৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস!! হ্যা ঠিকই দেখছেন, এটা ল্যাব পরীক্ষা করার জন্য কোন যৌগের গলনাঙ্ক বা স্ফুটনাঙ্ক নয়, বা নয় কোন প্রশমন Test এর জন্য ব্যবহৃত রুম Temparature । ইহা ঢাকার আজকের পরিমাপকৃত সর্বোচ্চ তাপমাত্র যা গত ৫৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ।
পার্লার সুন্দরী গার্লফেন্ড থাকা ছেলেটার জন্য শব্দটা যেন এক মহা আতঙ্কের নাম । আজকে তার শত প্রচেষ্টা আর শত চাইনিজ, আইসক্রিম আর K.F.C তে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনও তার প্রাণপিয়াকে বাইরে আসতে বাধ্য করতে পারছে না । Aftr All মাত্রাতিরিক্ত গামা রশ্মি শোষণ করে তার চেহারা আর শরীরের ক্ষতি করার মত বোকামী আর যেই করুক সে করতে পারে না । ছেলেটা তাই এখন তার জন্য রোদ থেকে বাচানোর প্রশাধনী খুজতে ব্যস্ত |
আর তার মাঝে ঢাকাতে Industry গুলার পোড়াপুড়ি তো লেগেই আছে । তাপমাত্রা টা তাই আজ সৌদিকে ফলো না করে পারছেই না ।দেশটাকে যারা সৌদি বানানোর স্বপ্ন দেখেন তারা একটু আনন্দিত হতেও পারেন ।
আমি একটা কাকতালীয়তা খুঁজে পাচ্ছি এর মাঝে । আজকে রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১ বর্ষপূতি । পূর্তি শব্দটা লিখতে হাত কাঁপছে অকারনেই । আর আজকেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পরিমাপ । সৃষ্টিকর্তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন আমাদের পাপের শাস্তি | এখনও কিছু লাশ না পাওয়া হতভাগা মানুষ রানা প্লাজার ট্রাজেডির ফলে প্রাপ্ত গনকবরে D.N.A নাম্বার ড্যাশ শব্দ থাকা প্রতিটা কবরে ছুটে যাচ্ছে দোয়া করতে। মানুষটা একবার এই কবর তো আরেকবার ঐ কবরে যাচ্ছেন, তার কাছের মানুষটা হয়ত এখানে নয়ত ওখানে আছে ।
তার দোয়াটা আজকে কবুল হবে বলে মনে হচ্ছে আর অপার্থিব লাভবান হচ্ছেন আজকে সমগ্র কবরবাসী ।
অমুক ছোট ভাইটার কথা শুনলাম । সে নাকি আজ একটুও চিন্তিত নয় কারণ তার আদুরে বোন কাজে গেছিল প্লাজাটতে ঐদিন আর যেহেতু তার বোনের লাশ পাওয়া যায়নি সেহেতু তার বোনটা এখনো জীবিতই আছে এটাই তার বিশ্বাস। কেউই তার বিশ্বাসটা নিয়ে প্রশ্নও ভুলছে না, তুলবেও না ।
আর পরিশেষে একটা কথাই বলতে হচ্ছে আজ কিন্তু সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিন্তু রানা প্লাজাতে যান । হাহাকারের হর্ষধ্বনিতে সেখানকার তাপমাত্রটা মনে হয় -২০ ডিগ্র সেলসিয়াস নেমে গেছে তা না হলে এত মানুষ এই গরমে এত কষ্টে ওখানে কোন সহায়তার আশা নিয়ে গেছে ।
তারা কি জানে না, তাদের সহায়তার আশ্বাস কোন এক A.C রুমের ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রর ফাইলে জীর্নশীর্নভাবে ইনহেলার দিয়ে নি:শ্বাস নিচ্ছে কারণ নি:শ্বাস বন্ধ হতে বেশী দেরি নেই ।
সবশেষে আমার জনৈক বন্ধুর এক উক্তি দিয়ে শেষ করছি এই গরমে YO YO HONEY SINGH এর গানের ফাইল নাকি বেদম উপকারী, এক ফাইলেই শরীর নাকি হয়ে যায় ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল ।