ট্রিবিউট পোস্টঃ “জিম ক্যারি” (প্রথম পর্ব)
ট্রিবিউট পোস্টঃ “জিম ক্যারি” (দ্বিতীয় পর্ব)!!
✸Eternal Sunshine of the Spotless Mind (2004) । ইটার্নাল সানসাইন অব দ্য স্পটলেস মাইন্ড (২০০৪)
জনরাঃ রোমান্স । সাই-ফাই । ড্রামা
আইএমডিবি রেটিংঃ ৮.৬/১০
কাস্টঃ জিম ক্যারি, কেট উইন্সলেট, কিয়ের্স্টেন ডান্স্ট, মার্ক রাফেলো
পরিচালকঃ মিশেল গন্ড্রে
জিম ক্যারির কমিক চরিত্রের অসাধারণ দক্ষতা ও অভিনয় সম্পর্কে কারো সন্দেহ থাকার কথা নয়। কমেডি জনরার জীবন্ত উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। কিন্তু এই সিনেমায় আমরা খোঁজে পাব অন্য এক জিম ক্যারিকে। নিজের চিরচারিত ইমেজ ভেঙে জিম ক্যারিকে সম্পূর্ণ নতুন রুপে দেখা যাবে এই সিনেমায়।
মুভি প্লটঃ
জোয়েল বেরিশ (জিম ক্যারি), চঞ্চল তরুণী ক্লেমেন্টাইন (কেট উইন্সলেট) এর প্রেমে পরে যায়। তাদের সম্পর্ক চলতে থাকে কিন্তু একটা সময় তাদের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যার কারনে ঝগড়া-মন মালিন্য হতে থাকে এবং তাদের প্রায় ২ বছরের সম্পর্কে ব্রেক-আপ হয়ে যায়। ব্রেক-আপের পর ক্লেমেন্টাইন এক হসপিটালে ( Lacuna Inc.) তাদের সম্পর্কের সময়টা/স্মৃতিগুলো ব্রেন থেকে মুছে ফেলে। এটা জানতে পেরে জোয়েলও রাগে ক্ষোভে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার চিন্তাভাবনা করে কিন্তু এই মেমোরি ইরেজের প্রসিডিউর করতে গিয়ে ধীরে ধীরে সে সম্পর্কের দিন গুলোতে ফিরে যেতে থাকে। আর ধীরে ধীরে সে বুঝতে পারে কতোটা ভাল সময় পার করেছে দুজন একসাথে,বোঝতে থাকে ক্লেমেন্টাইন কতোটা ভালবাসে সে। তারপর সিনেমার গল্প তার নিজস্ব ঢঙ্গে চলতে থাকে।
সিনেমার কনসেপ্ট অনেক ইউনিক ও দারুন। সিনেমাটি অস্কারে বেস্ট স্ক্রিনপ্লে এর জন্য পুরষ্কার পেয়েছে। ন্যারেটিভ স্টাইলের জন্য সিনেমার শুরুতে কাহিনী একটু খাপছাড়া মনে হলেও ধীরে ধীরে প্লট স্পষ্ট হবে। অভিনয়ের কথা বললে, জিম ক্যারির বেস্ট পার্ফমেন্স গুলোর মধ্যে একটি। তার এক্সপ্রেশন, চোখের অভিব্যাক্তি দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায় ভিতরের লালিত কষ্ট অথবা প্রিয়তমাকে হারানোর বেদনা ও ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।
আর কেট উইন্সলেটের পার্ফমেন্স সবাইকে মুগ্ধ করবে, তার রুপ, ইনোসেন্ট আচরন, পাগলামো এক কথায় অসাধারণ লেগেছে এই সিনেমায়। এই সিনেমায় তার পারফমেন্স এর জন্য অস্কারে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে নমিনেশনও পান। তাছাড়া সিনেমায় অন্যান্যদের অভিনয়ও ভাল লেগেছে।
✸Yes Man (2008) । ইয়েস ম্যান (২০০৮)
জনরাঃ কমেডি । রোমান্স
আইএমডিবি রেটিংঃ ৬.৮/১০
কাস্টঃ জিম ক্যারি, জোয়ি ড্যাশ্চেনেল, ব্রেডলী কোপার।
পরিচালকঃ পেটুন রীড
