somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইথিওপিয়ার মানুষ-জাতি –ভাষা ৮

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ওরোদের আদিম গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামো- গডা (Gadaa- Indigenous Democratic system of Oromo, Ethiopia)
---------------
গডা কাঠামোর স্তর বিন্যাস

১। ইট্টিমাকো/ দা’ইমান ০-৮ (Ittimakoo / Daa’imman 0-8) দাব্বালি (Dabballee) শৈশবকালঃ
ইট্টিমাকো মানে হল ঈশ্বর একজন মানুষ দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। শিশুদের জন্মের সময় তাদের পিতারা গডা ব্যবস্থায় দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেছেন।শৈশবে শিশুরা থাকে অপরিপক্ক, অবুঝ, নিষ্পাপ; এই সময়কালে শিশুদেরকে পবিত্রতার প্রতিক হিসাবে মানা হয়। বোরানা ওরোমোদের (ওরোমোদের একটি শাখা) একে দাব্বালি বলে।এই সময়কাল কে বলা হয়ে থাকে মানুষ আর ঈশ্বরের মধ্যকার প্রতিনিধিত্বশীল সময়।এদের গুণাবলী আর ক্ষমতা হচ্ছে ঐশ্বরিক।শিশুদের নামকরন করার আগে পর্যন্ত কোন প্রকৃত নাম দেয়া হয় না। নামকরণের জন্য একটা প্রথা পালন করা হয়। এই নামকরনের প্রথাকে বলা হয় গোদুরু/ গামি (Guduruu/ Gaamme) এইপ্রথার মাধ্যমেই একটা শিশুরা একটা সামাজিকায়ন প্রক্রিয়ার সমাজে গডা কাঠামোতে প্রবেশ করে। এই সময় তাদের চুলকাঁটা হয়, মাথার চুলে বিশেষ ধরনের সিম্ভল রাখা হয়। মেয়ে শিশুরা সমাজে বিশেষ সুবিধাভোগি।সেখানে তারা আদর যত্ন, রক্ষনাবেক্ষণ সবই পাবে। তাদেরকে নির্যাতন করা যাবে। প্রথাগত আইন শিশুদের রক্ষা করা, তাদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার প্রতি আদেশ দিয়েছে। তাদের প্রতি আবেগ অনুভূতি দেখাতে হবে যাতে তাদের মধ্য একটা সংবেদনশীল দরদি মন তৈরি হয়। এই বয়সে শিশুদের উপর কোন দায় দায়িত্ব নেই। পরিবারে বিশেষ করে মায়েরা তাদের প্রশংসা করবে, গান গাইবে। শিশুরাও তাদের কাছ থেকে গান শেখার তালিম নিবে। রাজনৈতিক কোন কর্মকান্ডে তাদের অংশ নিতে হবে না। গডার ব্যবস্তার পরবর্তি স্তরে প্রবেশের জন্য একটা প্রথাগত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মাথার চুলে ছেঁটে ন্যাড়া কর হয়। শরীরের খারাপ কিছু পরিষ্কার –পরিচ্ছন্ন করে পরবর্তি স্তরের জন্য প্রস্তুত করা হয়।

২। দাব্বালি/ জুনিয়র গামি ৯-১৬ (Dabbalee/ Junior Gammee, 9-16)
শিশুরা এই পর্যায়ে প্রথম ধাপ অতিক্রম করার পর আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। এই আনুষ্ঠানিকতা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কেননা এই স্তরে শিশুদের বাবারা গডা কাঠামোতে তাদের মর্যদাপূর্ণ সময়কালে পদার্পণ করে। বাবাদের এই দলে পদার্পণ করা মানে তারা শাসকদলে পরিণত হওয়া। তার মানে দাড়ায় যারা শাসন করবে তাদের পুত্র সন্তানের পিতা হতে হবে। সেই পুত্র সন্তানকে আবার জুনিয়র গামিতে পরিণত হতে হবে। অন্যদিকে দাব্বালী দলের বাবারা যেমন শাসক দলে প্রবেশ করে; সেই সাথে তাদের দাদারা গডা শাসকদল থেকে অবসরে যায়। যে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে দাব্বালিতে পদার্পণ করে তাকে মাকবাসা প্রথা(Maqbaasa ) বলে। এখানে তাদের ব্যক্তিগত এবং দলগত নামকরণ করা হয়। এই পর্বে তাদের সামাজিকায়নের যাত্রারম্ভ। এখানে তাদেরকে সমাজ, সংস্কৃতির প্রথা, রীতি-রেওয়াজকে শিখানো হয়। একই সাথে সামরিক প্রশিক্ষণের প্রাথমিক পর্বের সূচনা আরম্ভ।

