গতকালকে একটি পোষ্টে পড়লাম ব্যাটারি চালিত রিক্সার বিরোদ্ধে অভিযান চালিয়ে কিছু রিক্সা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, কিন্তু কেনো? আমার বিশ্বাস ছিলো, রিক্সাওলারা যে ভুল করেছে তাতে করে; তাদের রিক্সা থেকে ব্যাটারি খুলে নিয়ে গেলেই শাস্তিটা যথাযথ হতো। খেয়াল রাখতে হবে, ক্ষমতা পেলে তা সঠিক ভাবে প্রয়োগ করা কিন্তু একজন বিচারকের প্রথম কাজ। সাথে সাথে খেয়াল রাখা জরুরী যে, আপনি যে শাস্তি উক্ত ব্যক্তিকে দিচ্ছেন সে অনুযায়ী সে ব্যক্তি উক্ত শাস্তি পাওয়ার যোগ্য অপরাধ করেছেন কিনা? মনে রাখবেন, মজলুমের চোখের পানি কখনো সৃষ্টিকর্তার আরশ এড়ায় না।
আমি এরকম অনেক কর্তা/অধিকর্তাদের খুব কাছ থেকে দেখেছি, যারা ক্ষমতায় থেকে কারো উপকার করতে পারেন নি, ক্ষতি করা ছাড়া বরং ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর বলেছেন এটা আপনারা পান, ঐটা আপনাদের ছিলো কিন্তু ওমুকের হুমুকের চাপে পড়ে করতে পারিনি। অথচ ওনাদের হাত ধরেই কিন্তু সকল অপকর্মগুলো ঘটেছে একের পর এক! কথায় বলেনা- অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে উভয় সমান অপরাধী। তাই আজকের লিখার মাধ্যমে উক্ত কর্তৃপক্ষের কাজের প্রতি ঘৃণা এবং রাগ জানাচ্ছি। কর্তাব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলবো, দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হউন। আইন যেহেতু সবার জন্য সমান সেহেতু কারো রক্ত চঙ্গুর ভয় না করে নিজ সৃষ্টিকর্তার প্রতি আপনাদের কর্তব্যের শপথ মনে করে হলেও সৎ কাজগুলো করেন। তা না করতে পারলে, নিজেদের সেই অপারগতার দিকে নজর দিয়ে হলেও গরীব-দুঃখী মানুষের রিজিকে হাত দেয়া বন্ধ করে দেন।
নিশ্চয় আপনার ক্ষমতার হিসেব আপনার কাছ থেকেই গ্রহণ করা হবে। সে দিনের কথা মনে করে হলেও একটি ভালো কাজ করুন যা আপনাকে সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র বানিয়ে দেবে এবং পরকালে রয়েছে সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে সম্মানজনক উপহার ‘জান্নাত’।
বিস্তারিত পড়ুন উক্ত খবরে : তোমাদের দোষ ক্ষমার অযোগ্য, কেন এই কান্না?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১২