ছোট বেলা থেকেই আমাদের পরিবারের সবার জামদানীর প্রতি একটা অন্যরকম আকর্ষন ছিলো, এখনো আছে। তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমরা জামদানী কিনি সবাই।
তবে একই শাড়ীর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দাম দেখে অবাক হয়ে যেতাম। বুঝতে পারছিলাম তাঁতিদের কাছ থেকে কয়েকটা হাত ঘুরে আসে বলেই হয়তোবা এগুলোর দাম একেক জায়গায় একেক রকম হয়ে থাকে। আর এ ব্যাপারে পত্র পত্রিকাতে পড়েছি অনেক লেখা, কীভাবে তাঁতিদেরকে ঠকিয়ে মুনাফা ভোগ করছেন অন্যরা। যারা এর কারিগর, যারা এর আসল মূল্য পাওয়া উচিত, তাঁরা সেটা পাচ্ছে না, পাচ্ছে অন্যরা। অনেকে রিনের দায়ে আবদ্ধ হয়ে সপ্তাহ জুড়ে একটি শাড়ি বানিয়ে পাচ্ছেন মাত্র ৩০০ টাকা মজুরী। এই সব কারণে অনেক তাঁতিরা তাদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত পেশাটি ছেড়ে দিচ্ছেন, যা আমাদের জামদানী শিল্পের জন্য হুমকী স্বরূপ।
এই ব্যাপারটাই আমাকে ভাবিয়েছে খুব। আর এই ভাবনা থেকেই আমার মনে ইচ্ছে জাগ্লো যে আমি জামদানী নিয়ে কাজ করবো, আর আমার সাথে তৃতীয় কোন হাত বা মাধ্যম থাকবে না, সরাসরি থাকবে তাঁতিরা। তাই গত দু’মাস যাবত ছুটে বেড়িয়েছি সোনার গাঁও আর রুপগঞ্জের জামদানী কারিগরদের ঘরে ঘরে। দেখেছি ওদের জীবন যাপন, শুনেছি ওদের কষ্টের কথা, বঞ্চনার কথা।
একজন জামদানী কারিগরের কথা শুনুন,
তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি এদের কে নিয়ে এক সাথে এগিয়ে যাবো, ওদের প্রাপ্য মূল্য ওদের কে দিয়ে তবেই আমি জামদানীকে পৌঁছে দেবো জামদানী-প্রেমীদের হাতে, যারা মার্কেট থেকে দ্বিগূন মুল্যে কিনছেন জামদানী শাড়ি।
জামদানী শাড়ী এবং জামদানী শিল্পীদের উপর চোখ রাখতে সঙ্গে থাকুন এখানে,
https://www.facebook.com/JamdaniVille
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