এটাও আওয়ামীলীগের স্ব-ইচ্ছায় তৈরি করা বিকৃত তথ্য মাত্র। কারণ ইতিহাস বিকৃত করার অভ্যাস কিন্তু ওরা ছাড়া আর কেউ করেনা। যেমনটা গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিত বিষয়ক মামলার তথ্য দিতে গিয়ে নানক সাহেব বিএনপি’র উপর দোষ চাপিয়ে দিলেন। অথচ এই মামলা উনাদের শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব সুরুজ সাহেব করেছিলেন! এর আগে বিডিআর ঘটনায়ও দেখেছি এবং আজো দেখছি!
পুলিশ কর্তৃক সেনা অফিসারকে নির্যাতনের ঘটনাটা যেখানে ঘটেছে সেখানের অধীনে থাকা ক্যান্টনমেন্ট এর বিহিত করলোনা করলো অন্য ক্যান্টনমেন্টের জিওসি! আমাদের আইজি সাহেব ১৯ তম ডিভিশনের জিওসিকে ফোন না করে তিনি নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি কে ফোন করলেন কেনো? কারণ তিনি আওয়ামীলীগের ঘনিষ্টজন বলে প্রচার আছে। এটা করে কি সামরিক বাহিনীর মাঝে প্রকাশ্যে বিবেদ তৈরি করেননি সম্মানিত আইজি সাহেব ও জিওসি? পুলিশি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়ার কি মানে ছিলো? বিডিআর ঘটনায়ও ঠিক সেই রকম হয়েছে। এসব খারাপ ইন্ধন কিন্তু একদিনে গড়ে উঠেনি! আস্তে আস্তে আমাদের সামরিক বাহিনীকে একটি নামে মাত্র বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে একটি মহল দূরভিসন্ধিমূলক কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়তই। যা আগে পরের এসব ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে সহজেই বুঝতে পারা যায়।
একটি বাহিনীর মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে সরকারী দলের কর্তব্যক্তিরা যেনো পুর্বাপর বিএনপিকে দোষারোপ না করেন বরং সেক্ষেত্রে নিজেরাই সংশোধন হয়ে গেলে এই জাতি বেঁচে যাবে বলে মনে করি। এবং পৃথিবীতে বীরের জাতি হিসেবে সম্মানের সাথে টিকে থাকবে বলেও মনে করি। অন্যথায় দলের এবং দলের অনুসারীদের চরম খেসারত দিতে হতে পারে। যা ইতিপূর্বে ১/১১ এর মহাজগ্গ প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কর্তাব্যক্তিরা উপলদ্ধি করেছেন। মাইনাস টু ফর্মুলাও তৈরি করা হয়েছিলো। অতএব, পুণরায় এই রকম কিছু ঘটলে সেই অসুস্থ পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পাওয়া কারো জন্য খুব সহজ হবে না। কথায় তো বলে- একে দোষ করে দশে কষ্ট পায়! তাই আগে নিজে সংশোধন হওয়া খুবই জরুরী।
বিস্তারিত পড়ুনঃ
আগের দেয়া তথ্যঃ পুলিশের হাতে বেদম পিটুনি খেলেন সেনাবাহিনীর মেজর!
পরবর্তী তথ্যঃ সেনাবাহিনীকে উসকে দিয়ে ভয়ংকর ষড়যন্ত্র সৃষ্টির পায়তারা করছে বিএনপি!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