মাছি মারা কেরানী"
বহুল প্রচলিত একটি কথা।
কেরানী বেচারা ৭/৫ কিচ্ছু বোঝে না। বড় কর্তা যা বলেন ,যা করেন তাই তাঁর কাছে সাক্ষাৎ বাইবেল।কর্তা কাগজে যা লিখে দেন , কেরানী সেটাকেই কপি করে বিতরণ করে।
কাঠাল পাকা এক দুপুরে কর্তা যখন লিখতে বসলেন তখন চারদিকে শুধু মাছি আর মাছি।দুয়েকটা মাছি মারতে সক্ষম হলেন কর্তা ।এর ভেতরের একটা মৃত মাছির স্থান হল লেখার কাগজে।
কেরানী সেই কাগজ কপি করার সময় মরা মাছির জাইগাতে কলম দেগে গোল করে হিজিবিজি করে দিল।
হাজার হোক "কর্তার ইচ্ছাই কর্ম "
এনড্রয়েড ফোন যারা চালান তাদের খুব চেনা একটা চাইল্ড গেমের নাম টকিং ট্ম।বাচ্চা-কাচ্চাদের কাছে অত্যান্ত আকর্ষনিয় ক্যাট ট্ম কে যা বলা হবে সে তাই হুবহু বলবে।ক্যাট ট্মের কথা বলার শক্তি থাকলেও তাঁর নিজের কোন কথা নেই।
সার্কাসের বাঘ অনেক কসরত দেখাতে পারে।যাত্রার মঞ্চে আগুনের গোলকের মধ্যে দিয়ে লাফ দিতে পারে, দুই পায়ে ভড় দিয়ে হাঁটতে পারে।অথছ এই হিংস্র বাঘ তাঁর ট্রেইনারের ইশারা ব্যাতীত নির্বোধ জন্তু ছাড়া আর কিচ্ছু নয়।
আরব্য রজনীর গ্বল্পগুচ্ছের সাথে পরিচয় আছে প্রায় সবার।বিশেষত আলীবাবার ৪০ চোর গ্বল্পটার কথা মনে পরছে।
গোপন গুহার গুদাম ঘড়ের সামনে "চিচিং ফাক" বললেই গুহার দরাজ খুলে যেত।যেই লোক গুহার সামনে দাঁড়িয়ে মন্ত্রটা উচ্চারণ করতে পারবে গোপন কুঠুরির দ্বার তাঁর জন্য উন্মক্ত হয়ে যাবে, সোনাদানা,হীর জহরতের মালিকানা চলে যাবে চিচিং ফাকের হাতে।
আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরুন।এই যে দুজন বিদেশী সহযোগী নির্মম ভাবে খুন হল , বিদেশীরা ঢাকা ভ্রমণে সতর্কতা জারী করলো , রাজদণ্ড নড়েচড়ে উঠলো,আমেরিকার শীর্ষ সংস্থা তদন্তে সহযোগিতা করতে চাইলো।অথছ আমরা করলাম কি ? দায়সারা পুলিশি তদন্ত নামকাওয়াস্তে শেষ না করেই প্রধান মন্ত্রীকে ফুঁসলিয়ে , বিভ্রান্ত করে তাঁর মুখদিয়ে বিএনপি,র দিকে সন্দেহের তীর বিদ্ধ করালাম।
সকল কাজের কাজী বিপ্লবী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এতক্ষনে আসামীর নাম খুঁজে পেলো।
ইতালির সিজার তাবেলা হত্যাকান্ডের জন্য নিপাট ভদ্রলোক এবং বিএনপি,র কূটনৈতিক কোরের সবচে এ্যাক্টিভ ও যোগ্য মানুষ ডঃ আব্দুল মইন খাঁনকে এবং ধর্মান্ত্রিত জাপানী নাগরিকহোসি কুনিও কে খুন করার দায়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রধান হাবিব-উন-নবী সোহেলের ভাইকে দোষী করা হল।
প্রশ্ন হচ্ছে খুনির নাম খুঁজে বার করার দ্বায়িত্ব আসলে আসলে কার ?
মামলার তদন্তে নিয়জিত ইন্সপেক্টরের নাকি সরকারের প্রধানের?
যতই মেধাবী বা সম্মানীয় হোক না কেন , যার কাজ তাকে করতে না দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে-উচ্চপদস্থ ব্যাক্তি যখন খুনের মামলার সন্দেহজনক আসামী চিহ্নিত করার কাজে নেমে পরেন তখন উক্ত খুনের সঠিক বিচারের আশা " চিচিং ফাঁক " হয়ে যাবার সম্ভবনা প্রবল।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০১