somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ কিন্তু কাজের ধরণ এবং শাসন ব্যবস্থা একই রয়ে গেলো!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সমাজে সমাজপতিদের সামনে প্রতিনিয়তই ঘটে যাচ্ছে এই রকম শত শত জগণ্য ঘটনা। কিন্তু প্রতিকার কি খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে...?! এর দায় কার....???

-ব্লেড দিয়ে যখন আমার যৌনিপথ বড় করা হচ্ছিলো তখন আমি আচ্ছা করে ৭১ এর শহীদদের গালি দিচ্ছিলাম। -চার বছরের ধর্ষিতা মেয়েটি!!

-আমি ধর্ষিতা হওয়ার পর থানায় মামলা করতে গেছিলো আমার বাবা সাথে আমিও গেছিলাম। আমাদের থানা থেকে বলা হলো "ওরা অনেক ক্ষমতাশালী, আমি মামলা নিলে জান নিয়ে রাতে বউয়ের কাছে ফিরতে পারবো কিনা জানিনা"। কথাটি শুনার পর যারা বলতো "আইন সবার জন্য সমান" তাদের গালে থুথু দিতে ইচ্ছে করেছিলো। -ধর্ষিতা মরিয়ম।

-আমি ধর্ষিতা হওয়ার পর গ্রামে বিচার বসলো। চেয়ারম্যান চাচা ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলো। কি শাস্তি জানেন? ১০ বার কান ধরে উঠবস । -ধর্ষিতা রাহী!!

-ধর্ষনের বিচার না পেয়ে যখন আমি আর আমার বাবা ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেছিলাম তখন নামকরা দৈনিক পত্রিকার প্রথম পাতায় বড়বড় অক্ষরে খবর চাপানো হয়েছিলো "ধর্ষনের বিচার না পেয়ে বাপ ও মেয়ের আত্মহত্যা"। আমাদের দেশে বড়বড় অক্ষরে ধর্ষনের খবর পত্রিকায় চাপানো হয়, আর বড়বড় কর্তাদের খবরদারিতে ধর্ষকরা ছাড়া পেয়ে যায়। -ধর্ষিতা সালেহা!!!

-ধর্ষনের পর হত্যা করে আমাকে দেশের সবচেয়ে সেফটি জায়গা ক্যান্টনমেন্ট ফেলে রাখা হয়। আমি সারাবিশ্বে আলোচিত হই। আমাকে ধর্ষনের প্রতিবাদে বাংলার প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। শুনেছি মামলা উঠিয়ে নিলে আমার বাবাকে কয়েক হাজার টাকা আর কিছু জমি দেওয়া হবে বলে অফার করা হয়েছিলো । আইন কিন্তু সবার জন্য সমান। -আমি তনু বলছি। নামটা চেনা চেনা লাগছেনা?

-বিউটি!! প্রথমবার ধর্ষনের পর বিচার চাইতে গিয়ে অসহনীয় লাঞ্ছনার স্বীকার হয় তার পরিবার। গত কয়েকদিন আগে আবার নিঁখোজ হয়। নিখোঁজের কয়েকদিন পর তাকে পাওয়া যায় সবুজ ঘাসের উপর। গায়ের জামা-কাপড়ের রং লাল ছিলো। ধর্ষকের আঘাতে বের হওয়া রক্তও লাল। লালে লাল হয় বাংলার জমিন আর নিচে সবুজ ঘাস। কি বাংলাদেশের পতাকা হলোনা?! তাহলে চলুন একসাথে সবাই বলি "শুভ জন্মদিন লাল সবুজ ধর্ষিতা বিউটির বিউটিফুল বাংলাদেশ"!!!

আচ্ছা কেউ কি পারবেন জানা-অজানা এত্তগুলো নামের আগে ধর্ষিতা শব্দটা চিরতরে মুছে দিতে???
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×