একই বয়সের নারী- পুরুষের বয়স কে বলা হয় সুক্কি (Sookkee)। শিশুদের বয়ঃসন্ধিকালের সূচনা হল বলে ধরা হয়। এই বয়সে তারা গণনা শেখা, সাদৃশ্য তৈরি করা, বংশ পরিচয় সম্পর্কে শিক্ষার্জন করা। মা কিংবা বাবার উভয়ের বংশ পরিচয়কে শিক্ষা দেয়া হয়। সমাজের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার রীতিই এই পর্বের নানা কার্যক্রম। ওরোমোদের লোককথা, পুরাণিক কাহিনী, নানা গল্প,সাংস্কৃতিক গান শেখানো হ্য়। এই স্তরের শিক্ষার উদ্দেশ্য হল, শিশুদের মানসিক স্তরের বিকাশ সাধন। সামাজিক মূল্যবোধ, মানুষকে সন্মান করা, শ্রদ্ধাকরা, মানবজাতির মর্যাদা, গোত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা, ন্যায়নিষ্ঠা, দেশপ্রেম কিংবা পিতৃভূমির প্রতি ভালবাসা, পরিবারের পরিচিতিকে শেখানোর উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। এই স্তরের শিক্ষা কার্যক্রমের একটা মজার পদ্ধতি আছে। এই পদ্ধতি নাম হল গিরাসা ও ফারসা (Geerasa and Faarsa )। অর্থাৎ স্তুতি, বন্দনাগীতি বা দেশাত্মকমূলক সংগীত। সমাজের বয়স্করা এই দায়িত্বপালন করে। সামাজিক শিক্ষন পদ্ধতি অংশ হিসাবে বন্ধনামূলক গানের তালে তালে, কয়েক প্রজন্মের ইতিহাসকে উন্মোচন করা হয়। বংশলতিকা তোলে আনা হয়। নতুন প্রজন্মের কাছে তাদের ইতিহাস, গৌরব, অহংকার কে জানানো হয়, শেখানো হয়। মজার ব্যাপার হল শিশুরা এই গানের তালে তালে নিজেরা চর্চা করে তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য, পরবর্তিকালে তারা বড় হয়ে নতুনদের কাছে একই পদ্ধতিতে চালিয়ে যায় শিক্ষাকার্যক্রম। লিখিত ফর্ম নাহয়েও ওরোমোদের ইতিহাস জীবন্ত ছিল। এই প্রথাগত সামাজিক শিক্ষা কার্যক্রম এক বিশাল জ্ঞানভান্ডার হিসাবে কাজ করেছে। অন্যদিকে এই বয়সের শিশুদের কে ওরোমোরা তাদের ইতিহাস কে যেমন শিক্ষা দিয়েছে, তেমনি তাদের খরার কবলে ফসলহানির ঘটনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, রোগব্যাধির কথাও জানানো হত। অধিকন্তু তাদের কে যুদ্ধের কথা জানিয়ে দেশপ্রেমে উজ্জ্বিবিত করা হত। সমসাময়িক ইতিহাসে এই ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম ছিল বিরল। এইজন্য ওরোমোদের এই পদ্ধতিকে বলা হয়, আদিম জ্ঞান ভাণ্ডার। বংশানুক্রমের এই জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়া হয়ছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।
এই স্তরের পুরুষ শিশুদের উপর ছিল একধরনের দায়িত্ব আর নারী শিশুদের উপর ছিল আলাদা দায়িত্ব। ছেলেরা যেহেতু রাজ্য শাসনে অংশ নিবে। তাদের শিক্ষার জন্য ছিল পরিবার, গোত্র, দেশের মূল্যবোধ। আর সম্পদ ভাগাভাগির করার কৌশল, উদ্দেশ্যকে শেখানো হত। ধাঁধা শিখানো সাহয্যে শিখানো হত গঠনমূলক,সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ, মানসিক চেতনা উন্নতি করাই ছিল মূল কাজ। এই ক্ষেত্রে রাজনীতির সংশ্রব ছিল না।

