আমার আগের পোষ্টে জনাব ‘‘বিচার মানি তাল গাছ আমার’’ বলেছিলেন: ঢাকার মেয়র আনিসুল হকের সেই আশার বানীগুলো কই? ৪০০০ বাস নামবে। সব কোম্পানীকে ৫ টি কোম্পানীতে নিয়ে আসা হবে। ফলে যাত্রীর জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াবে না কোন বাস। ঢাকার বাস সার্ভিস নিয়ে আলাদা ভাবে সরকারকে ভাবতেই হবে। প্রয়োজন হলে কঠোর হতে হবে। সরকারের ভয় কিসের? খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের করতে পেরেছে অথচ বাস মালিকদের বিরুদ্ধে যেতে পারছে না?
আমি জনাব ‘‘বিচার মানি তাল গাছ আমার’’ এর উদ্দেশ্যে বলেছিলাম: হয়তো হারিয়ে যাওয়ার পথে...! কারণ এই দেশে ভালো কাজের প্রতি নৈতিকতার স্থান কখনোই দেয়া হয়নি সেই ১৯৭১ সালের পর থেকেই। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ স্বাধীন করে চোরের খনির কথা প্রকাশ্যেই বলে গেছেন তখন সেই দেশে বসবাস করে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আশার বাণীর পরিপূর্ণতা উপভোগ করার কোনো সুযোগ আছে বলে মনেও করি না।
সত্যিকারর্থেঃ-
এই দেশের মানুষকে যখন কেউ ভালো কিছু দিতে চেয়েছিলেন তখনই তিনি আর দেশীয় রাজনীতির অংশীদার থাকতে পারেন নি! এটা নতুন কিছু নয়....। বিগত বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে হয়ে আসছে। আমাদের সময় দেখলাম জনাব সোহেল তাজ কে। যখনই তিনি সকল ভালোর মধ্যে মন্দদের কে খুঁজতে লাগলেন তখনই তাঁকে আমাদের দেশীয় রাজনীতির অংশ থেকে সরিয়ে দেয়া হলো!
হালে যা হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব আনিসুল হক সাহেবের সাথে। যদিও তিনি অসুস্থ ছিলেন তবুও তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বলা হয় তাঁকেও রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের কবলে পড়ে দেশীয় রাজনীতি থেকে সরে যেতে হয়েছিলো। যা তাকে দুনিয়া থেকেও বিদায় জানাতে যথেষ্ট ছিলো।
এখন আর কি! সত্যি যদি কেউ মেয়র জনাব আনিসুল হক সাহেবের সকল কাজের সাথে দ্বিমত পোষণ করেও থাকেন তবে তারা হয়তো হাফ ছেড়ে এক বুক দম নিয়ে আবার সেই অপরাজনীতি করতে শুরু করবেন। আর তার জন্য প্রয়াতরাই হয়তো মুসকি হেসে এদেরকে ধিক্কার দিবে। যা তারা বেঁচে থাকতে করতে পারেন নি।
মহান আল্লাহ সকল প্রয়াতদের মাগফিরাত দান করুন বিনা শর্তে। এমনটাই প্রত্যাশা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