somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুরতে গেছিলুম ইউরোপ- ১০

২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ল্যুভ মিউজিয়াম দেখে মুগ্ধ হয়ে রাতে ঘুমুতে পারিনি। ছবিগুলো নাড়াচাড়া করলুম। ভোরের দিকে একটু ঘুমালুম। সেদিনই যাবার কথা আইফেল টাওয়ার দেখতে যাবার তবে ক্লান্ত থাকায় আর গেলুমনা, হোটেলেই বিশ্রাম নিলুম। পরদিন সকালে ট্রনে চেপে আইফেল টাওয়ার।পানথা স্টেশন থেকে আধ ঘন্টার পথ। হপ্তার টিকিট কাটা ছিল, তাই কম পয়সাতে যাওয়া যায়। অনেকে ভাবতে পারেন ইউরোপে এসে খালি খরচের কথা কেন বলছি! আসলে আমার মত অনেকে আছে যারা ভ্রমনপিয়াসী কিন্তু ট্যাঁকে অত জোর নেই তাদের অনেক হিসেব করে ঘুরতে হয় কিনা তাই আর কি। হপ্তার টিকিট বা মাসিক টিকিটের খবর না জানলে বা ব্যবহার না করলে প্রতি ট্রিপে ৫- ৬ ইউরো খরচ করা বেশ কঠিন হতে পারে। আরেকটা কথা বলতেই হয় আমাদের দেশে পাবলিক পরিবহন একটা অদৃশ্য বস্তু যা পর্যটকরা দেখেনইনা আসলে দেখা্ই যায় না। এদেশে বাসে চড়া অসম্ভব, ট্যাক্সি কাকে বলে জানা দেখা পাওয়া মানে আকাশের চাঁদ পাওয়া, সিএনজি এক অদ্ভুত বাহন কোন নিয়ম টিয়ম নেই! মন্ত্রীরা পর্যটন নিয়ে লাখো টাকা খরচ করে শো আর মেলা করে লোক দেখানো বক্তৃতা করে, আসলে পর্যটনের প্রতি কারো কোন মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। যাক গে ধান ভানতে শিবের গীত হয়ে গেল মনে হয়!
প্রথমেই চোখে পড়ল আইফেল টাওয়ারের পাশেই নদী।



নদী দিয়ে ভেসে চলেছে সুন্দর ট্যুরিস্ট বোট, ঘন্টাখানেকের জার্ণী। সাথের বন্ধুটি বলল আগে বোটে চড়ি তারপর আইফেল টাওয়ার দেখা। লাইন ধরে বোটে টিকিট কেটে উঠলুম। তেমন আহামরি কিছুনা। তবু প্যারিসের অভিজ্ঞতা আর কি। তবে বোটে চড়তে ভাড়াটা বেশ মোটা অংকের টাকা লাগল, বিরাট লম্বা লাইন তো ছিলই।

আইফেল টাওয়ারের নাম করা হয়েছির এটার ডিজানার আর নির্মাতা গুস্তাভ আইফেল এর নামে।
১৮৮৯ সালে ৩২৪ মিটার বা ১০৬৩ ফুট উঁচু এই টাওয়ারটি বানানো হয়। এটাই দুনিয়াতে সবচাইতে বেশি দর্শকের দেখা টাওয়ার। শুধু ২০১৫ সালেই প্রায় ৬৯,০০,০০০ দর্শক এটাতে চড়েছেন।
বানাবার পর প্রায় ৪১ বছর এটা পৃথিবীর সবচাইতে উঁচু মনুষ্য নির্মিত স্হাপনা ছিল। আজও এটা ফ্রান্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্হাপনা। দর্শকদের জন্য তিনটা লেভেল আছে উঠবার। সিড়ি দিয়ে বা লিফট দিয়ে ওঠা যায়। তবে উঠতে পয়সা লাগে, জনপ্রতি কয়েক হাজার টাকা। ভাবলুম সবাই উঠছে আমিও উঠি। লিফটে উঠলুম আর নামলুম হেঁটে। ভালই লাগল। অনেকে উঁচুতে ইস্পাতের গায়ে হেলান দিয়ে প‌্যারিস দেখছে, ভাল লাগে।



ওখানে প্রচুর খাবারের দোকান আছে, নাস্তা কফি খেতে পারেন, আবার ঘুরতে পারেন। স্যুভেনিয়ার কিনতে পারেন, দাম সস্তাই। সোয়া'শ বছর হয়ে গেছে আজও আইফেল টাওয়ার দাড়িয়ে আছে সগর্বে। ওরকম একখান টাওয়ার বাংলাদেশে বানানোই সম্ভব না আর যদি বানায় তো বছর খানেকের মধ্যেই.....তদন্ত কমিটি।

সন্ধ্যের মধ্যে ঘোরা ফেরা শেষ, মনে করলুম হোটেলে ফেরৎ যাব তখন বন্ধুটি বলল রাতের আইফেল টাওয়ার এক অপুর্ব দর্শনীয় জিনিস! ভাবলুম ঠিক আছে দেখি। ওমা সন্ধ্যে হতেই আইফেল টাওয়ারের গায়ে চমৎকার সব আলো জ্বলে উঠল। চারিদিক অপুর্ব আলোয় ভরে গেল। আবার ছবি তোলা। আলোকিত আইফেল টাওয়ার দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেল।
ট্রেনে চেপে হোটেলে ফিরলুম তখন বেশ রাত।
পরদিন প‌্যারিসের বানিজ্যিক এলাকেগুলোতে ঘোরা ফেরা করে হোটেলে ফিরলুম। মালপত্র গুছিয়ে গেলুম কাছের এক জর্ডানী হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে। খেয়ে দেয়ে দুপুরের ট্রেনে চেপে লুজান, সুইজারল্যান্ড।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:২১
২৬টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×