somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অতি কথনে চিড়া ভিজেনা মাননীয়া বাকপটু নেত্রী!

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী = ৩০,০০০ কিংবা বেশি।
মোট শিক্ষক/শিক্ষিকা = ২১০০ কিংবা বেশি।
প্রশাসনিক স্টাফ = ৩৫০০ কিংবা বেশি।
----------- ধরে নিলাম ৩৬০০০ জন প্রায় -----------

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মোট সাচিবিক অনুবিভাগ = ৫৮ জন।
ব্যক্তিগত অনুবিভাগ = ২১ জন।
প্রেস অনুবিভাগ = ১২ জন।
উপদেষ্টা/বিশেষ সহকারী = ২২ জন।
অন্যান্য = ৭ জন।
------------------- সর্বমোট ১২০ জন -----------------

** ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের মোট বাজেট (পরিচালন+উন্নয়ন) ৬৬৫ কোটি (প্রায়) টাকা।
জনসংখ্যা = (ছাত্রছাত্রী + কর্মকর্তা + কর্মচারী + অন্যান্য = ৩৬০০০ হাজার প্রায়)।

** প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মোট বাজেট ৫৮৫ কোটি টাকা!
জনসংখ্যা = (প্রধানমন্ত্রী + কর্মকর্তা + কর্মচারী + অন্যান্য = ১২০ জন)। (পিএমও.গভ.বিডি ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী)।

এই হিসেব থেকে বিশ্লেষণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিই বলুন ৩৬০০০ লোকের পিছনে আপনি ব্যায় করেন মাত্র ৬৬৫ কোটি টাকা বছরে। এটা যেমন এই দেশের জনগণের টাকা তেমনি আপনার কার্যালয়ের ১২০ জন লোকের পিছনে প্রতি বছর খরচ হয় ৫৮৫ কোটি বাংলা টাকা! এই টাকার মালিক ও কিন্তু এই দেশের জনগণ!! যদিও আপনার কার্যালয়ের পিছনে আরো ৪ হাজার ২ শত ১৮ কোটি টাকা উন্নয়ন ব্যায় বাবদ ধার্য করা আছে! সেটি কিন্তু গোপালগঞ্জের টাকা না, এটা ও মনে রাখতে হবে!!!

এখন আপনিই বলুন, কিসের উপর ভিত্তি করে আপনি মহান সংসদে দাঁড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তাদের জন্য বরাদ্দের ১৫-৩৮ টাকার বিষয়ে বিষোধগার করতে পারলেন?! যেখানে আপনার কার্যালয়ের নামে মাত্র ১২০ জনের জন্য বরাদ্দ ৫৮৫ কোটি টাকা!!!

আসলে আপনি একজন ভুলো মনের মানুষ! যার কোনো প্রতিশ্রুতির প্রতি আপনার খেয়াল থাকে না! যে কারণে নিজ কার্যালয়ের হিসেবটুকুর কথা বেমালুম ভুলে যান! আর অন্যর পিছনে কঞ্চিযুক্ত বাঁশ ঢুকানো যায় কিভাবে সেই ধান্দায় রত থাকেন! যে জন্যে ছাত্রছাত্রীরা বরাদ্দের ঐ সামান্য টাকায় কি এমন খায় আর কেমন সুবিধা পায়, সেটা ও আপনার সহ্য সীমা অতিক্রম করে গেছে। অথচ এসব টাকার মালিক কিন্তু দেশের সাধারণ জনগণ। আপনি সেটাও ভুলে গেছেন!

তবুও আপনাকে অনুরোধ থাকবে যেহেতু এই টাকার আমানতদার হিসেবে আপনাকেই দেয়া হয়েছে সেহেতু এই টাকা থেকে দেশের সাধারণ মানুষ যাতে করে প্রতিকার পেতে পারে কিংবা উপকার পেতে পারে সেজন্য সবার প্রতি সমান নীতি ও টাকার সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব। যদি আপনার কোনো কৌতূহল থাকে যে, ছাত্রছাত্রীরা অনেক পাচ্ছে এবং অনেক খাচ্ছে তাহলে দয়া করে একদিন হলে গিয়ে সরেজমিনে সঠিকটা দেখে আসবেন।

আসলে ছাত্রছাত্রীরা হলগুলোতে কিভাবে থাকে?! প্রতিদিন কেমন খাবার খায়?! কোন পরিবেশে তারা পড়াশুনা করে?! ইত্যাদিকার। আর আপনার সাথে মিলিয়ে নিবেন, আপনি কেমন পরিবেশে থাকেন?! প্রতিদিন কেমন খাবার খান?! কেমন রাস্তায় চলাফেরা করেন?! কেমন গাড়ী ব্যবহার করেন?! আপনার প্রতিদিনকার রুটিন ইত্যাদিকার। তারপর না হয় সংসদে দাঁড়িয়ে দম্ভ ভরে বয়ান দিবেন। একটি সুন্দর ও জ্ঞানী জাতি গঠনের জন্য আপনার অবদান কি? যেমনটা সংসদে দাঁড়িয়ে আপনি বলেছেন, এই জাতি মোবাইল ফোন পেয়েছে আপনার অবদানে!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×