বাদশাহ আলমগীর কবিতার কথা মনে আছে?
ঐ যে শাহাজাদা, শিক্ষকের পায়ে পানি দেবার সময় পা পরিস্কার করে না দেবার জন্য তিরস্কার করে ছিলেন বাদশাহ।
আজকাল অবশ্য ছাত্রছাত্রীদের ঐ সব সমস্যা নেই। ফাস্টক্লাস ফাস্ট হবার জন্য আনেক ছাত্র যেমন টিচারের বাড়ির বাজারের ঝোলা টানেন তেমনি বেশ কিছু ব্রিলিয়ায়ান্ট ছাত্রী শয্যাগত গুরুদক্ষিণা প্রদান করেন।
এক সময় মন্দিরে সেবাদাসী নিয়োগ দেওয়া হত।হারিয়ে যাওয়া,বিধবা হয়ে যাওয়াদের মধ্যে যারা অসহায় ছিলেন তাদের ভেতর থেকে একটা অংশকে সেবাদাসী হতে হত।দেবতার দেবালয়ে তারা সমাজ বদ্ধ থাকতেন কি না জানা না গেলেও সেখানে তাদের রুপ চর্চার আয়ুর্বেদিক শিক্ষা দেওয়া হতো নিশ্চত।
সভ্যতার আদি প্রথার ভেতর আছে দাস প্রথা এবং বলীদান প্রথা!
একা আদম পৃথিবীর বুকে চরন ফেললেও একা তাকে জীবন পার করতে হয় নাই।
শ্রীলংকাতে আজো বিদ্যমান আদমের প্রথম ভূবনাহরনের পায়ের ছাপ।
আদম সন্তানেরা যখন জোটবদ্ধ দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা শুরু করলো তখনি শুরু হল সভ্যতার আতুরঘর
মানুষের একতাবদ্ধ হয়ে চলার শিক্ষা কোন শিক্ষাবিদ দেন নায়। বেঁচে থাকার তাগিদ থেকেই মানুষ জোট বাধতে শুরু করে।
এখন ঝড় বৃষ্টির দিন। আমাদের স্কুলগামী বাচ্চাকাচ্চা গুলি কি একটা দিনেও বৃষ্টিতে ভিজেছে?
তাদের কি স্কুলে জিম(ব্যায়ামাগার) সুবিধা পাচ্ছে?
প্রোপার এনভার্নমেন্ট? হাইজিনিক স্যানিটেশন? নকল মুক্ত পরিক্ষা?
বাচ্চারা এখন আর দল বেঁধে স্কুলে যাই না?
কেন যাই না?
সভ্য নাকি অসভ্য হচ্ছি আমরা?
এখন স্কুল গুলীতে বিউটি পার্লার হবে। মেয়েরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ভ্রু প্লাক করবে, বাবার পকেট সাবার হবে তারপর মন রঞ্জনের তবলা বাজবে।
কি জানি একদিন হয়ত ডিস্কো-থেক, স্ট্রিপ ডান্সের মঞ্চ, বার এবং রেড স্ট্রিট সব কিছুই একছাদের নিচেই পাওয়া যাবে।
রঙ চঙা লাইফ স্টাইলের Fuckফোঁকরে বই পড়া উৎসব হবে।
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ভাবতে ভালই লাগে!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২