কার্ল এলেন (জিম ক্যারি), পেশায় ব্যাংক লোন অফিসার। সদ্য ডিভোর্স হওয়ার ফলে তার লাইফে এক ঘেয়ামীতে পরিনত হয়েছে ও সে সর্বদা ডিপ্রেস থাকে এবং তার এক্স-ওয়াইফের প্রতি এক প্রকার অবসেশন কাজ করে।
এমন অবস্থায় সে নিজেকে বিভিন্ন জিনিস থেকে গুঁটিয়ে নেয়,যেমন- ঘুরাফেরা করা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া, কোন ফাংশনে যাওয়া ইত্যাদি।
একদিন এক পরিচিত জনের কাছ থেকে সাজেশন নিয়ে “say Yes to everything” (সবকিছুতে হ্যা বল) নামক সেমিনারে অংশগ্রহণ করে এবং ওয়াদা করে এখন থেকে সবকিছুতে “ইয়েস” বলবে। সেমিনার থেকে ফেরার পথে দেখা হয় এলিসন(জোয়ি ড্যাশ্চেনেল) নামে এক চঞ্চল তরুণীর সাথে। তারপর থেকে তার জীবনের অনেক কিছু পরিবর্তন হতে থাকে।
ব্যাক্তিগত ভাবে রম-কম (রোমান্টিক-কমেডি) জনরার সিনেমা আমার কাছে খুব ভাল লাগে। আর সাথে যদি হয় জিম ক্যারির মত লেজেন্ডারী কমেডিয়ান ও “(500) Days of Summer” খ্যাত জোয়ি ড্যাশ্চেনেল তাহলে আর কি লাগে, একেবারে সোনায় সোহাগা।
দারুন এন্টারটেইনিং মুভি “ইয়েস ম্যান। পরিচালক হিসেবে আছেন “Ant-man” খ্যাত পেটুন রীড।
✸Dumb and Dumber To (2014) । ডাম্ব এন্ড ডাম্বার টু (২০১৪)
জনরাঃ কমেডি
আইএমডিবি রেটিংঃ ৫.৭ /১০
কাস্টঃ জিম ক্যারি, জ্যাফ ড্যানিয়েল
পরিচালকঃ পিটার ফ্যারেলী ও ববি ফ্যারেলী
১৯৯৪ সালের বিখ্যাত রোড-ট্রিপ কমেডি মুভি “ডাম্ব এ্যান্ড ডাম্বার” এর সিকুয়েল “ডাম্ব এন্ড ডাম্বার টু”।
মুভি প্লটঃ
২০ বছর পরেও লয়েড (জিম ক্যারি) ও হ্যারি (জ্যাফ ড্যানিয়েল) বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে আছে। হঠাৎ করে হ্যারি লয়েড কে জানাই যে তার কিডনি নস্ট হয়ে গেছে এবং অতিসত্বর কিডনির ব্যাবস্থা না করলে সে মারা যাবে। কিডনির ডোনার যোগাড় করতে লয়েড ও হ্যারি, হ্যারির মা-বাবার কাছে যায় কিন্তু তাদের কিডনি হ্যারির কোন কাজে লাগবেনা কারন হ্যারি তাদের এডপ্টেড সন্তান।
অন্যদিকে হ্যারি যেহেতু অনেক বছর পর তার বা-বাবার কাছে ফিরে এসেছে ,সে তার পুরনো মেইল গুলো খোঁজে পায় ও সে ২০ বছর আগে তার পুরনো গার্লফ্রেন্ডের একটি চিঠি খোঁজে পায় এবং যেখানে সে জানতে পারে সেই গার্লফ্রেন্ড প্রেগন্যান্ট ছিল। তখন হ্যারি ও লয়েড চিন্তা করে হ্যারির ঐ সন্তান বর্তমানে তাকে কিডনি ডোনেট করতে পারবে এবং শুরু হয় হ্যারির সন্তান কে খোঁজার হিলেরিয়াস অভিযান।
যদি প্রথম সিনেমার সাথে এই সিনেমার কম্পেয়ার করেন তাহলে কিছুটা আশাহত হবেন। প্রথমটার (ডাম্ব এন্ড ডাম্বার ১৯৯৪) ফ্যান হিসেবে যদি এই সিনেমা দেখলে তাহলে অনেক ভাল লাগবে আশাকরি। আগের সিনেমার ফ্যান হিসেবে সেই দুই ষ্টুপিড ফ্রেন্ড এর রিইউনিয়নি যথেষ্ট এই সিনেমা ভাল লাগার জন্য।
আর মজার ব্যাপার হচ্ছে মাঝখানে প্রায় ২০ বছরের গ্যাপ থাকলেও দুজনের জুটি ও লুক অপরিবর্তিত ছিল। মোটকথা ডাম্ব এন্ড ডাম্বার ফ্যানদের জন্য এই সিনেমা এক প্রকার ট্রিট।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৪