নাস্তিকরা ভাব ধরে, তারা খুব সাধু পুরুষ। তারা কখন কোন সহিংসতা চালায়নি, তাদের দ্বারা কখন কেউ নিহত হয়নি। আসুন দেখি, বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্ট তথা নাস্তিক্যবাদীরা কত লোকের রক্ত পান করেছে:

১) চীনে সাড়ে ৬ কোটি।
২) সোভিয়েত রাশিয়ায় ২ কোটি।
৩) কম্বোডিয়ায় ২০ লক্ষ।
৪) উত্তর কোরিয়ায় ২০ লক্ষ।
৫) আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ১৭ লক্ষ।
৬) আফগানিস্তানে ১৫ লক্ষ।
৭) পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে ১০ লক্ষ।
৮) ভিয়েতনামে ১০ লক্ষ।
৯) লেটিন আমেরিকার দেশগুলোতে দেড় লক্ষ। (Werth et al. Margolin, 1999)

সোভিয়েত রাশিয়ায় লেলিন-ষ্টেলিনের যুগে চালানো নির্যাতন ও প্রাণহানীর চিত্র এরকম :
ক) ১৯১৮-১৯২২ সালের মাঝামাঝি 'বিপ্লব' পরবর্তী সময়ে সহযোগীতা করতে অস্বীকৃতি জানানো লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে হত্যা।
খ) কৃষকদের ওপর লেলিনের অত্যাচার ও কৃষি ব্যবস্থায় সমাজতান্ত্রিক দর্শন প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট দূর্ভিক্ষে ১৯২১ সালে ৫০ লক্ষ লোকের প্রাণহানী।
গ) ১৯২০ সালে ডন কোসাকদের হত্যা ও নির্বাসন।
ঘ) কারাগারগুলোতে ১৯১৮-১৯৩০ সালের মাঝামাঝি হাজার হাজার বন্দিকে হত্যা।
ঙ) ‘৩০ দশকের শেষ দিকে সমাজতন্ত্র বিরোধী প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার লোকের গণহত্যা। (১৯৮৮ সালে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কের বাইরে প্রায় ৩০ হাজার লোকের একটি গণকবর আবিস্কৃত হয়। জায়গাটিতে ১৯৩৭-১৯৪১ সালে একটি সোভিয়েত রাজনৈতিক বন্দীশিবির ছিল।)
চ) ১৯৩০-১৯৩২ সালের মাঝামাঝি ২০-৩০ লক্ষ তথাকথিত "কুলাকদের" নির্বাসন।
ছ) ১৯৩২ এবং ১৯৩৩ এর দুর্ভিক্ষে ৪০ লক্ষ ইউক্রেনিয়ানসহ ৬০ লক্ষ লোকের মৃত্যু।
ঞ) ১৯৩৯-১৯৪১ এবং ১৯৪৪-১৯৪৫ সালে ২ লক্ষ ইউক্রেনিয়ান, ২ লক্ষ ১০ হাজার পোলিশ এবং বাল্টিক সাগর তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী ২ লক্ষ লোকের নির্বাসন।
ট) ১৯৪৩ সালে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার ক্রিমিয়ান মুসলিম তাতারদের নির্বাসন। এদের মধ্যে ১ লক্ষ ৫০ থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার তাতার নির্বাসনের প্রথম ২ বছরেই মারা যায়।
ঠ) ১৯৪৪ সালে ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার চেচেন মুসলমানদের নির্বাসন।
ড) ১৯৪৪ সালে ৯১ হাজার ইংগুশ মুসলমানদের নির্বাসন। (Werth et al. Margolin, 1999) (সূত্র: হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত বই Black Book of Communism)

নাস্তিকরা যখন ক্ষমতায় যায়, তখন তারা চরমস্তরের নৃশংস হয়ে পড়ে, যাদের ধর্ম নেই তারা পুরোটাই বিবেকহীন। কোটি কোটি মানুষ খুন করতে বিন্দু মাত্র তাদের হাত কাপে না।
এজন্য অনেকেই বলে: নাস্তিক স্ট্যালিন এত মানুষকে হত্যা করেছে যে, তার কাছে কুখ্যাত হিটলারও দুধের শিশু।

সূত্র লিংক