3। ফলী / সিনিয়র গামী, ১৭-২৪ বছর ( Foolee/ Senior Gaammee, 17-24 )
ফলী শব্দটি এসেছ ফুলাচু থেকে, মানে হল কিশোর কিশোরীর আনন্দ উচ্ছ্বাস। এই বয়স কাঠামো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই বয়সে কিশোর দল পারিবারিক দায়িত্ব নেয়ার জন্য তৈরি হয়। সেই সাথে সামরিক প্রশিক্ষণ এসে যুক্ত হয় শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে। নানা আনন্দ উত্তেজনা, শামরিক প্রশিক্ষণের মত কঠোর অনুশীলনে মানিয়ে নিতে হয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে জমি চাষাবাদ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষণ, সম্পদের ব্যবহারকে জানার সুযোগ তৈরি হয়। সমাজের প্রচলিত আইন, কানুন, পারিবারিক সংস্কৃতিকে রপ্ত করা সবচেয়ে উত্তম সময় এই বয়স। চপলমতি কিশোরদের কে কাজে উৎসাহ দান করা হয়। ভবিষ্যতের জন্য সম্পদকে জমানোকে উৎসাহ প্রদান করা হয়। এই জন্য তাদের প্রশংসামূলক বন্দনাগীতিতে কাজের গুণগতমান, আত্মনির্ভরশীলটা অত্যন্ত উচুতে জায়গা দেয়া হয়। সামাজিক জীবনে দারিদ্রতা যাতে গ্রাস না করে তার জন্য এই শিক্ষা। তাদের কাছে সমাজের রীতি নীতি, আইন কানুন, প্রচলিত প্রথা, অভ্যাসকে মানার প্রত্যাশা করা হয়। তারা সামরিক প্রশিক্ষনের পর দেশের প্রয়োজনে সামরিক সেবা দিয়ে থাকে। সামরিক সেবা প্রদানের বিষয়টি দেখাশোনা করার জন্য একজন যুদ্ধমন্ত্রি নিয়োগ দেয়া হত; গডা কাঠামোতে যুদ্ধমন্ত্রির ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাকে আবা ডুলা (Duulaa)। ফলিদের কে যুদ্ধ লড়ার জন্য গুণগতভাবে উন্নত প্রশিক্ষণ নিতে হত।

শারিরিকভাবে পঙ্গু নাহলে তাকে অবশ্যই যুদ্ধ প্রশিক্ষণ আর শিকারের জন্য প্রশিক্ষণ ছিল বাধ্যতামূলক। ওরোমোদের সামরিক প্রশিক্ষণের অংশ হিসাবে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা, ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করা ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ঘোড় চওয়াড়ি বাহিনীর বা অশ্বারোহী প্রশিক্ষণ এই বয়সেই দেয়া হত। অশ্বারোহী বাহিনীর অনেক মর্যদা দেয়া হত। অশ্বারোহী বাহিনীর সৈনিকেরা, যুদ্ধের ঘোড়া ব্যবহার করত, বর্শা নিক্ষেপ করত,প্রতিরক্ষা শিল্ড ব্যবহার করে নিজের এবং দলের রক্ষক হিসাবে কাজ করত। শারিরীক কসরত করে শরীর গঠনের কাজ করত; আর নিজেরা গেরিলা কায়দায় যুদ্ধ করে দক্ষতার উন্নতি করে নিত। এইভাবে প্রথম তিন বছর প্রশিক্ষন শেষ করলে তাদের কে দুরবর্তি এলাকায় হাতে কলমে শিক্ষা দেয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হত। সেখানে তারা শিকার করে দক্ষতার পরিচয় দিতে হত। তাদের শিক্ষার সফলতা এই যে এখানে ব্যার্থতার কোন সুযোগ নেই। অন্যদিকে এদের মধ্য থেকে এলিট যোদ্ধা নির্বাচন করা হত। যারা নানাদিকে একই সাথে দক্ষতা অর্জন করত। যেমন অশ্বারোহি, বর্শা নিক্ষেপ, গেরিলা কিংবা সামনা সামনি যুদ্ধ কৌশলে পারদর্শি হত। এলিট যোদ্ধাদের কে বলা হত, বাটটু (Buttuu)। তাদের প্রশিক্ষণ শেষে গডা নেতাদের সামনে যুদ্ধের মহড়া দিতে হত। পরিশেষে তাদেরকে পরবর্তি ধাপের জন্য নির্বাচন করা হত।

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×