতে চাই, বিশ্বে যারা নোবেল শান্তিতে পুরষ্কার দেয় তারা কিসের ভিত্তিতে নোবেল দেয়; সেটা পুরোপুরি পরিষ্কার করা দরকার। বিশ্ব বিবেক আজ পুরো সত্য জানতে চায়। যদি বিশ্বে শান্তির প্রতিষ্ঠায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কাজ করার কারণে মূল্যায়িত হন এবং কেবল তাকেই কিংবা তাদেরকেই নোবেল দেয় কমিটি তবে সব কিছু ঠিকঠাক আছে। আর যদি তার ব্যতিক্রমও হয় তবে এই ব্যবস্থা খুব দ্রুত বিলুপ্ত করাও জরুরী বলে মনে করি। আমরা লক্ষ্য করছি ইদানিং, যারা এখন পর্যন্ত শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন তার বেশির ভাগই অশান্তির হোতা হিসেবে চিহ্নিত। যার ফলশ্রুতিতে এই শান্তিতে নোবেল হয়ে উঠেছে অশান্তির প্রতিক হয়ে। তাই উক্ত কমিটির কাছে আবেদন থাকবে -‘শান্তিতে নোবেলে'র ইজ্জত যদি রাখতে চায় নোবেল কমিটি, তাহলে অবশ্যই ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এবং সুচি’র কাছ থেকে যেনো নোবেল প্রাইস ফেরত নেওয়া হয়। কারণ আজ তারা বিশ্ব অশান্তির অগ্রদূত হয়ে কাজ করছেন বলেই বিশ্বাস করি। যা প্রতিষ্ঠিত সত্য।

বিশেষ অনুরোধ : মায়ানমার সরকার তাদের সকল জনগণকে নাগরিকত্ব দিয়ে দেশপ্রেম দেখাবেন। আপনারা নিজ দেশে অন্য ধর্মালম্বীদের সকল কাজে সমান সুযোগ নিশ্চিত করবেন। নিজেদের ভিতরের সমস্যা নিজেরাই মানবিক পদ্ধতিতে সমাধান করবেন, এইটাই কাম্য। বাংলাদেশ ঘনবসতিতম দেশের একটি। বোঝাই নৌকায় ডিমের ভার নেয়'না। আমাদের এই চোট্ট দেশটিতে আমাদেরই সংকুলান হয় না তাই হয়তো আমরা পারবো না, আপনাদের বাড়তি এই জনগোষ্ঠিকে ঠাঁই দিতে। হয়তো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতেই পারি আপনাদের জন্যে। আপনাদের জন্য হৃদয় হাহাকার করে ওঠে কিন্তু অক্ষমতার কারণে নিরুপায় আরমা। তাই বলবো- আমার জলেই টলমল করে আঁখি / তোমার চোখের অশ্রু কোথায় রাখি

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×